হাদীস নং ১৩৮০
মুআয ইবনে ফাযালা রহ………আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসলেন এবং আমরা তাঁর আশেপাশে বসলাম। তিনি বললেন : আমার পরে তোমাদের ব্যাপারে আমি যা আশংকা করছি তা হল এই যে দুনিয়ার চাকচিক্য ও সৌন্দর্য (ধন-সম্পদ) তোমাদের সামনে খুলে দেওয়া হবে। এক সাহাবী বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! কল্যাণ কি কখনো অকল্যাণ বয়ে আনে ? এতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরব রইলেন। প্রশ্নকারীকে বলা হল, তোমার কি হয়েছে ? তুমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর কথা বলছ, কিন্তু তিনি তোমাকে জওয়াব দিচ্ছেন না ? তখন আমরা অনুভব করলাম যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তাঁর ঘাম মুছলেন এবং বললেন : প্রশ্নকারী কোথায় ? যেন তা প্রশ্নকে প্রশংসা করে বললেন, কল্যাণ কখনো অকল্যাণ বয়ে আনে না। অবশ্য বসন্ত মৌসুম যে ঘাস উৎপন্ন করে তা (সবটুকুই সুস্বাদু ও কল্যাণকর বটে তবে) অনেক সময় হয়ত (ভোজনকারী প্রাণীর) জীবন নাশ করে অথবা তাকে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যায়। তবে ঐ তৃণভোজী জন্তু, যে পেট ভরে খাওয়ার পর সূর্যের তাপ গ্রহণ করে এবং মল ত্যাগ করে, প্রস্রাব করে এবং পুনরায় চরে (সেই মৃত্যু থেকে রক্ষা পায় তেমনি) এই সম্পদ হল আকর্ষনীয় সুস্বাদু। কাজেই সে-ই ভাগ্যবান মুসলিম, যে এই সম্পদ থেকে মিসকীন, ইয়াতীম ও মুসাফিরকে দান করে অথবা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ বলেছেন, আর যে ব্যক্তি এই সম্পদ অন্যায়ভাবে উপার্জন করে, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে খেতে থাকে এবং তার পেট ভরে না। কিয়ামত দিবসে ঐ সম্পদ তা বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে ।