আমরা কুয়াশাঘেরা জনসাধারণ
গোলকধাঁধায় ঘুরি, বুঝি কি না বুঝি, ঘুরছি তো
ঘুরছি শুধুই ডানে কিংবা বামে, কখনো বা খুব
সোজাসুজি। মাথায় কখন
মাথা ঠুকে যায় আর এ ওর শরীরে ধাক্কা লেগে
কোথায় কে যায় গড়াগড়ি;
সহজে পড়ে না চোখে। এরই মধ্যে সদর স্ট্রিট কি
গলি ঘুঁজি, যেখানেই হোক, কালো হিংস্র হাতগুলো
আমাদের সামান্য যা পুঁজি
লুট করে দেয় ছুট এমনকি সন্ত্রস্ত, আংশিক বজ্রাহত
জনকের সমুখেই দুহিতার সম্ভ্রম বিশদ
হয়ে যায় ছিনতাই অস্ত্রের ছায়ায়।
আমরা কুয়াশাঘেরা জনসাধারণ অবিরাম
গোলকধাঁধায় ঘুরি মরি। এ কী রঙ্গ এই বঙ্গে
চোখে পড়ে দিন দুপুরেই! সতেরোটি ঘোড়া আর
আজব সওয়াব আজ ন’শ’ বছরের
প্রেত সেজে রাজপথে মেতেছে যাত্রার ঢঙে ঢের
মিথ্যাচার আর বানোয়াট ইতিহাস প্রচারের
বিমূঢ় নেশায়
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ ধ্বনি তুলে।
প্রতিক্রিয়াশীলতার চোরা টানে অন্তঃসারহীন
মরা অতীতের পররাজ্যলোভী হামলাকারীর
প্রেতকেই ডেকে আনে ওরা বর্তমানে,
বিছিয়ে বিস্তর কাঁটা পথে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করে।
কাদাজল ঠেলে ঠেলে পথ চলি, অলিগলি খুঁজি,
যদি বেরুবার দিকচিহ্ন
পেয়ে যাই; কারা মুছে ফেলে দিকচিহ্নগুলি
কালি মেখে রাতারাতি? অকস্মাৎ শুনি
বাঁশির মধুর সুর। এমন আন্ধারে ভাসমান
মলখণ্ডময় কাদাজল ঠেলে ঠেলে
কে বাজায় বাঁশি? তার হাতে কেউ দেয়নি কি গুঁজে
ভীষণ গন্তব্যহীনতার কোনো ফজুল টিকিট?