বংশাবলি ২ – ০৩

১ জেরুশালেমের মোরিযা পর্বতের ওপর শলোমন প্রভুর মন্দির বানানোর কাজ শুরু করলেন। এইটি সেই জায়গা যেখানে প্রভু, শলোমনের পিতা, রাজা দাযূদের সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং সেটি ছিল যিবূষীয় অর্ণানের শস্য মাড়াইযের খামার।
২ শলোমন তাঁর রাজত্বের চতুর্থ বছরের দ্বিতীয় মাসে মন্দির বানানোর কাজ শুরু করেন।
৩ ঈশ্বরের মন্দিরের ভিতের দৈর্য়্ঘ ছিল ৬০ হাত আর প্রস্থ ২০ হাত।
৪ মন্দিরের সামনের গাড়ি বারান্দাটি উচ্চতায় ও দৈর্য়্ঘে ছিল ২০ হাত। ভেতরের দিকের চত্বরটি শলোমন আগাগোড়া সোনায মুড়ে দিয়েছিলেন।
৫ তিনি মন্দিরের বড় ঘরের দেওয়ালে দেবদারু কাঠের আস্তরণ দিয়ে তার ওপরে সোনার আস্তরণ দিয়েছিলেন। সেই সব দেওয়ালে তালগাছ আর শিকলের ছবি খোদাই করা ছিল।
৬ মন্দিরটিকে আরো সুন্দর দেখাবার জন্য শলোমন বহু মূল্যবান পাথর দিয়ে সাজিযেছিলেন এবং তিনি পর্বযিমের সোনা ব্যবহার করেছিলেন।
৭ মন্দিরের কড়িকাঠগুলি, দরজার কাঠামোগুলি, দরজাগুলি এবং মন্দিরের দেওয়ালগুলি তিনি সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন এবং দেওয়ালের ওপর তিনি করূব দূতদের প্রতিকৃতি খোদাই করেছিলেন।
৮ শলোমন মন্দিরের পবিত্রতম স্থানটিও নির্মাণ করেছিলেন। পবিত্রতম স্থানটি দৈর্য়্ঘে ও প্রস্থে ছিল ২০ হাত। অর্থাত্‌ পবিত্রতম স্থানের মাপ আর মন্দিরের প্রস্থের মাপ ছিল এক। পবিত্রতম স্থানের দেওয়ালও ২৩ টন সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়।
৯ এক একটা সোনার পেরেকের ওজন ছিল ১ ১,৪ পাউণ্ড। মন্দিরের ওপর ঘরগুলোও শলোমন সোনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন।
১০ পবিত্রতম স্থানে রাখবার জন্য তিনি দুটি করূব দূতের মূর্ত্তি খোদাই করেছিলেন এবং সেগুলো সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন।
১১ এই করূব দূতদের এক একটা ডানার দৈর্য়্ঘ ছিল প্রায ৫ হাত অর্থাত্‌ ডানার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্য়ন্ত মোট দৈর্য়্ঘ ছিল প্রায ২০ হাত।
১২ করূব দূতের মূর্ত্তি দুটো এমনভাবে বসানো হয়েছিল যাতে মাঝামাঝি জায়গায় এদের একজনের ডানার সঙ্গে অন্যজনের ডানা ছুঁযে থাকে।
১৩ তাদের ডানাগুলি ছড়িয়ে দিয়ে তারা ২০ হাত জায়গা ঢেকে দিয়েছিল এবং তাদের পাযের ওপর এমনভাবে দাঁড়িয়েছিল যে মনে হচ্ছিল যেন তারা ঘরের ভেতরের দিকে চেয়ে আছে।
১৪ নীল, বেগুনী এবং লাল রঙের কাপড় দিয়ে শলোমন পর্দাসমূহ বানিয়েছিলেন এবং সেগুলোর ওপর সূচীশিল্প দিয়ে করূব দূতও বানিয়েছিলেন।
১৫ মন্দিরের সামনে প্রায ৩৫ হাত দীর্ঘ দুটি স্তম্ভ বানানো হয়েছিল। এই দুটি স্তম্ভের ওপরের অংশ দুটো ছিল ৫ হাত দীর্ঘ।
১৬ তিনি শেকলের মত মালা তৈরী করেছিলেন এবং সেগুলো স্তম্ভ দুটির মাথায় রেখেছিলেন। এর পরে তিনি এক শত ডালিম তৈরী করেছিলেন এবং সেগুলো মালায স্থাপন করেছিলেন। তারপর তিনি ১০0 টি ডালিম তৈরী করে সেই মালায বসিযে দিয়েছিলেন। মন্দিরের সামনে ডানদিকে যে স্তম্ভটা বসানো হয়েছিল শলোমন তার নাম দিয়েছিলেন “যাখীন” এবং বাঁদিকের স্তম্ভটার নাম দেওয়া হয় “বোযস।”
১৭