হাদীস নং ১৬৪৯
আবু নুমান রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বের হলাম। হজ্জই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় পৌছে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করলেন। তবে ইহরাম ফেলেননি। তাঁর সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল। তাঁর সহধর্মিণী ও সাহাবীগণের মধ্যে যারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁরাও তাওয়াফ করলেন। তবে যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল না, তাঁরা হালাল হয়ে গেলেন। এরপর আয়িশা রা. ঋতুবতী হয়ে পড়লেও আমরা হজ্জের সমুদয় হুকুম-আহকাম আদায় করলাম। এরপর যখন লায়লাতুল-হাসবা অর্থাৎ রওয়ানা হওয়ার রাত হল, তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি ব্যতীত আপনার সকল সাহাবী তো হজ্জ ও উমরা করে ফিরছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : আমরা যে রাতে এসেছি সে রাতে তুমি কি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করনি ? আমি বললাম, না। তারপর তিনি বললেন : তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তানঈম (নামক স্থানে) চলে যাও এবং সেখান থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে নাও। আর অমুক অমুক স্থানে তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের ওয়াদা থাকল। আয়িশা রা. বলেন, এরপর আমি আবদুর রাহমান রা.-এর সঙ্গে তানঈমের দিকে গেলাম এবং উমরার ইহরাম বাঁধলাম। আর সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই রা.-এর ঋতু দেখা দিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে বিরক্ত হয়ে বলেন। তুমি তো আমাদেরকে আটকিয়ে ফেললে। তুমি কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করছিলে ? তিনি বললেন : হ্যাঁ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তাহলে কোন বাঁধা নেই, রওয়ানা হও। (আয়িশা রা. বলেন) আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মিলিত হলাম। এমতাবস্থায় যে, তিনি মক্কার উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি নিচের দিকে নামছিলাম। অথবা আমি উঠছিলাম আর তিনি নামছিলেন। মুসাদ্দাদ রহ.-এর বর্ণনায় এ হাদীসে (হ্যাঁ)-এর পরিবর্তে ‘লা’ (না) রয়েছে। রাবী জারীর রহ. মনসূর রহ. থেকে এ হাদীস বর্ণনায় মুসাদ্দাদ রহ.-এর অনুরূপ ‘লা’ (না) বর্ণনা করেছেন।