বিশের কাঁটা – ৯

নয়

কৌশিক চেম্বারে ঢোকামাত্র বাসু ধমকে ওঠেন, ছয়-সকালে কোথায় গেছলে?

—ছয়-সকালে! মানে?

—আস্ক য়োর বেটারহাফ! আমি বললাম, সাত-সকালে…

সুজাতাও এসেছে কৌশিকের পিছন পিছন। দুজনেই বসল দুটি চেয়ার দখল করে। বাসু মাঝপথেই থেমে গেলেন। প্রশ্ন করেন, কী ব্যাপার? তোমরা দুজনেই এত গম্ভীর? ‘এনিথিং সিরিয়াস?”

কৌশিক হাসিমুখে বললে, সেটাও আমাদের প্রশ্ন। এই এথিক্যাল প্রশ্নটা সত্যিই সিরিয়াস কি না!

বাসু তাঁর চেয়ারের পিঠে হেলান দিয়ে বসলেন। বললেন, ‘এথিক্যাল’ প্রশ্ন? কী ব্যাপার? একটু বিস্তারিত বল, শুনি।

কৌশিকই বুঝিয়ে বলতে থাকে, দেখুন মামু! আপনিই আমাদের দুজনকে এবাড়িতে এনে বসিয়েছেন। আমরা তিনজনে এ পর্যন্ত যৌথভাবে দশ-পনেরটা ‘কেস’ সমাধান করেছি। কোনো কনফ্লিক্ট কোনদিন হয়নি। না বিজনেস, না পারিবারিক। কিন্তু এতদিনে ‘সুকৌশলী’বেশ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আপনার মাধ্যমে না-এসে অনেক পার্টি ইদানীং সরাসরি আমাদের দ্বারস্থ হয়েছে, হচ্ছে। তারমধ্যে কোনো কোনোটি নিয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনা করেছি—সেগুলো ক্রিমিনাল কেস-এর এক্তিয়ারভুক্ত হলে তো বটেই। কোনো কোনোটি আমরা নিজেরাই সলফ্ করেছি। ‘হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশ’ জাতীয় নন ক্রিমিনাল কেসগুলো। কিন্তু ধরুন, যদি এমন ‘কেস’ হঠাৎ আসে যেখানে আপনার প্রফেশনের সঙ্গে সুকৌশলীর স্বার্থের বিরোধ হচ্ছে, সে-ক্ষেত্রে…

বাসু ওকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বলেন, দ্যাটস্ অ্যাবসার্ড!

কৌশিক ঝুঁকে পড়ে বলে, কেন অবাস্তব, কেন অসম্ভব?

–যেহেতু আমি চিরকাল ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে, সত্যশিবসুন্দরের পক্ষে। তোমরাও তাই।

কৌশিক বলে, একটু প্র্যাকটিকাল-স্তরে নেমে আসুন, মামু! কোনো ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে তার গোপন কথা জানায় তাহলে এথিক্যাল কারণে তা আপনি আমাদের জানাতে পারেন না, কেমন?

—ইয়েস! সেটা যদি প্রিভিলেজড্ কম্যুনিকেশন হয়। মক্কেল যদি বিশ্বাস করে তার গোপন কথা আমাকে বলে থাকে।

—এবার ওর কনভার্স কেসটা ভাবুন। আমাদের কাছে কোনো ক্লায়েন্ট এসে সুকৌশলীকে তার গোপন কথা জানালো। আমরা কি তা…

কথাটা শেষ হলো না কৌশিকের। বাসু-সাহেব মাঝপথেই বাধা দিয়ে বলে ওঠেন, সার্টেনলি নট! গোয়েন্দা সংস্থা হিসাবে তোমাদের নিজস্ব গোপনীয়তা থাকতেই পারে। তা আমাকে জানাবে কেন?

—কিন্তু ধরুন সেটা যদি আপনার কোনো কেস-সংক্রান্ত হয়?

বাসু-সাহেবের চট্ট-জলদি জবাব, লুক হিয়ার, কৌশিক। এখানে কোনো এথিক্যাল কনফ্লিক্টের প্রশ্ন উঠতে পারে না। তোমার কাছে কোনো ক্লায়েন্ট এসে যখন ‘সুকৌশলী’র সার্ভিস চাইবে তখন তোমরা সমঝে নেবে সেটা ‘আমার-দেওয়া’ পূর্বতন কোনো কেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না। তা যদি হয়, তুমি তার কেস নেবে না, বলবে যে, তুমি আমার এজেন্ট হিসাবে কাজটা আগেই নিয়েছ। আমি যেমন কাল রাত্রে সুরঙ্গমার অফারটা নিতে পারিনি। তাকে বলেছিলাম—অনীশ আগরওয়াল মার্ডার-কেসে মাধবী ইতিপূর্বেই আমার ক্লায়েন্ট হয়ে গেছে। ঠিক তেমনি।

কৌশিক বলে, ধরুন পাত্র-পাত্রী এক, কেসটা ভিন্ন? সে-ক্ষেত্রে?

বাসু তাঁর দশটা আঙুলে গ্লাসটপ-টেবিলে টরে-টক্কা বাজাতে থাকেন। মুখে কিছু বলেন না।

কৌশিক তাগাদা দেয়, সে-ক্ষেত্রে?

বাসু বলেন, আর একটু স্পেসিফিক হতে পার না?

সুজাতা কৌশিকের দিকে ফিরে বললে, আমি বলব?

—বল! পার্টির আইডেন্টটিটি ডিসক্লোজ না করে।

সুজাতা বলল, আজ ভোরবেলা কৌশিকের কাছে একটি মহিলা এসেছিলেন। নাম-ধাম বা দৈহিক বর্ণনা দেব না। তিনি দাবী করছেন যে, তিনি ডক্টর বড়গোঁহাই-এর বিবাহিতা পত্নী। শুধু দাবী করছেন নয়, প্রমাণও দিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা আপনার ক্লায়েন্ট মহাদেব জালান তাঁর স্বামীকে একটি মামলায় আসামীরূপে ফাঁসাতে চাইছে। সে চাইছে তার স্বামীকে বাঁচাতে। কৌশিকের মনে হয়েছে, আমরা কেসটা নিলে হয়তো আপনার বিরুদ্ধাচরণ করা হবে। কৌশিক কেসটা শুনেছে, কিন্তু কোনো প্রফেশনাল ‘ফি’ নেয়নি। সে মেয়েটিকে বলেছে বেলা একটায় আসতে। তখন সে জানাবে, ডক্টর বড়গোঁহাইকে বাঁচাবার জন্য যে সব তথ্য মামলায় উঠতে পারে তা সুকৌশলী সংগ্রহ করে দিতে স্বীকৃত কি না। এখন আমরা জানতে এসেছি—এথিক্যাল পয়েন্ট থেকে—’সুকৌশলী’ এ কেসটা নিলে কি অন্যায় করবে?

বাসু বললেন, প্রথম কথা, ডক্টর বড়গোঁহাই বিবাহিত এটাই আমার কাছে একটা শকিং নিউজ।

—শকিং কেন?

—কারণ আমার মনে হয়েছিল মাধবী আর বড়গোঁহাই দুজনেই আনম্যারেড! পরস্পরকে ভালবাসে। ওরা দুজনে পরস্পরকে বিবাহ করতে ইচ্ছুক। সে যাই হোক, এক্ষেত্রে তোমরা দু’জনে যদি মনে কর—মেয়েটি ডক্টর বড়গোঁহাই-এর বিবাহিতা স্ত্রী, এবং মহাদেব জালান তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসাতে চাইছে, তাহলে সে-কেস নিশ্চয়ই নিতে পার। কারণ তা আমার প্রচেষ্টার পরিপন্থী নয়। ডক্টর বড়গোঁহাই নির্দোষ হোক বা না হোক, তোমরা দুজন এবং আমি একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও একই দিকে— নিজ-নিজ বিশ্বাসমতো ‘সত্যশিবসুন্দরের’ পক্ষে।

কৌশিক বলল, আপনি আমাকে বাঁচালেন, মামু!

—বাঁচানো না-বাঁচানোর প্রশ্ন নেই। বড়গোঁহাই যদি বিবাহিত হয়, তার স্ত্রী যদি তাকে বাঁচাতে চায় এবং সে যদি নির্দোষ হয়, তবে তুমি-আমি তো একই পথে…

—কিন্তু মিস্টার মহাদেব জালান…

—হ্যাঙ হিম। হি ইজ নট মাই ক্লায়েন্ট।

.

সুজাতা আর কৌশিক চলে যেতেই বাসু-সাহেব ইন্টারকমে রানী দেবীকে ডেকে পাঠালেন। ব্যাপারটা কোনদিকে গড়াচ্ছে তা বললেন। তারপর বললেন, তুমি এই নম্বরে একটা ডায়াল কর তো? এটা ‘ক্যালকাটা কনফিডেন্সিয়াল ডিটেক্‌টিভ সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিস। দেখ, ওখানে মহম্মদ ইসমাইল বলে কোনো এমপ্লয়ী আছে কি না।

রানী তাঁর অভ্যস্ত আঙুলে ডায়াল করলেন। ও-পক্ষের বক্তব্য শুনে নিয়ে বাসুকে জানালেন, আছেন। তবে মহম্মদ ইসমাইল ওঁদের এমপ্লয়ী নন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের পার্টনার। নাও, কথা বল।

বাসু টেলিফোন-রিসিভারটা নিয়ে বলেন, হ্যালো, মহম্মদ ইসমাইল কি আছেন?

—আছেন। আপনি কে কথা বলছেন?

—তাঁকে বলুন পি. কে. বাসু বার-অ্যাট-ল কথা বলতে চান।

একটু পরেই লাইনে এলেন ইসমাইল : আদাব অর্জ, বাসু-সাহেব। সোচতা হ্যয় কি বিশ বরিষ হো গয়্যে?

—তা হবে। আমি নতুন করে প্র্যাকটিশ শুরু করার পর আর আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। তাই জানি না যে, আপনি ‘ক্যালকাটা কনফিডেনশিয়াল ডিটেকটিভ সার্ভিসের একজন মালিক হয়ে গেছেন ইতিমধ্যে।

—কৈসে জানবেন, স্যার? আপনি তো নতুন বেহেস্তি হুরীকে নিকা করেছেন; ‘সুকৌশলী’। তাই আমাদের খবর নেন না!

—তা বলতে পারেন। রে-সাহেবের আমলে আমাদের সব কাজ তো আপনারাই করতেন। তবে আজ একটা বিশেষ প্রয়োজনে আপনাকে ফোন করছি। এটা ‘সুকৌশলী’কে দিয়ে হবে না।

—ফরমাইয়ে সা’ব। আমরা জানকবুল লড়ে যাব।

—আপনি তো জানেন আমার এই নিউ আলিপুরের ইউ-শেপ বাড়ির একটা প্রান্তে আমার চেম্বার, অপরপ্রান্তে ‘সুকৌশলী’র অফিস। ঐ অফিসে অ্যারাউন্ড বেলা একটা নাগাদ একজন মহিলা আসবেন। ক্লায়েন্ট বিবাহিতা। বয়স আন্দাজ পঁচিশ। সম্ভবত একাই আসবেন। সুজাতাকে নিশ্চয় চেনেন, তার সঙ্গে কনফিউজ করবেন না। ওদের অফিসে দুপুরবেলা ক্লায়েন্টের ভিড় হয় না। মনে হয়, লোকেট করতে পারবেন। নাম মিসেস্ বড়গোঁহাই। অন্তত সে তাই বলছে। এর বেশি কিছু ইনফরমেশান দিতে পারছি না। আপনি সাড়ে বারোটা থেকে ঐ অফিসটা নজরবন্দি করুন। মেয়েটিকে ফলো করার ব্যবস্থা করুন। যতক্ষণ না বারণ করছি তাকে ‘শ্যাডো’ করার ব্যবস্থা করুন। আমি তার সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চাই। কলকাতার ঠিকানা, অতীত ইতিহাস, সত্যিই ভদ্র মহিলার স্বামী ডক্টর বড়গোঁহাই কি না। এছাড়া টেলিফটো-লেন্সে দূর থেকে তোলা দুটি ফটো। একটা সামনে থেকে, একটা পাশ থেকে

ইসমাইল বলল, পেয়ে যাবেন। আজ ‘সুকৌশলী’-অফিসে বেলা বারোটা থেকে দুটোর মধ্যে ঐ উমরের যত মহিলা আসবেন সক্কলের ফটোই কাল সকালের মধ্যে পাবেন। ওঁর কলকাতা অ্যাড্রেসও তাই। তবে ‘পাস্ট হিস্ট্রি’ সংগ্রহ করতে কুছু টাইম লাগবে।

—ন্যাচারালি। আপনি আমার অফিসে টেলিফোন করবেন না। আমিই সুবিধামতো ফোন করে জেনে নেব। এটা শুধু আপনার আমার মধ্যে।

—ও. কে. স্যার! প্লীজ ইউজ য়োর কোড নাম্বার! ইয়াদ আছে?

—আছে!

বিকেলবেলা কৌশিক আবার এল। বলল, একটা দুঃসংবাদ আছে, মামু-

—দুঃসংবাদ! কার? তোমার না আমার? নাউ দ্যাট উই আর ফাইটিং ইচ আদার।

—আমার। আপনার পক্ষে অবশ্য সুসংবাদ।

–হেঁয়ালি ছেড়ে আসল কথাটা বলবে, না সেটা তোমার ‘সুকৌশলী’র কফিডেনশিয়াল খবর?

—সুকৌশলীর গোপন খবর হলে আর আপনার কাছে যেচে জানাতে আসব কেন? ‘মার্ডার-ওয়েপনটা’ সম্ভবত খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্তত লালবাজারের হোমিসাইড সেক্‌শানের তাই বিশ্বাস। পুলিশ সংবাদটা গোপন রেখেছে। তাই কাগজে ছাপা হয়নি।ঘর সার্চ করার সময় একটা পয়েন্ট টু-টু স্প্যানিশ রিভলভার পাওয়া গেছে। তাতে কারও ফিঙ্গার- প্রিন্ট নেই। চেম্বারে পাঁচটা বুলেট, শুধু ব্যারেলের সামনেরটা এক্সপেন্ডেড। জিনিসটা পাওয়া গেছে অনীশ আগরওয়ালের আলমারির পিছনে। অর্থাৎ আলমারি আর দেয়ালের মাঝখানে যে তিন ইঞ্চি ফাঁক, সেখানে।

বাসু বলেন—পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেছে?

—পুলিশে পেয়েছে বোধহয়। না হলে আজ-কালই পাবে। মৃত্যু বুলেট-উন্ডে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে দেহের ভিতর লেড-বলটা পাওয়া না গেলে বলা যাবে না, ঐটাই মার্ডার- ওয়েপন কি না।

বাসু বলেন, রবি কী বলছে?

—রবি ইদানীং নজরবন্দী হয়ে পড়েছে—কেস আপনার হলে। ওর উপর-মহল সন্দেহ করছেন, রবি গোপনে আপনাকে সব খবর সাপ্লাই করে!

—আই সী! না না, রবির কোনো ক্ষতি হোক, এ আমি চাই না।

সুজাতা তাগাদা দেয়, তুমি মামুকে ও-কথাটা বলবে না? মিসেস বড়গোঁহাই তোমাকে দুপুরে যা বলে গেল?

বাসু বলেন, অসুবিধা থাকে তো থাক না।

কৌশিক বলে, না। এটা তো দুদিন পর প্রকাশ হয়ে পড়বেই। এ কোনো গোপন কথা নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে এই : ডক্টর বড়গোঁহাই-এর একটা পয়েন্ট টু-টু রিভলভার ছিল…

—’ছিল’? মানে এখন নেই? খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?

—এখনকার কথা মিসেস বড়গোঁহাই বলতে পারছেন না। কারণ তাঁর স্বামীও নিরুদ্দেশ! আজ সকাল থেকে।

—সে কী! রাজাবাজারে ‘পথিক হোটেলে’ খোঁজ নিয়ে দেখেছ?

—হ্যাঁ। মিসেস বড়গোঁহাই নিজে গিয়ে জেনেও এসেছেন।

—হ্যাং য়োর মিসেস বড়গোঁহাই! তোমরা নিজেরা খোঁজ নিয়ে দেখেছ?

—আজ্ঞে হ্যাঁ। আজ সকালে সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি চেক-আউট করে বেরিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন কেউ জানে না।

—হুঁ! বুঝলাম। সুকৌশলীর পক্ষে এটা নিতান্তই দুঃসংবাদ। ওর আত্মগোপন করার ব্যাপারটা।

—এবং রিভলভারটা। যদি সেটা বড়গোঁহাই-এরই হয়।

—হবে না। হতে পারে না। বড়গোঁহাই এতবড় ইডিয়ট নয় যে, নিজের নামে লাইসেন্সকরা-রিভলভারটা খুন করার পর ঐ অনীশ আগরওয়ালের আলমারির পিছনে লুকিয়ে রেখে যাবে।

—সেটাও ভেবেছি আমরা। ডক্টর বড়গোঁহাই খুনটা করলে রিভলভারটা ওখানে না ফেলে কলকাতার রাস্তায় যে-কোনো ম্যানহোলে ফেলে দিয়ে থানায় রিপোর্ট করতেন যে, সেটা চুরি গেছে। এটাও যেমন সত্য তেমনি ওটাও মিথ্যা নয়, রিভলভার চুরি হয়ে যাবার পর তিনি থানায় রিপোর্ট তো করেনইনি বরং আত্মগোপন করেছেন।

—আ-হা-হা! তুমি ধরে নিচ্ছ কেন যে, অস্ত্রটা ডক্টর বড়গোঁহাই-এর। দ্বিতীয় কথা, হয়তো এটা আত্মাগোপন মোটেই নয়। উনি গুয়াহাটি ফিরে গেছেন।

—মিসেস বড়গোঁহাই বললেন…

—আগে প্রমাণিত হোক, উনিই মিসেস বড়গোঁহাই…

—বাঃ! উনি ম্যারেজ রেজিস্টারের সার্টিফিকেটের ফটোস্ট্যাট কপি দেখালেন যে।

—কোথায় বিয়েটা হয়েছিল? কবে?

—গুয়াহাটিতে। বছর দুই আগে।

—কই? মাধবীকে নিমন্ত্রণ করেননি তো!

বাহুল্যবোধে এরা নীরব রইল।