কিছুদিন হলো ভারি বদরাগী ব’লে বদনাম
রটেছে আমার।
অথচ বন্ধুরা জানে যখন তখন
দেলশাইয়ের কাঠির মতন ফস ক’রে
বিযম ওঠে না জ্ব’লে আমার মেজাজ।
হঠাৎ সেদিন
আপিস ফেরত আমি ক্রোধের বিকারে সারা পথে
ছড়িয়ে এসেছি কাঁটা অবলীলাক্রমে। স্বপ্নে দেখি,
পথের বেবাক কাঁটা রাশি রাশি হ’য়ে সুখে
দোল খায় নিশীথের তন্দ্রিল হাওয়ায়।
কী-যে হয়, অকস্মাৎ আমার দু’হাত
কোত্থেকে মুখোশ এনে আমার নিজেরই মুখে ঠিক
দেয় সেঁটে, পরমুহূর্তেই,
কী অবাক কান্ড,
কালো সে মুখোশ
তন্বী হয়ে নেচে দূর স্বর্গপথে চ’লে যায়।
দুর্নিবার ক্ষোভে একরাশ অন্ধকার নিয়ে দ্রুত
বানাই আদিম গুহা চতুর্দিকে, অপদেবতার
মতো হাসি ক্ষণে ক্ষণে, শাবাস শাবাস ব’লে করি
প্রস্থান নিদ্রায়, জেগে দেখি উৎফুল্ল জ্যোৎস্নার তোড়ে
আঁধার গিয়েছে ভেসে, নিশ্চিহ্ন সে-গুহা
প্রেতের বদলে
বিপুল জ্যোৎস্নায় তৈরী রাজহাঁস হাঁটে প্রতিবেশে।
কেন যে এমন রেগে যাই বারবার? কেন দাঁতে দাঁত ঘষি?
লেখার টেবিলে ব’সে রাত জেগে সাজাই কেবলি
ঘৃণায় অক্ষরমালা, কী জাদুতে ওরা সহজেই
প্রেমের কবিতা হ’য়ে যায়।