ডাকটিকেটে নেই, কোনো ব্যাঙ্কনোটে, সরকারি
কিংবা বেসরকারি দপ্তরেও নেই। ক্যালেন্ডারেও থাকার
কথা নয়। আছে একান্ত আমার কাছে
তোমার রঙিন ফটোগ্রাফ,
যা’ তুমি আমাকে দিয়েছিলে
প্রথম উপহার হিসেবে।
মুখস্থ হয়ে গ্যাছে ফটোগ্রাফস্থিত তোমার
বসবাস আঙ্গিক, হাসির ছন্দ আর স্তনের ডৌল।
যখন ভাবি, তুমি বসে আছো।
আমার পাশে অথবা মুখোমুখি, তখন
যুগপৎ মৃত্যুভয় আর বাঁচার অগাধ সাধ
আমাকে নাচায় এবং
রক্ত মাংসের প্রতিমার তুলনায়
ফটোগ্রাফটিকে, রঙিন হওয়া সত্ত্বেও, কেমন নিষ্প্রভ
মনে হয়। কী করবো এই ছবি নিয়ে
যা’ আমাকে স্পর্শ করে না একবারও, বাঁধে না আলিঙ্গনে
অথবা আচ্ছন্ন করতে পারে না
চুম্বনে চুম্বনে?
উপহার-পাওয়া সেই ফটোগ্রাফ সযত্নে রয়েছে
আমার প্রিয় এক বইয়ের ভেতর,
এবং তোমার অন্য এক ছবি সমাসীন আমার হৃদয়ে,
যা কোনো স্বৈরাচারী শাসকই
নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে না কোনোদিন,
যেমন করেছে নন্দিত পটুয়া কামরুল হাসানের চিত্রপ্রদর্শনীকে।