বইটা ফেলে খুকুমণি
মায়ের কাছে বায়না ধরে;
পক্ষীরাজের পিঠে চড়ে
একলা যাবে তেপান্তরে।
হট্রমালার হাট পেরিয়ে
যাবে বটে অনেক দূরে।
মেঘের সাথে চলবে উড়ে,
পড়বে ছায়া সমুদ্দুরে।
কড়ির পাহাড়, পাষাণপুরী
পেছনে রইবে পড়ে,
পক্ষীরাজের সওয়ার হয়ে
খোকন যাবে তেপান্তরে।
দৈত্যদানোর নিশ্বাস লেগে
কত কিছুই গেছে উড়ে,
পক্ষীরাজের ডানাজোড়া
এক নিমেষে গেছে পুড়ে।
ঘোড়ার পা’টা আজকে কোথায়
আটকে গেছে কোন সে চরে?
তাই বলো না কেমন করে
খোকন যাবে তেপান্তরে?
বইটা খুলে খুকুমণি
ভাবছে কী যে অতশত।
নতুন কিছু খুঁজছে যেন
নয়া কলম্বাসের মতো।