বুখারি হাদিস নং ১৬৭৩ – উমরা আদায়কারী উমরার তাওয়াফ করে রওয়ানা হলে, তা কি তার জন্য বিদায়ী তাওয়াফের পরিবর্তে যথেষ্ট হবে ?

হাদীস নং ১৬৭৩

আবু নাআইম রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হজ্জের ইহরাম বেঁধে বের হলাম, হজ্জের মাসে এবং হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালনের উদ্দেশ্যে। যখন সারিফ নামক স্থানে অবতরণ করলাম, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবাগণকে বললেন : যার সাথে কুরবানীর পশু নেই এবং সে এই ইহরামকে উমরায় পরিণত করতে চায়, সে যেন তা করে নেয় (অর্থাৎ উমরা করে হালাল হয়)। আর যার সাথে কুরবানীর জানোয়ার আছে সে এরূপ করবে না। (অর্থাৎ হালাল হতে পারবে না)। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর কয়েকজন সমর্থ সাহাবীর নিকট কুরবানীর জানোয়ার ছিল তাদের উমরা হয়নি। (আয়িশা রা. বললেন) আমি কাঁদছিলাম, এমতাবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এসে বললেন : তুমি কাঁদছ কেন ? আমি বললাম, আপনি আপনার সাহাবীগণকে যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি। আমি তো উমরা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে গেছি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তোমার কি অবস্থা ? আমি বললাম, আমি তো সালাত আদায় করছি না। তিনি বললেন : এতে তোমার ক্ষতি হবে না। তুমি তো একজন আদম কন্যাই। তাদের অদৃষ্টে যা লেখা ছিল তোমার জন্যও তা লিখিত হয়েছে। সুতরাং তুমি তোমার হজ্জ আদায় কর। সম্ভবত : আল্লাহ তা’আলা তোমাকে উমরাও দান করবেন। আয়িশা রা. বলেন, আমি এ অবস্থায়ই থেকে গেলাম এবং পরে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করে মুহাসসাবে অবতরণ করলাম। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রাহমান রা.-কে ডেকে বললেন : তুমি তোমার বোনকে হারামের বাইরে নিয়ে যাও। সেখান থেকে যেন সে উমরার ইহরাম বাঁধে । তারপর তোমরা তাওয়াফ করে নিবে। আমি তোমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করব। আমরা মধ্যরাত এলাম। তিনি বললেন : তোমরা কি তাওয়াফ সমাধা করেছ ? আমি বললাম, হ্যাঁ। এ সময় তিনি সাহাবীগণকে রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। তাই লোকজন এবং যারা ফজরের পূর্বে তাওয়াফ করেছিলেন তাঁরা রওয়ানা হলেন। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন।