বুখারি হাদিস নং ১৬৭১ – হজ্জের পর উমরা আদায় করাতে কুরবানী ওয়াজিব হয় না।

হাদীস নং ১৬৭১

মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন যিলহজ্জ মাস আগত প্রায়, তখন আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : যে ব্যক্তি উমরার ইহরাম বাঁধতে চায়, সে যেন উমরার ইহরাম বেঁধে নেয়। আমি যদি কুরবানীর জানোয়ার সঙ্গে না আনতাম তাহলে অবশ্যই আমি উমরার ইহরাম বাঁধতাম। তাই তাদের কেউ উমরার ইহরাম বাঁধলেন আর কেউ হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন, আমি তাদের মধ্যে একজন। এরপর মক্কা পৌছার আগেই আমার ঋতু দেখা দিল। আরাফার দিবস চলে এল, আর আমি ঋতুবতী অবস্থায় ছিলাম। তারপর আমার এ অসুবিধার কথা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বললাম। তিনি বললেন : উমরা ছেড়ে দাও। আর বেণী খুলে মাথা আচড়িয়ে নাও। তারপর হজ্জের ইহরাম বেঁধে নাও। আমি তাই করলাম। মুহাসসাবের রাতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে আবদুর রামহমানকে তানঈম পাঠালেন। (রাবী বলেন) আবদুর রাহমান রা. তাকে সাওয়ারীতে নিজের পেছনে বসিয়ে নিলেন। তারপর আয়িশা রা. আগের উমরার স্থলে নতুন উমরার ইহরাম বাঁধলেন। এমনিভাবেই আল্লাহ তা’আলা তাঁর হজ্জ এবং উমরা উভয়টিই পুরা করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এর কোন ক্ষেত্রেই কুরবানী বা সাদকা দিতে কিংবা সিয়াম পালন করতে হয়নি।