বুখারি হাদিস নং ১৫৪৯

হাদীস নং ১৫৪৯

মুআম্মাল ইবনে হিশাম রহ………হাফসা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আমাদের যুবতীদেরকে বের হতে নিষেধ করতাম। এক মহিলা বনূ খালীফা-এর দুর্গে এলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, তাঁর বোন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক সাহাবী সহধর্মিণী ছিলেন। যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, ছয়টি যুদ্ধে আমার আমার বোনও স্বামীর সঙ্গে ছিলেন। তাঁর বোন বলেন, আমরা আহত যোদ্ধা ও অসুস্থ সৈনিকদের সেবা করতাম। আমার বোন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমাদের মধ্যে যার চাদর নেই, সে বের না হলে অন্যায় হবে কি ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমাদের একজন অপরজনকে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাদরটি দিয়ে দেওয়া উচিত এবং কল্যাণমূলক কাজে ও মুমিনদের দু’আয় বের হওয়া উচিত। উম্মে আতিয়্যা রা. আসলে এ বিষয়ে তাঁর নিকট আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক কথা (নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি আমার পিতা উৎসর্গ হউন) ব্যতীত কখনও উচ্চারণ করতেন না। আমি তাকে বললাম, আপনি কি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার পিতা উৎসর্গ হউন। তিনি বললেন : যুবতী ও পর্দানশিন মহিলাদেরও বের হওয়া উচিত। অথবা বললেন : পর্দানশিন যুবতী ও ঋতুবতীদেরও বের হওয়া উচিত। তারা কল্যাণমূলক কাজে এবং মুসলমানদের দু’আয় যথাস্থানে উপস্থিত হবে। তবে ঋতুবতী মহিলাগণ সালাতের স্থানে উপস্থিত হবে না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ঋতুবতী মহিলাও কি ? তিনি বললেন : (কেন উপস্থিত হবে না?) তারা কি আরাফার ময়দানে এবং অমুক অমুক স্থানে উপস্থিত হবে না ?