হাদীস নং ১৩৯২
মুহাম্মদ ইবনে গুরাইর যুহরী রহ………সা’দ ইবনে আবু ওক্কাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোককে কিছু দান করলেন। আমি তাদের মধ্যে বসা ছিলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তিকে দিলেন না। অথচ সে ছিল আমার বিবেচনায় তাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম। আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে চুপে চুপে বললাম, অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল ? আমি তো তাকে অবশ্য মু’মিন বলে মনে করি। তিনি বললেন : বরং মুসলিম (বল) সা’দ রা. বলেন, এরপর আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। আবার তার সম্পর্কে আমর ধারণা প্রবল হয়ে উঠলে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল ? আল্লাহর কসম ! আমি তো তাকে মুমিন বলে মনে করি। তিনি বললেন : বরং মুসলিম। এবারও কিছুক্ষণ নিরব রইলাম। আবার তার সম্পর্কে আমার ধারণা প্রবল হয়ে উঠলে আমি বললাম, অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল ? আল্লাহর কসম ! আমি তো তাকে মু’মিন বলে মনে করি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : অথবা মুসলিম ! এভাবে তিনবার বললেন : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : আমি একজনকে দিয়ে থাকি অথচ অন্য ব্যক্তি আমার কাছে অধিক প্রিয় ই আশংকায় যে, তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অপর সনদে ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মদ রহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে এভাবে বলতে শুনেছি, তিনি হাদীসটি বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন, তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাঁধে হাত রাখলেন, এরপর বললে, হে সা’দ ! অগ্রসর হও। আমি তো এক ব্যক্তিকে দিয়ে থাকি……..। আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, فكبكبوا অর্থ উল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে। مكبا আরবী বাগধারা অনুসারে أكب الرجل থেকে গৃহীত হয়েছে অর্থাৎ কর্তার কর্ম যখন কারো প্রতি না বর্তায় তখনই এরূপ বলা হয়ে থাকে। আর যদি কর্ম কারোর উপর বর্তায়, তখন বলা হয় كبه الله لوجهه ও كببته أنا আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, সালিহ ইবনে ফায়সাল রহ. যুহরী রহ. থেকে বয়সে বড় ছিলেন আর তিনি ইবনে উমর রা.-এর সাক্ষাত পেয়েছেন।