প্রকৃত কতটা পথ শেষ তক পারবো পেরুতে,
জানা নেই। সময় যে ফুরিয়ে আসছে
ক্রমান্বয়ে অতি দ্রুত-এইটুকু বুঝি
সুনিশ্চিত। হঠাৎ কখন
কোথায় থামতে হবে কোন্ জনপদে
অথবা কেমন বিরানায়, সে-তো সুপ্ত অজানায়।
বস্তুত কাটছে কাল সরাইখানায়; অকস্মাৎ সবকিছু
নির্ঘাৎ পেছনে ফেলে কৃষ্ণ কুয়াশায়
মিশে যেতে হবে সুনিশ্চিত। নিজেকে পাবো না
খুঁজে কিছুতেই কোনওখানে। এমনই তো নিয়তির ক্রূর খেলা।
এই ভয়ঙ্কর সত্য জেনেও এখানে এই রৌদ্র ছায়াময়
পৃথিবীতে নিশ্বাস নেয়ার
প্রবল বাসনা নানা বিচ্ছেদ, হতাশা, আক্রমণ
সত্ত্বেও অটুট আজও। জীবনের আলিঙ্গন কাঙ্ক্ষণীয় খুব।
বর্তমানে এই আমি আয়নায় তাকাতে গেলেই
খানিক ভড়কে যাই নিজের চেহারা দেখে, এই যে লোকটা
সম্মুখে প্রতিফলিত, একে
আমি কতটুকু চিনি? কে সে বাস্তবিক? শামসুর
রাহমান নাম তার বটে, মাথাভরা একরাশ
সাদা চুল, ভাঙা চোরা মুখে
পশ্চিমাকাশের স্বর্ণথালার মতোই
আভা প্রতিফলিত এখন। আচমকা
এই দৃশ্য মুছে যাবে, জন্ম হবে আরেক দৃশ্যের,-
এমনই তো পট পরিবর্তনের পালা।
হঠাৎ যেদিন পৃথিবীর পট থেকে মুছে যাবো,
হয়তো আপনজন করবে স্মরণ কিছুদিন, তারপর
মুখের আদল এই মানবের ম্লান থেকে ম্লানতর
হয়ে যাবে, অন্ধকার বড়ই নিষ্ঠুর।
৯-৪-০৩