বহুদিন পর প্রেমের কবিতা
বুকের ভিতরে যেন মুচড়ে উঠলো একুশে এপ্রিল
একুশে এপ্রিল, ওকি চুলের ভিতরে কার ক্ষীণ বজ্রমুষ্টি?
বিষম লোভের মধ্যে ছুটোছুটি-দুর শহর, অব্যক্ত মন্দিরে
ব্রীজের অনেক নিচে চাঁদ, আঃ সহ্য হয় না। এমন জ্যোৎস্নায়
জলের বিমর্ষ শব্দ, এক আনার টিকিট পেরিয়ে
ওপারে পৌঁছুলে ট্রেন, স্টেশনের একুশে এপ্রিল
রাত্রি দিয়েছিল।
চোরকটা ভরা মাঠে মরা সাপ, যেও না ডিয়ার
আর ও দিকে, দূরে কাছে কোথাও বা অপর সাপের
অসহবাসের কষ্ট অতি বিষ হয়ে আছে, আমি
মেয়েসাপ বড় ঘৃণা করি…এত চাঁপা ফুল কোথায় ফুটেছে
এমন সতেজ গন্ধ…অথবা কি বী-হাইভ ব্ৰাণ্ডির?
কখন খেয়েছো? আঃ! হোল্ড মি টাইট, আঃ, এমন ধারালো
নোখ রেখো না, উঁ, আ, হুঁ হুঁ উঁ, আঃ, আঃ, আ–
বিষ নেই আমার ঠোঁটে বা জিভে বিষ নেই, মৃত্যু নেই, আ
হোন্ড মি টাইট ডিয়ার,…আমার শরীর নেই কাকে ধরবে, আ–
বিষ দিও না ঠোঁটে, প্লিজ, জরায়ুর মধ্যে একটা বিষপিণ্ড দিও না
আ–উঁ, উঁ, উঁ, উঃ, লাগে, লাগে আঃ আরো মারো; আমাকে
নিষ্ঠুর ভাবে মারো!
কে ছিল তোমার সঙ্গে মা শেরি, কে ছিল সেই একুশে এপ্রিল?
ইংরেজি সোহাগ বাক্য কে বলেছে? অতি ভয়ঙ্কর জ্যোৎস্নারাতে
মানুষ বিষম অন্ধকার হয়
চোখ মুখ চেনাযায় না, ভিজে ঘাসে শরীরে শরীর…
আ আম সিনা, সিনা দা পোয়েট, কে তোমায় বলেছিল ফিসফিসিয়ে, আমি?
দেখো এই করতল, অবিশ্বাস কত রুক্ষ, এই চোখ দেখে বোঝা যায়
কতদিন পলক ফেলেনি, কলকাতা শহরে কোনো কবি নেই, সবাই পুলিশ
তাই ট্রাফিকের এত গণ্ডগোল, লণ্ঠন জ্বালার চেয়ে অগ্নিকাণ্ডে কতটা সুবিধে
সকলেই জেনে গেছে,…আমার মাথায় শীত, মাংসের বাজারে
ভয়াবহ নামডাক, সরলতা ছিল সেই সন্ধেবেলা, আজ
আমাকে আবার তুমি ডাক দেবে? কোথায় নদীর সেই ছলচ্ছল শব্দ, দূরে
বিষণ্ণ মাল্লার গান–সেদিনের কথা ভেবে কেন আজ খুশির বদলে
বুক ভরে কুয়াশায়, চোখ জ্বালা করে ওঠে, যেন একজীবন
গাছের ছায়ায় একা বসে আছি, কোনোদিন নারীর হৃদয়ে
হেলাইনি এই মাথা, বিস্মরণে এত কৃতঘ্নতা,
এবার ফিরিয়ে নাও একুশে এপ্ৰিল।
এবার ফিরিয়ে দেবো একুশে এপ্রিল আমি, ও মুকুট আমায় মানায় না।