হাদীস নং ৯৯৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আসমা বিনতে আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী আয়িশা রা. -এর নিকট গেলাম। তখন লোকজন দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল। তখন আয়িশা রা. ও সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, লোকদের কী হয়েছে ? তখন তিনি হাত দিয়ে আসমানের দিকে ইশারা করলেন এবং ‘সুবহানাল্লাহ’ বললেন। আমি বললাম, এ কি কোন নিদর্শন ? তখন তিনি ইশারায় বললেন, হ্যাঁ। আসমা রা. বলেন, আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম। এমন কি (দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে) আমি প্রায় বেহুঁশ হয়ে পড়লাম এবং মাথায় পানি ঢালতে লাগলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করলেন, তখন আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন। তারপর তিনি বললেন : আমি এ স্থান থেকে দেখতে পেলাম যা এর আগে দেখিনি, এমন কি জান্নাত এবং জাহান্নাম। আর আমার নিকট ওহী পাঠান হয়েছে যে, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে কবরের মধ্যে দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় অথবা বলেছেন তার কাছাকাছি ফিতনায় লিপ্ত করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, (মিসলা ও কারীবান) দুটির মধ্যে কোনটি আসমারা. বলেছিলেন, তা আমার মনে নেই। তোমাদের এক একজনকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে প্রশ্ন করা হবে, এ ব্যক্তি সম্পর্কে কি জান ? তখন মু’মিন (ঈমানদার) অথবা মু’কীন (বিশ্বাসী) বলবেন- বর্ণনাকারী বলেন যে, আসমা রা. ‘মু’মিন’ শব্দ বলেছিলেন, না ‘মু’কীন’ তা আমার স্মরণ নেই, তিনি হলেন, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্পষ্ট দলীল ও হিদায়েত নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন এবং আমরা এতে সাড়া দিয়ে ঈমান এনেছি ও তাঁর অনুসরণ করেছি। এরপর তাকে বলা হবে, তুমি নেককার বান্দা হিসেবে ঘুমিয়ে থাক। আমরা অবশ্যই জানতাম যে, নিশ্চিতই তুমি দৃঢ়বিশ্বাস স্থাপনকারী ছিলে। আর মুনাফিক কিংবা সন্দেহ কারী বর্ণনাকারী বলেন, আসমা রা. ‘মুনাফিক’ না ‘সন্দেহ কারী’ বলেছিলেন তা আমার মনে নেই, সে শুধু বলবে, আমি কিছুই জানি না। আমি মানুষকে কিছু বলতে শুনেছি এবং আমিও তাই বলেছি।