ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

প্রবচন ০৭

১ পুত্র আমার, আমার কথাগুলো মনে রেখো। আমার আদেশ ভুলো না।
২ তুমি যদি আমার আদেশ পালন কর তুমি বাঁচবে। আমার এই শিক্ষামালা য়েন তোমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
৩ আমার শিক্ষা এবং আদেশ সর্বদা মনে রেখো। আমার শিক্ষামালা তোমার আঙুলের চারপাশে বেঁধে রাখো। তোমার হৃদয়ে খচিত করে রাখো।
৪ প্রজ্ঞাকে তোমার প্রেমিকহিসেবে বিবেচনা করো এবং বোধকে তোমার সব চেয়ে ভাল বন্ধু বলে বিবেচনা করবে।
৫ তাহলে প্রজ্ঞা এবং বোধ তোমাকে “পরস্ত্রী” থেকে রক্ষা করবে। প্রজ্ঞা তোমাকে সেই ব্যভিচারিণীর হাত থেকেও রক্ষা করবে য়ে মধুর বাক্য বলে।
৬ এক দিন আমি আমার জানালার বাইরে বহু নির্বোধ যুবককে দেখতে পেলাম।
৭ ঐ যুবকদের মধ্যে এক বুদ্ধিহীন যুবকও আমার নজরে পড়লো।
৮ সে এক কু-রমণীর বাড়িতে গেল। সে ঐ রমণীর বাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটতে লাগল।
৯ তখন সূর্য় অস্ত যাচ্ছে। অন্ধকার নেমে আসছে। রাত শুরু হচ্ছিল।
১০ ঐ রমণী যুবকের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ির বাইরে এল। তার সাজসজ্জা বারবণিতার মতো। সে ঐ যুবকের সঙ্গে সারা রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেছিল।
১১ সে ছিল এক জন বিদ্রোহীসুলভ, অমার্জিত নারী। সে কখনও ঘরে থাকতে ভালবাসত না!
১২ সে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগল। সে রাস্তার প্রতিটি বাঁকে অপেক্ষা করছিল।
১৩ সে ঐ যুবককে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করল। সেই লজ্জাহীন ঐ যুবকের চোখের দিকে তাকিযে বলল,
১৪ “আমাকে আজ মঙ্গলার্থক বিসর্জন দিতে হয়েছে। আমি আমার মানত পূর্ণ করেছি।
১৫ বাড়ীতে আমার কাছে এখনও অমাবস্যার নৈবেদ্যর খাবার প্রচুর পরিমাণে পড়ে রযেছে। তাই তোমাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনেক খোঁজাখুঁজি এবং প্রতীক্ষার পর অবশেষে তোমাকে পেলাম!
১৬ আমি আমার শয়্য়ার নতুন চাদর পেতেছি। মিশরীয সেই সূতীর বিছানার চাদরগুলি খুব সুন্দর।
১৭ আমি আমার শয়্য়ার ওপর মস্তকি, ঘৃতকুমারী ও দারুচিনির সুগন্ধি ছড়িয়েছি!
১৮ এস, আমরা সারারাত ধরে য়ৌনক্রীড়ায মত্ত হই। আমরা সকাল পর্য়ন্ত প্রণযজ্ঞাপন করব।
১৯ আমার স্বামী ঘরে নেই। তিনি বাণিজ্য় করতে দূরে যাত্রা করেছেন।
২০ তিনি প্রচুর অর্থ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। বহুদিন ঘরে ফিরবেন না। আগামী পূর্ণিমার আগে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা নেই।”
২১ ঐ ব্যভিচারিণী যুবকটিকে প্রলুদ্ধ করবার চেষ্টা করছিল। তার মনোরম মধুর বচনে যুবকটি বিপথগামী হল।
২২ এবং নির্বোধ যুবকটি ঐ ব্যাভিচারিণীর ফাঁদে পা দিল। গরু য়ে ভাবে কসাইখানার দিকে পা বাড়ায, হরিণ য়েমন ব্যাধের পেতে রাখা ফাঁদের দিকে এগিয়ে যায়, সেই ভাবে সে ঐ পরস্ত্রীর দিকে এগিয়ে গেল।
২৩ ঐ যুবকটি ছিল একজন শিকারীর তীরবিদ্ধ হরিণের মত। সে ছিল জালের দিকে উড়ে যাওয়া একটি পাখীর মত। তার পরিণাম য়ে তার জীবনহানি ঘটাবে এ কথা ঐ যুবকটি ভাবতেও পারে নি।
২৪ প্রিয় পুত্রগণ, আমার কথা শোন। আমার কথাগুলো মন দিয়ে শোন।
২৫ কোন পাপীযসী রমণীর মোহজালে আবদ্ধ হয়ো না। তার পথ অনুসরণ কোরো না।
২৬ সে অগুনতি মানুষের পতন ঘটিযেছে। সে অসংখ্য় মানুষকে ধ্বংস করেছে।
২৭ তার গৃহ সাক্ষাত্‌ মৃত্যুপুরী। তার জীবনযাপনের পদ্ধতি মানুষকে সরাসরি মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।