বুখারি হাদিস নং ১৪৬২ – হায়েয ও নিফাস অবস্থায় মহিলাগণ কিরূপে ইহরাম বাঁধবে ?

হাদীস নং ১৪৬২

আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ……….. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বের হয়ে উমরার নিয়্যাতে ইহরাম বাঁধি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : যার সঙ্গে কুরবানীর পশু আছে সে যেন উমরার সাথে হজ্জের ইহরামও বেঁধে নেয়। তারপর সে উমরা ও হজ্জ উভয়টি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত হালাল হতে পারবে না। (আয়িশা রা. বলেন) এরপর আমি মক্কায় ঋতুবতী অবস্থায় পৌঁছলাম। কাজেই বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সায়ী কোনটিই আদায় করতে সমর্থ হলাম না। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমার অসুবিধার কথা জানালে তিনি বললেন : মাথার চুল খুলে নাও এবং তা আচড়িয়ে নাও এবং হজ্জের ইহরাম বহাল রাখ এবং উমরা ছেড়ে দাও। আমি তাই করলাম, হজ্জ সম্পন্ন করার পর আমাকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা.-এর সঙ্গে তানঈম-এ প্রেরণ করেন। সেখান থেকে আমি উমরার ইহরাম বাঁধি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : এ তোমার (ছেড়ে দেওয়া) উমরার স্থলবর্তী। আয়িশা রা. বলেন, যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন, তাঁরা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী সমাপ্ত করে হালাল হয়ে যান এবং মিনা থেকে ফিরে আসার পর দ্বিতীয়বার তাওয়াফ করেন আর যারা হজ্জ ও উমরা উভয়ের ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা একবার তাওয়াফ করেন।