পদ্মায় পুনর্বার
এইমাত্র এসে ভিড়লো ফেরী জাহাজ। কী সৌভাগ্য আমার, রেলিং-এ ভর দিয়ে দাঁড়াবার জায়গা পেলুম।
নদীর ওপর নেই, মধ্যিখানে চড়া রোদ্দুর রং-এর এক ঝাঁক পাখির লুটোপুট আকাশের নীল রেখা ভেদ করে উড়ে গেল বিমান, জল আলোড়িত হলো, ছাড়লো ফেরী।
যে রেলিং-এ ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সে একটি বালকের পঁচিশ বছর পরের চেহারা। সে শৈশব ও মধ্য যৌবনের দুরকম চোখ নিয়ে দেখছে নদী। যেন সব কিছুই চেনা, অথচ মানুষটিকে কেউ চেনে না।
বিস্ময়বোধের পাশে এসে দাঁড়াল বুদ্ধি, বেদনাকে সান্ত্বনা দেয় যুক্তি, দীর্ঘশ্বাসকে উড়িয়ে নিয়ে যায় হু-হু হাওয়া, নদীর জলে হালকা মেঘের ছায়া পড়ে।
হে নদী কীর্তিনাশা, তোমার শান্ত গভীরতায় উন্মোচিত হয় ছদ্মবেশ। গোয়ালন্দ ভেঙে তুমি ছুঁয়েছো ফরিদপুর। মানুষ আসে যায়, নদী পার হয়, বাতাস উড়িয়ে ভেসে যায় নৌকোর সারি, সময় এদের সবাইকে চিহ্ন দিয়ে গেছে।
শৈশব ও মধ্য যৌবন সম্মিলিত করে আমি বিপুল জলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। হঠাৎ নাকে এলো মুর্গী রান্নার গন্ধ, তৎক্ষণাৎ সেইদিকে…