ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

প্রবচন ০৩

১ পুত্র আমার, আমার শিক্ষা ভুলো না। আমি তোমাকে যা করতে বলি তা সযত্নে মনে রেখো।
২ আমার কথাগুলি তোমাকে দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধিপূর্ণ জীবন প্রদান করবে।
৩ ভালোবাসাকে কখনও পরিত্যাগ করো না। সর্বদা সত্‌ এবং বিশ্বস্ত থাকবে। এই জিনিসগুলিকে তোমার নিজের অঙ্গীভূত করে নাও। এইগুলি তোমার কন্ঠে জড়িয়ে রাখো, তোমার হৃদয়ে লিখে রাখো।
৪ তাহলেই তুমি ঈশ্বর এবং মানুষের কাছে বিচক্ষণ এবং পুণ্যবান সাব্যস্ত হবে।
৫ ঈশ্বরকে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস কর। নিজের জ্ঞানের ওপর নির্ভর কোরো না।
৬ তুমি যা কিছু করবে তাতে সর্বদা ঈশ্বরকে এবং তাঁর ইচ্ছাকে স্মরণ করবে। তাহলেই তিনি তোমাকে সাহায্য করবেন।
৭ নিজের বুদ্ধি বিবেচনার ওপর নির্ভর কোরো না। ঈশ্বরকে ভক্তি কর এবং পাপ থেকে দূরে থাকো।
৮ যদি তুমি এই কথাগুলি পালন কর তাহলে তুমি উপকৃত হবে ঠিক য়েমন ওষুধ শরীরকে নিরাময করে অথবা য়েমন এক মাত্রা তরল পানীয় তোমাকে শক্তি দেয়।
৯ তোমার যথাসর্বস্ব সমর্পণ করে প্রভুকে ধন্য কর। তোমার শস্য়ের উত্কৃষ্টতম ফসলগুলি প্রভুর সামনে উত্সর্গ কর।
১০ তাহলে তোমার যাবতীয় প্রয়োজন প্রভুই মিটিয়ে দেবেন। তোমার গোলা শস্য়ে ভরে যাবে এবং তোমার ভাণ্ডারে দ্রাক্ষারস উপচে পড়বে।
১১ আমার পুত্র, কখনও কখনও তোমার ভুলত্রুটি তোমাকে দেখিয়ে দেবার জন্য প্রভু তোমাকে শাসন করবেন। এই শাস্তির জন্য রাগ কোরো না। ঐ শাস্তি থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা কোরো।
১২ কেন? কারণ ঈশ্বর কেবল তাঁর স্নেহাস্পদদেরই সংশোধন করেন। হ্যাঁ, ঈশ্বর আমাদের পিতার মত, তিনি তাঁর প্রিয়তম সন্তানকেই শোধরানোর চেষ্টা করেন।
১৩ য়ে ব্যক্তি প্রজ্ঞা লাভ করেছে, সে সুখী হবে। যখন সে বোধশক্তিপ্রাপ্ত হবে, তখন সে আশীর্বাদধন্য হবে।
১৪ প্রজ্ঞা থেকে য়ে লাভ আসে তা রূপোর চেয়েও ভালো। প্রজ্ঞা থেকে য়ে লাভ হয় তা সূক্ষ্ম সোনার চেয়েও ভালো!
১৫ প্রজ্ঞার মূল্য মণি-মাণিক্যের চেয়েও বেশী। তোমার অভীষ্ট কোন বস্তুই প্রজ্ঞার মত অমূল্য নয়।
১৬ প্রজ্ঞা তোমাকে ধনসম্পদ, সম্মান এবং দীর্ঘজীবন এনে দেবে।
১৭ জ্ঞানী লোকরা শান্তিপূর্ণ, সুখী জীবনযাপন করে।
১৮ প্রজ্ঞা হল জীবন বৃক্ষের মত। প্রজ্ঞাকে যারা গ্রহণ করবে, তারা সুখী ও মনোরম জীবনযাপন করবে। জ্ঞানী ব্যক্তিরাই যথার্থ সুখী হবে!
১৯ প্রজ্ঞা এবং বোধকে প্রভু আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করবার জন্য ব্যবহার করেছেন।
২০ মহাসমুদ্র এবং মেঘরাশি যা বৃষ্টি দেয় তা প্রভুর জ্ঞানের দ্বারাই সৃষ্ট।
২১ পুত্র আমার, প্রজ্ঞাকে তোমার দৃষ্টির অগোচর হতে দিও না! তোমার চিন্তা এবং পরিকল্পনা করবার ক্ষমতাকে বুদ্ধিমানের মত রক্ষা কর।
২২ প্রজ্ঞা এবং বোধ তোমাকে জীবন দান করবে এবং তোমার জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
২৩ তাহলে তুমি নিরাপদে জীবনযাপন করবে এবং কখনও পতিত হবে না।
২৪ বিছানায শুতে যাবার সময় তুমি ভয় পাবে না। তুমি শান্তিতে বিশ্রাম নিতে পারবে।
২৫ দুষ্ট লোকদের দ্বারা সৃষ্ট আশাতীত বিপদের কথা ভেবে ভয় পেও না।
২৬ প্রভু তোমার সঙ্গে থাকবেন এবং তোমাকে ফাঁদে পড়া থেকে আটকে দেবেন।
২৭ যখনই সম্ভব হবে, যাদের তোমার সাহায্যের দরকার, তাদের ভালো করো।
২৮ তোমার প্রতিবেশী যদি তোমার কাছে কিছু চায় এবং তা যদি তোমার কাছে থাকে, তাহলে সেটা তখনই তাকে দিয়ে দিও। প্রতিবেশীকে সেটা পরের দিন নিতে আসতে বোলো না।
২৯ তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে দুষ্ট পরিকল্পনা কোরো না। সে তোমার কাছাকাছি থাকে এবং সে তোমাকে বিশ্বাস করে!
৩০ কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া কাউকে আদালতে তুলো না। সে যদি তোমার কোন অনিষ্ট না করে এটা কোরো না।
৩১ হিংসাত্মক লোকদের হিংসা কোরো না এবং তাদের পথ অনুসরণ করবার সিদ্ধান্ত নিও না।
৩২ কেন? কারণ প্রভু দুষ্ট, অসাধু লোকদের ঘৃণা করেন এবং সত্‌ ও ভালো লোকদের ভালবাসেন।
৩৩ দুষ্ট লোকদের পরিবারগুলির ওপর প্রভুর অভিশাপ রযেছে। কিন্তু ধার্মিক লোকদের গৃহগুলিকে তিনি আশীর্বাদ করেন।
৩৪ যারা অপরকে নিয়ে পরিহাস করে সেই দাম্ভিক ব্যক্তিদের প্রভু শাস্তি দেন। প্রভু বিনযী ব্যক্তিদের প্রতি দযাশীল।
৩৫ জ্ঞানী লোকরা এমন জীবনযাপন করে যা সম্মান আনে। কিন্তু নির্বোধরা এমন জীবনযাপন করে যার পরিণতি লজ্জা।