বুখারি হাদিস নং ১৪৬৬ – মহান আল্লাহর বাণী : “হজ্জ হয় সুবিদিত মাসগুলোতে। তারপর যে কেউ এ মাসগুলোতে হজ্জ করা স্থির করে, তার জন্য হজ্জের সময়ে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ বিবাদ বিধেয় নয়”। (২ : ১৯৭)এবং “নতুন চাঁদ সম্পর্কে লোকেরা আপনাকে প্রশ্ন করে, বলুন, তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময় নির্দেশ”। (২ : ১৮৯)।

হাদীস নং ১৪৬৬

মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ্জের মাসে, হজ্জের দিনগুলোতে, হজ্জের মৌসুমে আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বের হয়ে সারিফ নামক স্থানে আমরা অবতরণ করলাম। আয়িশা রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণের কাছে বেরিয়ে ঘোষণা করলেন : যার সাথে কুরবানীর পশু নেই এবং যে এ ইহরাম উমরার ইহরামে পরিণত করতে আগ্রহী, সে তা করতে পারবে। আর যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে তা পারবে না। আয়িশা রা. বলেন, কয়েকজন সাহাবী উমরা করলেন, আর কয়েকজন তা করলেন না। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর কয়েকজন সাহাবী (দীর্ঘ ইহরাম রাখতে) সক্ষম ছিলেন এবং তাদের সাথে কুরবানীর পশুও ছিল। তাই তাঁরা (শুধু) উমরা করতে (ও পরে হালাল হয়ে যেতে) সক্ষম হলেন না। তিনি আরো বলেন, আমি কাঁদছিলাম, এমন সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন : ওহে কাঁদছ কেন ? আমি বললাম, আপনি সাহাবাদের যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি, কিন্তু আমার পক্ষে উমরা করা সম্ভব নয়। তিনি বললেন : তোমার কি হয়েছে ? আমি বললাম, আমি আদম-সন্তানের এক মহিলা। সকর নারীর জন্য আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন, তোমার জন্যও তাই নির্ধারণ করেছেন। কাজেই তুমি হজ্জের ইহরাম অবস্থায় থাক। আল্লাহ তোমাকে উমরা করার সুযোগও দিতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা হজ্জের জন্য বের হয়ে মিনায় পৌঁছলাম। সে সময় আমি পবিত্র হলাম। পরে মিনা থেকে ফিরে (বায়তুল্লাহ পৌছে) তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করি। আয়িশা রা. বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সর্বশেষ দলে বের হলাম। তিনি মহাসসাব নামক স্থানে অবতরণ করেন, আমি তাঁর সাথে অবতরণ করলাম। এখানে এসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা. কে ডেকে বললেন : তোমার বোন (আয়িশা)-কে নিয়ে হরম সীমারেখা হতে বেরিয়ে যাও। সেখান থেকে সে উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে উমরা সমাধা করলে তাকে নিয়ে এখানে ফিরে আসবে। আমি তোমাদের আগমন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকব। আয়িশা রা. বলেন, আমরা বের হয়ে গেলাম এবং আমি ও আমার ভাই তাওয়াফ সমাধা করে ফিরে এসে প্রভাত হওয়ার আগেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌছে গেলাম। তিনি বললেন : কাজ সমাধা করেছ কি ? আমি বললাম, জী হ্যাঁ। তখন তিনি রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। সকলেই মদীনার দিকে রওয়ানা করলেন। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) রহ. বলেন, يضير শব্দটি ضيرا – يضير – ضار (ক্ষতিকর) শব্দ হতে উদগত এমনই ভাবে ضرورا – يضور – ضار ও ضرا – يضر – ضر একই অর্থ বোঝায়।