পরি’পূর্বক ‘বিষ’ধাতু তাহে ‘অনট্’ বসে
তবে ঘটায় পরিবেষণ, লেখে অমরকোষে।
– অর্থাৎ ভোজের ভাণ্ড হাতে লয়ে মেলা
ডেলা ডেলা ভাগ করি পাতে পাতে ফেলা।
এই দিকে এস তবে লয়ে ভোজভাণ্ড
সমুখে চাহিয়া দেখ কি ভীষণ কান্ড।
কেহ কহে “দৈ আন” কেহ হাঁকে “লুচি”
কেহ কাঁদে শুন্য মুখে পাতখানি মুছি।
হোথা দেখি দুই প্রভু পাত্র লয়ে হাতে
হাতাহাতি গুঁতাগুতি দ্বন্দ্বরণে মাতে।
কেবা শোনে কার কথা সকলেই কর্তা-
অনাহারে কতধারে হল প্রাণ হত্যা।
কোন প্রভু হস্তিদেহ ভুঁড়িখানা ভারি
ঊর্ধ্ব হতে থপ্ করি খাদ্য দেন্ ছাড়ি।
কোন চাচা অন্ধপ্রায় (মাইনাস কুড়ি)
ছড়ায় ছোলার ডাল পথঘাট জুড়ি।
মাতব্বর বৃদ্ধ যায় মুদি চক্ষু দুটি,
“কারো কিছু চাই” বলি তড়বড় ছুটি-
বীরোচিত ধীর পদে এস দেখি ত্রস্তে-
ওই দিকে খালি পাত, চল হাঁড়ি হস্তে।
তবে দেখ, খাদ্য দিতে অতিথির থালে
দৈবাৎ না ঢোকে কভু যেন নিজ গালে।
ছুটোনাকো ওরকম মিছে খালি হাতে
দিও না মাছের মুড়া নিরামিষ পাতে।
অযথা আক্রোশে কিবা অন্যায় আদরে
ঢেলো না অম্বল কারো নতুন চাদরে।
বোকাবৎ দন্তপাটি করিয়া বাহির
করোনাকো অকারণে কৃতিত্ব জাহির।