প্রাইসলেস বুদ্ধ – ৫

শিরো মাৎসুয়োকা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমি লোকের বয়স ভালো আন্দাজ করতে পারি না। তাও মনে হল সত্তরের কম হবে না। শান্তশিষ্ট ছোটোখাটো মানুষ। বোঝাই যায় খুব বনেদি লোক, আর ভীষণ ভদ্র। আমরা ঢুকে পরিচয় দিতেই উঠে দাঁড়িয়ে বাও করে বসতে বললেন। তারপর আমাদের প্রত্যেকের নাম বার দুই শুনে আস্তে আস্তে ভালো করে উচ্চারণ করলেন। ওঁর উচ্চারণ খুব স্পষ্ট, ইংরেজিতেও একটা আমেরিকান টান আছে। মনে হয় এদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বেশ অনেক দিনের 

প্রথমেই আমরা কষ্ট করে ওঁর কাছে এসেছি বলে অনেক ধন্যবাদ দিলেন। পুলিশ তাদের কাজ করছে। কিন্তু আমরা যে এগিয়ে এসেছি তোশির সম্মান রক্ষার জন্য সেটা মনে হল ওঁর কাছে ইম্পর্টেন্ট। বার বার বললেন, তোশির মতো সৎ, কর্মঠ, ভদ্র ও শ্রদ্ধাশীল লোক পৃথিবীতে বেশি নেই। তার মৃত্যুর পর এইভাবে তার ওপর চুরির অপবাদ আনার মতো অসম্মানজনক কাজ আর কিছুই হতে পারে না। বুঝলাম এখানকার পত্রপত্রিকাগুলোর খবর ওঁর কানে গেছে। 

“আপনারা টাকার জন্য কোনো চিন্তা করবেন না। আপনাদের কাজ করতে যা টাকা লাগে আমি দেব। অনেক না হলেও কিছু টাকা আমার আছে। এই বয়সে সেটা নিয়ে আমি কীই-বা আর করব।” বলে ওঁর কার্ড আমাদের এগিয়ে দিলেন। 

একেনবাবু কার্ডটা নিয়ে বললেন, “থ্যাংক ইউ স্যার। তবে কিনা উনি আমাদের বন্ধু ছিলেন। এটুকু করতে না পারলে স্যার আমাদেরই খারাপ লাগবে।”

মিস্টার মাৎসুয়োকা আমাদের সবার দিকে এক বার তাকালেন। কথাটা শুনে উনি খুব প্রীত হয়েছেন মনে হল। ধীর স্বরে বললেন, “তোশির বন্ধুভাগ্য দেখছি এদেশেও ভালো ছিল।”

আমরা চুপ করে রইলাম। 

“আপনাদের জন্য একটু চা বলি,” বলে দরজার পাশে দাঁড়ানো পরিচারককে নিজের ভাষায় কী একটা হুকুম করলেন। “আপনাদের জন্য ইন্ডিয়ান টি বললাম। জানি জাপানি চা ভারতীয়রা পছন্দ করে না।”

চা শুনে আমার হঠাৎ মনে এল জাপানি টি সেরিমনির কথা। জাপানিদের কাছে চা খাওয়াটা নাকি মস্ত একটা অনুষ্ঠান পর্ব- হাজার তার আদবকায়দা। ইন্ডিয়ান টি বলেই বোধহয় সেরিমনিটা আর হল না। পরিচারকটি দেখলাম দেয়ালের পাশে দাঁড় করানো একটা টেবিলের দিকে এগোচ্ছে। টেবিলে একটা ফুলদানিতে একগুচ্ছ ফুল, আর পাশে দুটো ভারি সুন্দর টি পট আর কয়েকটা কাপ। বুঝলাম আমরা আসব বলে আগেই চায়ের বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে। 

চা আসার পর তাতে একটা চুমুক দিয়ে মিস্টার মাৎসুয়োকা বললেন, “আমি এতদিন নিউ ইয়র্ক আসতাম দুটো আকর্ষণে- একটা তোশি আরেকটা প্রাইস লস বুদ্ধ। তোশিকে আমি জন্মাতে দেখেছি, আর প্রাইসলেস বুদ্ধের কথা শুনে এসেছি আমার জন্ম থেকে। দুটো আকর্ষণের কোনোটাই আর রইল না।”

বুঝলাম বৃদ্ধ মানসিকভাবে বেশ বিধ্বস্ত! 

মিস্টার মাৎসুয়োকা বলে চললেন, “তোশিকে আর পাব না। সে স্বেচ্ছায় চলে গেছে। কেন অবশ্য জানতে পারলাম না। সে দুঃখ কোনোদিন যাবে না। তবে আমার একমাত্র আশা আপনারা প্রাইসলেস বুদ্ধকে খুঁজে বার করবেন। মরার আগে আমি আরেক বার ওটাকে এসে দেখে যেতে চাই।”

আমরা কেউ কিছুক্ষণ কোনো কথা বললাম না। একেনবাবুই প্রথম মুখ খুললেন। বললেন, “আপনি স্ট্যাম্প খুব ভালোবাসেন স্যার?”

বৃদ্ধ শুধু একটু তাকালেন। বলার প্রয়োজন নেই, দৃষ্টিতেই উত্তরটা স্পষ্ট। তারপর বললেন, “তোশিকে হাতে ধরে আমিই স্ট্যাম্প চিনতে শিখিয়েছিলাম। ওর অবশ্য জমানোর দিকে ঝোঁক ছিল না। কিন্তু ও ছিল স্ট্যাম্পের জহুরি।”

“আপনি নিজে বোধহয় স্যার স্ট্যাম্প জমান।”

“তা জমাই, বলতে পারেন ওটাই আমার একমাত্র নেশা।”

প্রমথ হঠাৎ দুম করে বলে বসল, “প্রাইসলেস বুদ্ধের দাম পত্রিকায় দেখলাম প্রায় কুড়ি হাজার ডলার! আমি তো ভাবতেই পারি না স্ট্যাম্পের দাম এত হয় কী করে!”

প্রমথটা একটা গাড়ল। যে ভদ্রলোক প্রাইসলেস বুদ্ধ এত ভালোবাসেন, তার সামনে কথাটা এভাবে কখনো বলা উচিত! 

মিস্টার মাৎসুয়োকা অবশ্য খুব শান্তভাবেই উত্তর দিলেন, “স্ট্যাম্পের দাম সব আমাদের মনে। আপনি কুড়ি হাজারের কথা বলছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে দামি স্ট্যাম্প হল ব্রিটিশ গায়ানার ওয়ান সেন্ট ম্যাজেন্টা। এক মিলিয়ন ডলার- সেও প্রায় এক যুগ আগের দাম।”

“মাই গড!” আমি বললাম, “কে এত টাকা দিয়ে কিনল?”

মাথা নাড়লেন বৃদ্ধ, “কেউ জানে না।”

উত্তরটা শুনে আমি অবাক! এক মিলিয়ান ডলার খরচা করে একজন স্ট্যাম্পটা কিনেছে, কিন্তু কেউ তার নাম জানে না— এটা কি একটা বিশ্বাসযোগ্য কথা? 

আমার মনের ভাবটা বুঝতে পেরে মিস্টার মাৎসুয়োকা বললেন, “স্ট্যাম্পের জগতে এগুলো আকছার হয়। কালেক্টাররা নিজেদের নাম গোপন রেখে এজেন্টদের দিয়ে নিলামে স্ট্যাম্প কেনেন। কিনে সেগুলোকে সিন্দুকে বন্ধ করে রাখেন। এইভাবে কত ভালো ভালো স্ট্যাম্প সবার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে।”

এইরকম খ্যাপামির কারণ ঠিক বুঝলাম না। কারণ কিছু যদি থেকেও থাকে সেটা আর জানা হল না। তার আগেই প্রমথ প্রশ্ন করল, “ওয়ান সেন্ট ম্যাজেন্টার আর কোনো কপি নেই? “

“না। সবাইকে এখন ওটার ছবি দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।”

“প্রাইসলেস বুদ্ধের কি কোনো কপি আছে স্যার?” একেনবাবু জিজ্ঞেস করলেন। 

মিস্টার মাৎসুয়োকা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, “শুধু একটাই থাকার কথা, কিন্তু আজও আমি খুঁজে পাইনি।”

“সেটাও কি স্যার কেউ কিনে লুকিয়ে রেখেছেন?”

“যদ্দূর মনে হয়, না। ওটা কোনোদিনই নিলামে ওঠেনি।”

“আমি কিন্তু স্যার একটু কনফিউজড,” একেনবাবু বললেন। 

“কেন বলুন তো?”

“আপনি স্যার বলছেন স্ট্যাম্পের আরেকটা কপি ছিল। কী করে আপনি এত শিওর হলেন?”

“তার কারণ স্ট্যাম্পের অন্য কপিগুলো আমাদের সম্রাটের আদেশে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল।”

এবার শুধু একেনবাবু নয়, আমরা সবাই কনফিউজড! 

“বুঝতে পারছি কথাটা শুনে আপনারা খুব অবাক হচ্ছেন। কারণ প্রাইস লস বুদ্ধের ইতিহাসটা আপনারা কেউ জানেন না,” কথাটা বলে মিস্টার মাৎসুয়োকা চায়ে আরেকটা চুমুক দিলেন। 

ইতিহাসটা কী— সেটা আর আমাদের জিজ্ঞেস করতে হল না। উনি নিজেই আরম্ভ করলেন, “আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে আমাদের মহামান্য সম্রাট একটা স্ট্যাম্প তৈরি করার আদেশ দেন যাতে বুদ্ধের মুখ আঁকা থাকবে। সেটা সৃষ্টি করার দায়িত্ব পড়ে আকিরা কোবায়াশি নামে একজন বিখ্যাত শিল্পী ও এনগ্রেভারের ওপর। তখনকার দিনে অনেক স্ট্যাম্পই তৈরি হত এনগ্রেভ প্রিন্টিং করে।”

“এনগ্রেভ প্রিন্টিং কী স্যার?” একেনবাবু প্রশ্ন করলেন। 

“এক ধরনের ছাপার পদ্ধতি। এ দিয়ে খুব সূক্ষ্ম কাজের নকশা সৃষ্টি করা যায়, যা নকল করা প্রায় দুঃসাধ্য।”

“কীভাবে এটা করা হয় স্যার?” আবার একেনবাবুর প্রশ্ন। গল্পটা বার বার থামছে দেখে প্রমথ দেখলাম বিরক্ত হচ্ছে। 

“আমি সেটা খুব ভালো জানি তা নয়। আমার যেটুকু জ্ঞান তা হল, একটা লোহার পাতে খোদাই করে এনগ্রেভার প্রথমে ছাপার নকশাটা তৈরি করে। তারপর সেটাতে কালি লাগিয়ে কাগজে ছাপ দেওয়া হয়।”

আমি অবশ্য এনগ্রেভ প্রিন্টিং-এর ব্যাপারটা জানতাম। এদেশের ডলারের নোটগুলো সব এনগ্রেভ প্রিন্টিং করা। সেই সূত্রেই কোথায় জানি এ নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। বৃদ্ধ একটু সরলীকরণ করেছেন বলে সেটাকে বিশদ করতে যাচ্ছি— প্রমথ খাঁটি বাংলায় ধমক লাগাল, “তুই চুপ করবি? বিদ্যে-জাহির একটু পরেই না হয় করিস।”

মিস্টার মাৎসুয়োকা বিজাতীয় ভাষায় কচকচি শুনে একটু থতমত খেয়ে প্রমথ দিকে তাকালেন। প্রমথ নিমেষে গলার সুর পালটে বলল, “বলুন, যা বলছিলেন।”

বৃদ্ধ এদিকে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। বললেন, “কী জানি বলছিলাম?”

“প্রাইসলেস বুদ্ধের কথা।” প্রমথ মনে করিয়ে দিল। 

“ও হ্যাঁ। কোবায়াশি তাঁর সূক্ষ্ম আঁচড়ে বুদ্ধের যে মুখটা সৃষ্টি করলেন শিল্পের দিক থেকে তা তুলনাহীন, কিন্তু যেটা তিনি ভুলে গেলেন, সেটা হল নীচে স্ট্যাম্পের দাম লিখতে। শিল্পী মানুষ- এসব ছোটোখাটো জিনিস তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। এদিকে এনগ্রেভিংটা শেষ করার পর পরই কোবায়াশির মৃত্যু হল। ওঁর মৃত্যুর পর স্ট্যাম্পটা যখন প্রথম ছাপা হল, দেখা গেল তাতে কোনো দাম লেখা নেই। দামহীন স্ট্যাম্প বাজারে ছাড়লে সমস্যা হবে এই ভেবে সম্রাট স্ট্যাম্পগুলো এবং ছাপার পাত, দুটোই ধ্বংস করার হুকুম দিলেন। সব কিছুই ধ্বংস হল, শুধু দুটো স্ট্যাম্প কোবায়াশির ছেলেকে দেওয়া হয়েছিল তার বাবার শেষ সৃষ্টি বলে। স্ট্যাম্পে কোনো প্রাইস দেওয়া নেই, তাই নাম হয়ে গেল ‘প্রাইসলেস বুদ্ধ’। দুটোর মধ্যে একটার খবর স্ট্যাম্প জগতের লোকেরা জানে। নানা হাত ঘুরে সেটা নিউ ইয়র্ক মিউজিয়ামে আসে। অন্যটা যে কোথায় এখনও রহস্য। মাঝে মাঝে খবর পাওয়া যায় কেউ না কেউ সেটা পেয়েছে। কিন্তু প্রতি বারই ধরা পড়ে গেছে সেগুলো জাল। 

“অ্যামেজিং স্যার, ট্রলি অ্যামেজিং স্টোরি!” একেনবাবু মাথা নাড়তে নাড়তে বললেন। 

“আরেকটু চা দিতে বলি?” মিস্টার মাৎসুয়োকা আমাদের অনুমতি চাইলেন।

আমরা একবাক্যে বললাম, “হ্যাঁ।” প্রথমত চা-টা উপাদেয়, তার ওপর এই বৃদ্ধের সঙ্গ। মিস্টার মাৎসুয়োকা নিঃসন্দেহে একজন ভেরি ইন্টারেস্টিং ম্যান। 

দ্বিতীয় পর্ব চা আসার পর, মিস্টার মাৎসুয়োকা বললেন, “আপনারা নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন কেন আপনাদের এত তাড়াহুড়ো করে ডেকেছি?”

সত্যি কথা বলতে কী, আমি সেটা ভুলেই মেরে দিয়েছিলাম। বোধহয় ওঁর কথাগুলো শুনতে এত ভালো লাগছিল যে আর কিছু শোনার থাকতে পারে সেটা ভাবিনি। একেনবাবু বললেন, “তা একটু হয়েছি, স্যার।”

“তাড়াহুড়োর কারণ হল আজ বিকেলেই আমি টোকিও ফিরে যাচ্ছি। তবে এটা ঠিক শুধু এগুলো বলার জন্যে আপনাদের ডাকিনি। যদিও স্ট্যাম্পের ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে আমি যা আনন্দ পাই আর কিছুতে তা পাই না।” বৃদ্ধ একটু দম নিলেন। আবহাওয়াটা হঠাৎ যেন একটু থমথমে হয়ে গেল। বৃদ্ধ চায়ে আরেকটা চুমুক দিয়ে বললেন, “একটা খবর মনে হল আপনাদের জানানো দরকার। যদিও জানি খবরটা একসময় না একসময় আপনারা পেতেন, কিন্তু সেটা পেয়ে আপনাদের হয়তো ভুল ধারণা হত।”

“খবরটা কী স্যার?”

“আমি নিজে বহুদিন ধরে প্রাইসনেস বুদ্ধের খোঁজ করছি। মানে দ্বিতীয় কপিটার। এবার আসার আগে খবর পেয়েছিলাম নিউ ইয়র্কে এক ডিলারের কাছে নাকি ওটা আছে। তাই এসেই তোশিকে ওটার খোঁজ করতে বলি।” কথাটা বলে বৃদ্ধ একমুহূর্তের জন্য থামলেন। মুখ দেখেই বুঝলাম ভেতরের একটা বেদনা উনি চাপার চেষ্টা করছেন। “আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, “ বৃদ্ধ বলে চললেন, “স্ট্যাম্পটা অদৃশ্য হওয়ার খবরটা শুনে আমার খালি মনে হচ্ছে স্ট্যাম্পের এই অদৃশ্য হবার সঙ্গে তোশির মৃত্যুর কোনো যোগ আছে কিনা। এটা আমাকে কী ব্যথা দিচ্ছে তা আপনাকে বোঝাতে পারব না। কিন্তু আমি কিছুতেই দুটোকে মেলাতে পারছি না।”

আমার খুব খারাপ লাগল। মনে হল এ দুটোর সঙ্গে হয়তো কোনো যোগই নেই, অথচ কী ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন বৃদ্ধ! 

“তোশির সঙ্গে আপনার শেষ কথা কবে হয় স্যার?” একেনবাবু প্রশ্ন করলেন। 

“বুধবার। কিন্তু ফোনে। আমি হিউস্টনে গিয়েছিলাম একটা কাজে। সোমবার সকালে ফিরেছি।”

“তখন স্ট্যাম্প নিয়ে কি কোনো কথা হয়েছিল?”

“হ্যাঁ। তোশি বলে যার কাছে স্ট্যাম্পটা আছে বলে শুনেছে সে নাকি বাইরে। শুক্রবারের আগে সে ফিরবে না। আমি ওকে বলি যে করে হোক আমাকে স্ট্যাম্পটা জোগাড় করে দিতেই হবে। আমি এই মঙ্গলবারই ওটা সঙ্গে করে টোকিও নিয়ে যেতে চাই। ও একটু ইতস্তত করছিল— এত দামি স্ট্যাম্প, একটু ভালো করে দেখে-শুনে তো নিতে হবে! ব্যস, এইটুকুই। হিউস্টন থেকে এখানে আসার আগে ওকে আমি ফোন করি। তখন পুলিশ ফোন ধরে জানায় তোশি আর নেই।”

“স্ট্যাম্প ডিলারটির নাম কি আপনাকে উনি বলেছিলেন?”

“না। তবে হতে পারে যে লোকটি ভারতীয়। কারণ তোশি মনে হচ্ছে বলেছিল বুদ্ধের দেশের লোক।”

নির্ঘাত ভারতীয়। কারণ তোশি সবসময়ই ভারতীয়দের বুদ্ধের জ্ঞাতি বলতেন। তাহলে কি মিস্টার মেহেতার কাছে স্ট্যাম্পটা আছে?