হাদীস নং ১২১১
আবদান রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু মুলাইকা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কায় উসমান রা.-এর এক কন্যার ওফাত হল। আমরা সেখানে (জানাযায়) শরীক হওয়ার জন্য গেলাম। ইবনে উমর রা. এবং ইবনে আব্বাস রা.ও সেখানে হাজির হলেন। আমি তাদের দু’ জনের মাঝে বসা ছিলাম, অথবা তিনি বলেছেন, আমি তাদের একজনের পাশে গিয়ে বসলাম, পরে অন্যজন এসে আমার পাশে বসলেন। (কান্নার আওয়ায শুনে) ইবনে উমর রা. আমর ইবনে উসমানকে বললেন, তুমি কেন কাঁদতে নিষেধ করছ না ? কেননা, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মৃত ব্যক্তিকে তার পরিজনদের কান্নার কারণে আযাব দেওয়া হয়। তখন ইবনে আব্বাস রা. বললেন, উমর রা.ও এ রকম কিছু বলতেন। এরপর ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করলেন, উমর রা.-এর সাথে মক্কা থেকে ফিরছিলাম। আমরা বায়দা (নামক স্থানে) পৌঁছলে উমর রা. বাবলা গাছের ছায়ায় একটি কাফেলা দেখতে পেয়ে আমাকে বললেন, গিয়ে দেখো তো এ কাফেলা কারা ? ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব রা. রয়েছেন। আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বললেন, আমার কাছে ডেকে নিয়ে আস। আমি সুহাইব রা. -এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন আমীরুল মুমিনীনের সংগে সাক্ষাত করুন । এরপর যখন উমর রা. (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব রা. তাঁর কাছে এসে এ বলে কাঁদতে লাগলেন, হায় আমার ভাই ! হায় আমার বন্ধু ! এতে উমর রা. তাকে বললেন, তুমি আমার জন্য কাঁদছো ? অথচ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মৃত ব্যক্তির জন্য তার আপন জনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে আযাব দেওয়া হয় । ইবনে আব্বাস রা. বলেন, উমর রা. -এর ওফাতের পর আয়িশা রা. -এর কাছে আমি উমর রা. -এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ উমর রা.-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম ! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা বলেননি যে, আল্লাহ ঈমানদার (মৃত) ব্যক্তিকে, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দেবেন। তবে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আল্লাহ তা’আলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে। এরপর আয়িশা রা. বললেন, আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (ইরশাদ হয়েছে) : ‘বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না। তখন ইবনে আব্বাস রা. বললেন, আল্লাহই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁদান। রাবী ইবনে আবু মুলাইকা রহ. বলেন, আল্লাহর কসম ! (একথা শুনে) ইবনে উমর রা. কোন মন্তব্য করলেন না।