তোমার মতোই আমি বিন্যাসের সপক্ষে এখনও।
মানুষের স্বরচিত মূর্তি, খিলানের কারুকাজ
কিংবা কোনো গাঢ় চতুর্দশপদী-যা কিছু প্রসূন
ঐকান্তিক বিন্যাসের আমার আনন্দ তাতে আজও
অবাধ অটুট; কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক কিছুই
অবিন্যস্ত হয়ে যায়, অকস্মাৎ এলোমেলো।
মানুষ সঙ্গমকালে বিস্মৃতি লালন করে বুঝি
অগোচরে সারাক্ষণ। বেশবাস প’ড়ে থাকে কোণে,
অগোছাল, সুস্মিত সুগোল টিপ অলক্ষ্যে কখন
কপালে ছড়িয়ে যায়। বুকে, নাভিমূলে, থুতনিতে
অথবা গ্রীবায় লেগে থাকে থরো থরো চুম্বনের
ম্যাজেন্টা স্বাক্ষর, সেই দাগ ক্রমান্বয়ে নীল হয়,
তবে কি মানুষ ওষ্ঠে পুষে রাখে বিষ অন্তরালে?
সংগমের কাল শেষ হলে আমরা দুজন একা
দু’দিকে বিচ্ছিন্ন প’ড়ে থাকি, অবিন্যস্ত, যেন তীব্র
বিস্ফোরণ হেতু দ্বিখণ্ডিত একটি প্রধান সেতু।
অথচ কেমন সুবিন্যস্ত রয় আমাদের প্রেম।