পায়রাদের ওড়াউড়ি
ভোরবেলা পার্কের রেলিং-এ হেলান দিয়ে বসে আছে
একজন মানুষ
চিন্ময় আলোয় একঝাঁক পায়রার দিকে এক দৃষ্টিতে
চেয়ে আছে কৈশোরের দিকে
কাছাকাছি পথচারীদের পায়ের আওয়াজে একটা ঝটাপট শব্দ তুলে
উড়ে যাচ্ছে পায়রাগুলো, আবার
ফিরে আসছে ঠিক একই জায়গায়
কী যেন খুঁটে খাচ্ছে আবহমান কাল থেকে
লোকটি শুধু সেদিকে তাকিয়ে আছে, কোনও চিত্রকল্প নয়
এমনই তাকিয়ে আছে
মুসোলিনি কিংবা হিটলার কোনওদিন ওই পায়রাদের ওড়াউড়ি দেখেনি
যখন যুদ্ধে জমে উঠেছে পৃথিবী, কেঁপে উঠেছে ভারসাম্য
তখনও ওই পায়রাগুলো ডানা কাঁপিয়ে উড়ে এসেছে নির্মেঘে
হাওয়া থেকে ধুলোমাটির স্বর্গে
ওই লোকটি ঠায় বসে থাকে পার্কের রেলিং-এ ঠেস দিয়ে।
এদিকে গর্জন করছে ওয়াল স্ট্রিট, অন্য দিকে জাঁকিয়ে বসেছে
মুখোশ ব্যবসায়ীরা
যারা বন্দুক উঁচিয়ে অমর হবে ভেবেছিল
তারা শেষ পর্যন্ত হয়েছে পোকামাকড়ের খাদ্য
যারা অন্যের মাথায় পা রেখে জয়ের আনন্দ পেতে চেয়েছিল
তাদেরই ছিন্ন মুণ্ড গড়াগড়ি খেয়েছে জল কাদায়
তারই মধ্যে ওড়াউড়ি করেছে চঞ্চল পায়রাগুলি, নরম পালকের
শব্দে আদর করেছে অনাদি সময়কে
আর পার্কের রেলিং-এ হেলান দিয়ে বসে থেকেছে
চিরকালের একজন মানুষ
চিন্ময় আলোয় চেয়ে থাকে
কৈশোরের দিকে…