হাদীস নং ১১৬২
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ………..সাহল ইবনে সাদ সাঈদী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সংবাদ পৌঁছে যে, বনূ আমর ইবনে আওফ -এ কিছু ঘটেছে। তাদের মধ্যে আপোস করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে সালাতের সময় হয়ে গেল। বিলাল রা. আবু বকর রা.-এর কাছে এসে বললেন, হে আবু বকর ! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে সালাতের সময় হয়ে গিয়েছে, আপনি কি সালাতে লোকদের ইমামতি করতে প্রস্তুত আছেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তুমি চাও। তখন বিলাল রা. ইকামত বললেন এবং আবু বকর রা. সামনে এগিয়ে গিয়ে লোকদের জন্য তাকবীর বললেন। এদিকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ আনলেন এবং কাতারের ভিতর দিয়ে হেটে (প্রথম) কাতারে এসে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুসল্লীগণ তখন হাততালি দিতে লাগলেন। আবু বকর রা. -এর অভ্যাস ছিল যে, সালাতে এদিক সেদিক তাকাতেন না। মুসল্লীগণ যখন অধিক পরিমাণে হাততালি দিতে লাগলেন, তখন তিনি সেদিকে তাকালেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখতে পেলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইশারা করে সালাত আদায় করতে থাকার নির্দেশ দিলেন। আবু বকর রা. দু’হাত তুলে আল্লাহর হামদ বর্ণনা করলেন এবং পিছনের দিকে সরে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে এগিয়ে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষ করে মুসল্লীগণের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, হে লোক সকল ! তোমাদের কি হয়েছে, সালাতে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাততালি দিতে থাক কেন ? হাততালি তে মেয়েদের জন্য। কারো সালাতের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সে যেন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে। কারণ, কেউ অন্যকে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলতে শুনলে অবশ্যই সেদিকে লক্ষ্য করবে। তারপর তিনি বললেন, হে আবু বকর ! তোমাকে আমি ইশারা করা সত্ত্বেও কিসে তোমাকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বাধা দিল ? আবু বকর রা. বললেন, কুহাফার ছেলের জন্য এ সমীচীন নয় যে, সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে।