১ রূবেণ ছিলেন ইস্রায়েলের প্রথম সন্তান। তাই, প্রথামত তাঁরই বড় ছেলের বিশেষ সম্মান ও সুবিধে পাবার কথা। কিন্তু য়েহেতু রূবেণ তাঁর পিতার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন সেই কারণে বড় ছেলের অধিকার য়োষেফের পুত্ররা পেয়েছিলেন। পারিবারিক ইতিহাসেও, রূবেণের নাম বড় ছেলের হিসেবে নথিভুক্ত করা নেই। যিহূদা য়েহেতু তাঁর ভাইদের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, সেহেতু তাঁর পরিবার থেকেই নেতা স্থির করা হত। তা সত্ত্বেও, বড় ছেলের বিশেষ অধিকার ও অন্যান্য ক্ষমতা য়োষেফের বংশের লোকরাই ভোগ করতেন। রূবেণের পুত্ররা ছিল হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী।
২
৩
৪ য়োয়েলের উত্তরপুরুষদের তালিকা নিম্নরূপ: য়োয়েলের পুত্রের নাম শিমযিয, শিমযিযর পুত্রের নাম গোগ, গোগের পুত্রের নাম শিমিযি,
৫ শিমিযির পুত্রের নাম মীখা, মীখার পুত্রের নাম রাযা, রাযার পুত্রের নাম বাল,
৬ বালের পুত্রের নাম ছিল বেরা। অশূররাজ তিগ্লত্-পিলেষর রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর এই নেতাকে তার জায়গা ছাড়তে বাধ্য করেন এবং তাঁকে নির্বাসন দেন।
৭ য়োয়েলের ভাইদের ও তাঁর পরিবারের পরিচয় তাঁর পরিবারগোষ্ঠীর ইতিহাস অনুযায়ীছিল নিম্নরূপ: এই বংশের বড় ছেলে ছিলেন যিয়ীয়েল, তারপর সখরিয় আর
৮ আসসের পুত্র বেলা। আসস ছিলেন শেমার পুত্র। শেমা ছিলেন য়োয়েলের পুত্র। এঁরা অরোযের থেকে নবো এবং বাল্-মিযোন পর্য়ন্ত অঞ্চলে বাস করতেন।
৯ পূর্বদিকে ফরাত্ নদীর কাছে মরুভূমি পর্য়ন্ত অঞ্চলে এঁদের বসবাস ছিল। বসবাসের জন্য তাঁরা এই অঞ্চল বেছে নিয়েছিলেন কারণ তাঁদের গিলিয়দে অনেক গবাদি পশু ছিল।
১০ শৌলের রাজত্ব কালে, বেলার লোকরা হাগরীযদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তাঁদের হারিয়ে তাঁদের তাঁবুতে বসবাস করতে শুরু করেন এবং গিলিয়দের পূর্বপ্রান্ত পর্য়ন্ত অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেন।
১১ গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের কাছেই বাশন অঞ্চলের শহর সলখা পর্য়ন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করতেন।
১২ বাশনের প্রথম নেতা ছিলেন য়োয়েল। তারপরে যথাএমে শাফম ও যানয় নেতা হন।
১৩ মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, য়োরায, যাকন, সীয আর এবর হলেন এই পরিবারের সাত ভাই।
১৪ এঁরা সকলেই হূরির পুত্র অবীহযিলের উত্তরপুরুষ। আবার হূরি ছিলেন যারোহর পুত্র, যারোহ গিলিয়দের পুত্র, গিলিয়দ মীখায়েলের পুত্র, মীখায়েল য়িশীশযের পুত্র, য়িশীশয় য়হদোর পুত্র আর য়হদো ছিলেন বূষের পুত্র।
১৫ অন্য এক পরিবারের নেতা অহির পিতার নাম অব্দিয়েল। তিনি ছিলেন গূনির পুত্র।
১৬ গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গিলিয়দ অঞ্চলে বসবাস করত। এঁরা বাশন ও বাশনের পার্শ্ববর্তী ছোট খাটো শহর থেকে সীমান্তে শারোণ পর্য়ন্ত সমস্ত সমভূমিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন।
১৭ এই সমস্ত নামগুলি গাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং এগুলি যিহূদার রাজা য়োথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিযামের সময়ে নথিভুক্ত করা হয়।
১৮ রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে ৪৪,৭৬০ জন সাহসী লোক ছিল। ঢাল-তরোযাল ছাড়াও তীর-ধনুক নিয়ে যুদ্ধ করাতেও তারা ছিল পারদর্শী।
১৯ এরা হাগরীয, য়িটূর, নাফীশ ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
২০ মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যুদ্ধে তাদের সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করেন। ঈশ্বর তাদের সাহায্য করেন কারণ তারা তাঁকে বিশ্বাস করেছিল এবং তারা হাগরীযদের ও অন্যান্য সকলকে যুদ্ধে পরাস্ত করে।
২১ তাদের ৫০,000 উট, ২,৫০,000 মেষ এবং ২,000 গাধা নিয়ে নেওয়া ছাড়াও তারা ১,00,000 ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন।
২২ ঈশ্বর বয়ং রূবেণের বংশের লোকদের সহায় হওয়ায বহু হাগরীয যুদ্ধে নিহত হন এবং অতঃপর মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারের লোকেরা হাগরীযদের বাসভূমিতে থাকতে শুরু করেন। ইস্রায়েলের লোকরা বন্দী হওয়ার আগে পর্য়ন্ত তাঁরা ওখানেই বাস করেছেন।
২৩ মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক লোক বাল্-হর্ম্মোণ, সনীর ও হর্ম্মোণ পর্বত পর্য়ন্ত বাশন অঞ্চলে বসবাস করতেন। এমশঃ তাঁরা একটি বড় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছিলেন।
২৪ এফর, য়িশী, ইলীযেল, অস্রীযেল, য়িরমিয, হোদবিয, য়হদীযেল প্রমুখ বিখ্যাত সাহসী বীররা ছিলেন এঁদের নেতা।
২৫ কিন্তু এঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপাচরণ করে এই অঞ্চলের প্রাক-বাসিন্দাদের ভ্রান্ত দেবদেবীর আরাধনা শুরু করলেন। এ কারণেই ঈশ্বর কিন্তু প্রাক-বাসিন্দাদের ধ্বংস করেছিলেন।
২৬ ফলতঃ, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অশূররাজ পূল যিনি তিগ্লত্-পিলেষর নামেও পরিচিত ছিলেন, যুদ্ধ করবার উস্কানি দিলেন এবং তিনি রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বন্দী করে নির্বাসনে নিয়ে গেলেন। এই সমস্ত বন্দীদের পূল হেলহ, হাবোর ও হারা এবং গোষণ নদীর কাছে নিয়ে এলেন। সে দিন থেকে আজ পর্য়ন্ত তারা সেখানেই বসবাস করে আসছেন।