বুখারি হাদিস নং ১১৪৫ – কিছু ঘটলে সালাতে হাত তোলা।

হাদীস নং ১১৪৫

কুতাইবা রহ………..সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছল যে, কুবায় বনু আমর ইবনে আওফ গোত্রে কোন ব্যাপার ঘটেছে। তাদের মধ্যে মীমাংসার উদ্দেশ্যে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে সালাতের সময় হয়ে গেল। বিলাল রা. আবু বকর রা. -এর কাছে এসে বললেন, হে আবু বকর ! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্মব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে সালাতের সময় উপস্থিত। আপনি কি লোকদের ইমামতি করবেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তুমি চাও। তখন বিলাল রা. সালাতের ইকামত বললেন এবং কাতার ফাঁক করে সামনে এগিয়ে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। মুসল্লীগণ তখন তাসফীহ করতে লাগলেন। সাহল রা. বলেন, তাসফীহ মানে তাসফীক (হাতে তালি দেওয়া) তিনি আরো বললেন, আবু বকর রা. সালাতে এদিক সেদিক তাকাতেন না। মুসল্লীগণ বেশী (হাত চাপড়াতে শুরু) করলে, তিনি লক্ষ্য করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেলেন। তিনি তাকে ইশারায় সালাত আদায় করার আদেশ দিলেন। তখন আবু বকর রা. তাঁর দুহাত তুললেন এবং আল্লাহর হামদ বর্ণনা করলেন। তারপর পিছু হেটে পিছনে চলে এসে কাতারে দাঁড়ালেন। আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে এগিয়ে গেলেন এবং মুসল্লীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষ করে তিনি মুসল্লীগণের দিকে মুখ করে বললেন : হে লোক সকল ! তোমাদের কি হয়েছে ? সালাতে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাত চাপড়াতে শুরু কর কেন ? হাত চাপড়ানো তো মেয়েদের জন্য। সালাত রত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে পুরুষরা সুবহানাল্লাহ বলবে। তারপর তিনি আবু বকর রা. -এর দিকে লক্ষ্য করে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু বকর ! তোমাকে আমি ইশারা করা সত্ত্বেও কিসে তোমাকে সালাত আদায়ে বাঁধা দিল ? আবু বকর রা. বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা ইবনে আবু কুহাফার জন্য সংগত নয়।