হিংস্র উড়োজাহাজের ঘন ঘন পীড়নে মৃত্তিকা
বড় বেশি আর্তনাদ করে,
কখনো কখনো জ্বলে ওঠে অভিমানে,
হয়তো-বা একদিন রুখেই দাঁড়াবে।
এই যে এখন বসরার গোলাপেরা আচানক
মুষড়ে পড়েছে খুব, বাগদাদে চলছে তাণ্ডব,
একদা নন্দিত মূর্তি লুণ্ঠিত ধুলায় ইদানীং
এই প্রবণতা অশুভের পূর্বাভাস সুনিশ্চিত।
তবে কি আখেরে বসরাও
বাগদাদে ঘোর অমাবস্যা
নেমে এলো? আমার দু’চোখে
ভয়ঙ্কর দৃশ্যাবলি কাঁপে।
রাত্তিরে শোবার আগে রবীন্দ্রনাথের
কিছু গান শোনার আশায় এক সি.ডি.
রেকড চাপাতে গিয়ে দেখি, কিয়দ্দূরে
একজন ইরাকী জননী বুকে তার
গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে নিয়ে বড় একা
দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরো দেখি বারান্দায়
চিৎ হয়ে শুয়ে খুব কাতরাচ্ছে, হায়,
ইরাকেরই একজন যুদ্ধাহত সেনা।
আখেরে আক্রান্ত ইরাকের ভবিশ্যৎ কোন্ রূপে দেখা দেবে,
জানা নেই। সাদ্দামের অবসান হোক আর না-ই
হোক, শুভবাদী বিশ্ববাসী
তুলবেন দৃঢ় হাত ইরাকের সব দেশপ্রেমী
নর-নারী বিজয়ের পতাকার পক্ষে। বসরার
গোলাপেরা হাসুক আবার, শক্রমুক্ত হোক প্রিয় বাগদাদ।
১০-৪-২০০৩