হাদীস নং ১৩৭০
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুসান্না আনসারী রহ………..আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, আবু বকর রা. তাকে বাহরাইন পাঠানোর সময় এই বিধানটি তাঁর জন্য লিখে দেন : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। এটাই যাকাতের নিসাব যা নির্ধারণ করেছেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসালিমদের প্রতি এবং যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূলকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুসলিমদের মধ্যে যার কাছ থেকে নিয়ামানুযায়ী চাওয়া হয়, সে যেন তা আদায় করে দেয় আর তার চেয়ে বেশী চাওয়া হলে তা যেন আদায় না করে। চব্বিশ ও তার চাইতে কম সংখ্যক উটের যাকাত বকরী দ্বারা আদায় করা হবে। প্রতি পাঁচটি উটে একটি বকরী এবং উটের সংখ্যা পঁচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ পর্যন্ত হলে একটি মাদী বিনতে মাখায। (এক বছর বয়স্কা উষ্ট শাবক)। ছত্রিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ পর্যন্ত একটি মাদী বিনতে লাবূন (দু’ বছর বয়স্কা উটের শাবক)। ছয়চল্লিশ থেকে ষাট পর্যন্ত ষাড়ের পালযোগ্য একটি হিক্কা (তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এমন উট), একষট্রি থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত একটি জাযা’আ (চার বছর পূর্ণ দাতাল উট(, ছিয়াত্তর থেকে নব্বই পর্যন্ত দুটি বিনতে লাবূন, একানব্বইটি থেকে একশ বিশ পর্যন্ত ষাড়ের পালযোগ্য দুইটি হিক্কা। সংখ্যায় একশ বিশের অধিক হলে (অতিরিক্ত) প্রতি চল্লিশটিতে একটি করে বিনতে লাবূন এবং (অতিরিক্ত) প্রতি পঞ্চাশটিতে এক করে হিক্কা। যার চারটির বেশী উট নেই, সেগুলোর উপর কোন যাকাত নেই, তবে মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দিতে চাইলে দিতে পারবে। কিন্তু যখন পাঁচে পৌছে তখন একটি বকরী ওয়াজিব। আর বকরীর যাকাত সম্পর্কে : সায়েমা বকরী চল্লিশটি থেকে একশ বিশটি পর্যন্ত একটি বকরী। এর বেশী হলে দুশতটি পর্যন্ত দুটি বকরী। দুইশর অধিক হলে তিনশত পর্যন্ত তিনটি বকরী। তিনশর অধিক হলে প্রতি একশতে একটি করে বকরী। কারো সায়েমা বকরীর সংখ্যা চল্লিশ থেকে একটিও কম হলে তার উপর যাকাত নেই । তবে স্বেচ্ছায় দান করলে তা করতে পারে। রূপার যাকাত চল্লিশ ভাগের এক ভাগ। একশ নব্বই দিরহাম হলে তার যাকাত নেই, তবে মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দান করলে করতে পারে।