বন্দীরও মুহূর্ত আছে চার দেয়ালের গণ্ডি ছেড়ে
মেঘের রঙিন গালিচায় উড়ে যাবার এবং
গ্রীক দেবতার মতো সরোবরে সাঁতার কাটার।
সে মুহূর্ত আটকাবে তাকে, সাধ্য নেই সর্বোত্তম
প্রহরীর।এমন মুহূর্ত আসে, যখন নিঃসঙ্গ
কয়েদীন শিকল, গায়ের বেড়ি সরোদের মতো
বেজে ওঠে অতীতের কোনো সুখদ স্মৃতির টানে,
স্বাধীন চাঁদের ফালি নেমে আসে করতলে তার।
উৎপীড়নে জর্জরিত, বুকে পিঠে ক্রুর কালসিটে;
কখনো দুঃস্বপ্ন তাকে বন্য কুকুরের পাল হয়ে
করে তাড়া বারবার। মুক্তির সোপান উদ্ভাসিত
মাঝে-মধ্যে পুনরায় শূন্যে চকিতে মিলিয়ে যায়।
তবু সে বন্দীর মনে হয় কোনো একদিন তার
একলার নয়, শোষিতের একতার হবে জয়।