প্ৰেমবিহীন
ভয়ঙ্কর স্থির সত্যে ডুবে যাব, সুরম্য বিজয়া,
ধৃষ্ট বাঞ্ছা মুছে গেলে পার্থিব ললাটে, ওষ্ঠে চুলে
খেয়ালি আগুন থেকে কে বাঁচাবে? বৃক্ষসম দয়া
সবুজ আঁচলে ঢেকে, জয়া, তুমি এসেছিলে মায়াবী আঙুলে—
বিশ্বচরাচর ছুঁয়ে দিতে, যেন বিশ্বাসের গোপন সৌন্দর্যে,
প্ৰতিভায়
বিখ্যাত শান্ডিকে পাবে, যেন আমি পৃথিবীর
সবটুকু খনিজ গন্ধক
চুরি করে হেসে উঠবো হা-হা শব্দে, অস্ত্রহীন রাত্রির বিভায়
আমাকে সাজাতে বুঝি চেয়েছিলে, দয়াময়ী
সভ্যতার শেষ বিদূষক?
পৃথিবীকে ভালোবাসবো, এতখানি ভালোবাসা এই বুকে নেই
গভীরে প্রতিষ্ঠাবান আয়ুহীন কীর্তির পাতাল;
মুহুর্তে জীবন শিল্প চূর্ণ হয়, গ্লানিহীন, পরমুহুর্তেই
কলসে ওঠে স্মৃতিমূর্তি, গ্লানিহীন খেয়ালি আগুনে চিরকাল।
ভয়ঙ্কর স্থির সত্যে ডুবে যাব খরচক্ষে, অটুট শরীরে
অভিলাষ গুপ্ত করে কৃষ্ণকায় হীরকের মতো,
এক জীবনের শোক অনেক ভাটার স্রোতে আসে ফিরে ফিরে
জয়ী, তোর প্ৰেম পেলে ঊরুদ্ধয় শক্তিমান হতো!