৬
কৌশিক ফিরে এল রাত আটটা নাগাদ। এসেই বললে, এবার আপনার ঐ মান্ধাতা আমলের গাড়িটা বাতিল করুন, মামু!
—কেন, উঠানটা কি খুবই বেঁকে গেছে?
—আজ্ঞে না। সব্সে-জবর নাচনেওয়ালিও একই কমপ্লেন করবে। যাকে ফলো করছি সে ঝড়াকসে একবারে স্টার্ট নিয়ে নাকের ডগা দিয়ে বেরিয়ে গেল, আর আপনার পুষ্পক রথ ঝকড়-ঝকড় করে স্টার্ট নিতেই চায় না। যখন নিল, তখন সামনের গাড়িটা হাওয়া। আমি কী করতে পারি?
বাসু বললেন, ঠিক আছে। ঠিক আছে। সব দোষ আমার গাড়ির। কিন্তু তুমি কতদূর কী জেনে এসেছ, শুনি। সুজাতার কিস্সা শেষ হয়েছে, ‘কিং’ ধরাশায়ী আর ‘কিংকং’ পুলিশ- ইন্সপেক্টরের নাকের ডগা দিয়ে হাওয়া। আর তুমি ঐ কিংকং-এর পিছু নিলে। তারপর?
কৌশিকের রিপোর্ট অনুসারে জানা গেল যে, অনিবার্ণ হরীশ মুখার্জি রোড ধরে হাজরা রোডে এসে পড়ে। বাঁয়ে বাঁক নেয়। হাজরা পার্কের কাছে গাড়িটা পার্ক করে নেমে যায়। ওখানে যে একটা পাবলিক টেলিফোন বুথ আছে সেটাই জানা ছিল না কৌশিকের। সে কিছু দূরে গাড়িটা পার্ক করল। অনিবার্ণ গাড়ি লক করে এগিয়ে গেল টেলিফোন বুথটায়। অনিবার্ণকে খুবই চিন্তাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল। ডাইনে-বাঁয়ে তাকাচ্ছে না। কেউ যে তাকে অনুসরণ করতে পারে, বা করছে, এ বোধই নেই। ফলে তার নজর এড়িয়ে অনায়াসে পিছন পিছন কৌশিকও এগিয়ে আসে।
টেলিফোন বুথটা খালি। একটা মাত্র খুপরি। নিচের দিকটা কাঠের প্যানেল, উপরে কাচ কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে পিছনের কাচখানা ভাঙা। হাজরা মোড়ে পুলিশ আর ‘ইনকেলাবি-দলে’ খণ্ডযুদ্ধ লেগেই আছে। তাতেই হয়তো কাচখানা ভেঙে গেছে। কৌশিক সেই ভাঙা কাচের কাছাকাছি কানটা রেখে একটা সিগ্রেট ধরাবার চেষ্টা করছে। ও তাকে ভ্রূক্ষেপই করে না।
অনিবার্ণ একটা নম্বর ডায়াল করে। কিছু পরে পয়সা ফেলে। কৌশিক আড়ালে দাঁড়িয়ে শুধু একতরফা আলাপচারী শুনতে পায় :
—হ্যালো!… কী? হ্যাঁ, কুতুব টী!… সে আবার কী? দাঁড়ান, কাগজ-কলম বার করি।
অনির্বাণ পকেট থেকে কাগজ-কলম বার করে বলে, এবার বলুন?
খানিকক্ষণ শুনে বলে, শুনুন, নম্বরটা আমি রিপিট করছি।
একটা টেলিফোন নাম্বার সে রিপিট করে। কৌশিক সেটা লিখে নিতে সাহস পায় না। কারণ সে যে টেলিফোন বুথের ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে, কথোপকথন শুনতে পাচ্ছে, এটা পথচারীদের নজরে পড়ছে। যে কেউ এসে ওর কলার চেপে ধরে বলতে পারে, এভাবে আড়ি পাতছেন কেন, মশাই? বিশেষত পানের দোকানের পানওয়ালা দুলে দুলে পান সাজতে সাজতে ওকে তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে নজর করছে মনে হল।
লোকটা সন্দেহ করেছে ইতিমধ্যেই।
অনির্বাণ টেলিফোনটা হুক থেকে নামিয়ে রাখল। এদিকে ফিরল। কৌশিকের সঙ্গে ওর চোখাচোখি হয়ে গেল। উপায় নেই। কৌশিক বললে, আপনার শেষ হয়েছে? কাইন্ডলি বাইরে আসুন। আমাকে একটা জরুরি ফোন করতে হবে।
অনির্বাণ বললে, সরি! আমাকে আরও দু-একটা ফোন করতে হবে। আপনি বরং ঐ রেলওয়ে টিকিট-কাউন্টারে গিয়ে দেখুন। ওখানেও একটা পাবলিক ফোন আছে।
কৌশিক বিনা-বাক্যব্যয়ে সেদিকে এগিয়ে গেল। দেখল, অনিবার্ণ আবার নতুন করে ফোন করছে কোথাও। কৌশিক ওর দৃষ্টি এড়িয়ে আবার ফিরে এসে দাঁড়ালো। আগের জায়গায়।
অনির্বাণ উল্টোদিকে মুখ করে বলছে, …ঠিক আছে। কটার সময়? … দশটা? আজ রাত দশটা?… অল রাইট। কোথায়? …হ্যাঁ, হ্যাঁ, টাকাটা আমার সঙ্গেই আছে… আরে হ্যাঁ, বাপু পাঁচ হাজারই। দশ-বিশ টাকার নোটে। ভেনুটা বলুন। কোথায়? …কী? ও, হ্যাঁ বুঝেছি। চিনি, আর সি. জি. সি. চিনি। কিন্তু সে তো বিরাট এলাকা … কী? ট্রাস্টি? হ্যাঁ, চিনি। অল রাইট … রাত দশটা, অ্যাট TRUSTEE! কিন্তু অমন অদ্ভুত জায়গায় কেন? … অল রাইট।
ফোনটা নামিয়ে রাখল অনির্বাণ। বেরিয়ে গেল বুথ থেকে। কৌশিকের নজর হল, পানওয়ালা এখনো একদৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। চোখাচোখি হতেই বললে, বাবুজি, শুনিয়ে।
অগত্যা এগিয়ে আসতে হল তার দিকে। পানওয়ালা বললে, আপ চুপকর উনকি বাত চোরী চোরী সুন রহেথে! কিউ?
অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স! আক্রমণই হচ্ছে আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ পন্থা! কৌশিক খিঁচিয়ে ওঠে, তোমার কোনও ছোটি বহিন আছে? বদমেজাজী জিজাজী আছে? বিনাদোষে যদি তোমার জিজাজী ঐ নন্নি-মুন্নি বহিনটাকে তালাক দিতে চায়, তাহলে তুমি তখন কী করবে? আড়ি পাতবে? না দুলে দুলে পান সাজবে?
—ঐ স্যুট পিনেবালা আপকো জিজাজী আছেন?
—না তো কি আপকো জিজাজী আছেন?
—ঠিক হ্যায়, বাবুজি; যাইয়ে!
এ ঝামেলা মিটিয়েই কি রেহাই পাওয়া গেল? মামুর পুষ্পক রথ বেগড়বাই শুরু করলেন!
বাসু বললেন, অল রাইট, অল রাইট! দোষটা নন্দ ঘোষের, মেনে নিলাম। এবার বল, টেলিফোনের নম্বরটা কী ছিল?
—বললাম তো। সেটা লিখে নেবার সুযোগ পাইনি।
—তা তো শুনলাম। বুঝতে পারছি, মনে রাখতেও পারিনি। অন্তত এক্সচেঞ্জ নম্বরটা?
—ভাল শোনা যাচ্ছিল না। ট্রামের ঘড়ঘড়ানিতে।
—বটেই তো! হাজরার মোড়ে ট্রামে বড় শব্দ হয়। ওখানে ট্রামরাস্তার উঠোনটা বড়ই বাঁকা!
রানু কৌশিকের তরফে সওয়াল করেন, তুমি বাপু অহেতুক রাগ করছ। কৌশিক তোমার পুষ্পক রথকে ছ্যাকড়া গাড়ি বলায়।
বাসু সেকথায় কর্ণপাত করলেন না। কৌশিককে বলেন, ঠিক আছে। যেটুকু শুনতে পেয়েছ তার অর্থগ্রহণ হয়েছে? TRUSTEE ব্যাপারটা কী? রাত দশটায় TRUSTEE-তে দেখা করার অর্থ?
কৌশিক বললেন, আমি বুঝতে পারিনি।
—ন্যাচারালি। আর ঐ R.C.GC.?
—তাও জানি না।
—ধর, আমি যদি বুঝিয়ে বলি ঐ R.C.GC. হচ্ছে রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ ক্লাব? তাহলে বলতে পারবে TRUSTEE-তে দেখা করার অর্থ?
কৌশিক অধোবদনে ভাবছে। বাসু জিজ্ঞেস করেন, নেক্সট? সুজাতা?
সুজাতা এতক্ষণ কোন কথা বলেনি। এখনও নীরব। রানু আগ বাড়িয়ে বলেন, আমাকে জিজ্ঞেস করা নিরর্থক। আমি বুঝিনি।
—ধর, আমি যদি বুঝিয়ে বলি : কৌশিক ট্রামের ঘড়ঘড়ানিতে ঠিক মতো শুনতে পায়নি। কথাটা ‘ট্রাস্টী’ নয়, ‘ফার্স্ট টী’?
—’প্রথম পেয়ালা চা?’ তার মানে?
—না। টী বানান এখানে TEA নয়, TEE; তাহলে? কোন অর্থ হয়?
এবারও সবাই নীরব।
বাসুই ব্যাখ্যা দেন, গলফ খেলায় TEE একটা পারিভাষিক শব্দ। ফুটবলে যেমন ‘ফ্রি-কিক’ বা ‘সাডেন-ডেথ’; ক্রিকেটে যেমন ‘গুগলি’ বা ‘চায়নাম্যান’। গলফ খেলার সময় যেখানে বলটাকে তৃণাচ্ছাদিত টিলায় বসিয়ে স্ট্রাইক করা হয় তাকে বলে ‘টী’। পরপর তাদের নাম ‘ফার্স্ট টী’, ‘সেকেন্ড টী’, ‘থার্ড টী’ ইত্যাদি। আমরা জানি, অনির্বাণের কাকাবাবু প্রয়াত রঘুবীর সেন প্রত্যহ গলফ খেলতে আসতেন। হয়তো অনিবার্ণই ড্রাইভ করে নিয়ে আসত R.C.GC.-তে। তাই ঐ গলফ কোর্সের ‘ফার্স্ট টী-র অবস্থান সম্বন্ধে সে প্রত্যাশিতভাবেই ওয়াকিবহাল।
কৌশিক বলে, কিন্তু যে ফোন করছিল সে’ও কি গলফ খেলে? আমি, সুজাতা, মামিমা, আমরা কেউই তো জানতাম না ‘TEE’ কথাটার মানে। ও কেমন করে জানল?
—আমার অনুমান যদি সত্য হয় অর্থাৎ TRUSTEE-টা যদি First Tee হয় তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে সেও ঐ গলফ-কোর্ট সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। প্রশ্ন সেটা নয়, প্রশ্ন হচ্ছে সাক্ষাৎকারটা হচ্ছে কেন?
সুজাতা এবার বলে, অনিবার্ণকে কেউ ব্ল্যাকমেলিং করছে। ও তাকে নগদে পাঁচ হাজার টাকা খুচরো নোটে দিতে যাচ্ছে…
—সেটা সহজবোধ্য। প্রশ্ন সেটাও নয়। প্রশ্ন : পাঁচ হাজার ব্ল্যাকমেলিং-এর টাকা মেটাতে অমন একটা অন্ধকার নির্জন স্থান বেছে নেওয়া হল কেন?
কৌশিক উঠে দাঁড়ায়। ঘড়ি দেখে বলে, এখনো সওয়া ঘণ্টা সময় আছে।
বাসু বলেন, তা আছে। কিন্তু তোমার হিপ-পকেটে কি ‘ওটা’ আছে? নাহলে ভরে নাও। আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজন হতে পারে। দ্বিতীয় কথা, আমার গাড়িটা থাক। ট্যাক্সি নিয়ে যাও। জায়গাটা চেন তো? আনওয়ার শাহ রোডে টিভি স্টেশনের…
—হ্যাঁ, চিনি। রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ ক্লাবের গেটটা দেখেছি। কিন্তু মেম্বারশিপ কার্ড ছাড়া আমাকে তো ঢুকতে দেবে না।
—সম্ভবত নয়। তবে বহু জায়গায় পাঁচিলটা ভেঙে দিয়েছে বস্তির লোকেরা। ইট খুলে নিয়ে গেছে। তা হোক, সে পথে বেআইনি ভিতরে ঢুকতে যেও না। গেটে গিয়ে পৌনে দশটা নাগাদ গাড়িটা পার্ক কর। বাইরে থেকে যেটুকু দেখা যায় তাই দেখবে। অনিবার্ণ কখন ভিতরে গেল, কখন বেরিয়ে এল। টাইমটা নোট কর। আরও একটা কথা। এখন অনিবার্ণ তোমার মুখ চেনে। একটু মেক আপ নিয়ে যেও।
রানু বলেন, কিন্তু সাক্ষাতের জায়গাটা তো অনিবার্ণ স্থির করেনি, করেছে ঐ লোকটা। শয়তানি পরিকল্পনাটা যদি তার হয়?
বাসু বললেন, অনিবার্ণ কচি খোকা নয়, অত্যন্ত বিচক্ষণ, তুখোড় ছেলে। সে আত্মরক্ষা করতে জানে। না জানলে সে মরবে। তুমি শুধু নিজেকে কোনভাবেই জড়িয়ে ফেল না কৌশিক।
সুজাতা উঠে দাঁড়ায়। বলে, দাঁড়াও। আমি যাব তোমার সঙ্গে।
—না! —বাসু আপত্তি করেন। তুমি গেলে ওর দায়িত্ব বাড়বে অহেতুক। সুবিধা কিছুই হবে না। ও একাই যাক। যে কোনভাবেই অহেতুক বাড়তি রিস্ক নিতে যেও না, কৌশিক। তুমি ওর বডিগার্ড হিসাবে যাচ্ছ না। ইনভেস্টিগেটার হিসাবে যাচ্ছ।
—অল রাইট। চলি।
কৌশিক এবার সুজাতার দিকে ফিরে বলল, স্টিল-আলমারির চাবিটা দেখি?
সুজাতা উঠে দাঁড়ায়। বলে, চল। আমি বার করে দিচ্ছি। ওরা দুজনে দোতলায় উঠে যাবার পর রানু বাসুসাহেবের দিকে ফিরে বললেন, কী দরকার ছিল ঐ গোলাগুলির মধ্যে কৌশিককে এত রাত করে পাঠাবার?
বাসু বলেন, আমার উপর রাগ করছ কেন? প্রফেশনটা কৌশিক তো নিজেই বেছে নিয়েছে। প্রাইভেট গোয়েন্দাগিরি করতে গেলে মাঝে মাঝে হিপ পকেটে আত্মরক্ষার অস্ত্রটা থাকা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। শুধু এই কথাই তো ওকে মনে করিয়ে দিয়েছি।
—না। তুমিই ওকে পাঠালে অমন একটা বিপদজনক জায়গায়।
বাসু মাথা নেড়ে বললেন, সরি ম্যাডাম। আপনার স্মৃতিভ্রম হচ্ছে। আমি শুধু জানতে চেয়েছিলুম, ‘পাঁচ হাজার ব্ল্যাকমেলিং-এর টাকা মেটাতে অমন একটা অন্ধকার নির্জন স্থান বেছে নেওয়া হল কেন?’ তোমরা দুজনে জবাব দিলে না। কৌশিক ত্রিং করে উঠে দাঁড়ালো। ঘড়ি দেখে বলল, ‘এখনো সময় আছে।’
—তখন তোমার বলা উচিত ছিল, ওসব ধাষ্টামোর মধ্যে তোমাকে নাক গলাতে হবে না।
—আমি সে কথা বললেই ওর বোঁতাম-আঁটা জামার নিচে শাস্তিতে শয়ান’ প্রাণটা ঠাণ্ডা হয়ে যেত? ও রাজি হয়ে যেত, সুজাতাকে নিয়ে দোতলায় উঠে খেত?
রানু প্রত্যুত্তর করার সময় পেলেন না। ইতিমধ্যে ওরা দুজনে দ্বিতল থেকে নেমে এসেছে। কৌশিকের হিপ পকেটটা উঁচু হয়ে আছে। তার হাতে একটা টর্চ। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ। বাসু জানেন, তাতে আছে ফ্ল্যাশগান-ওয়ালা ক্যামেরা, বাইনোকুলার ইত্যাদি।
ওরা দুজনে বৈঠকখানার সামনে দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালো।
কৌশিক এদিকে ফিরে বললে, আপনারা তিনজনে খেয়ে নেবেন। ফিরতে আমার অনেক রাত হতে পারে। সদরের ডুপলিকেট চাবি তো আমার কাছেই আছে। শুয়ে পড়বেন আপনারা। গুডনাইট!
কৌশিক সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল। রাস্তায়।
সুজাতা কোনও কথা বলল না। না কৌশিকের সঙ্গে, না মামু-মামিমার সঙ্গে। দুম্-দুম্ করে উঠে গেল দ্বিতলে। তারপর হঠাৎ ফিরে এসে বললে, মামিমা, আপনারা খেয়ে নেবেন। আমার শরীরটা ভাল নেই। রাতে খাব না।
রানু জবাব দেবার সুযোগ এবারও পেলেন না।
কথাগুলো ছুঁড়ে দিয়েই সুজাতা দ্বিতলমুখো রওনা হয়েছে।
বাসু পাইপ ধরালেন। বললেন, সুজাতা মর্মান্তিক চটেছে।
রানু বললেন, সেটাই স্বাভাবিক। তোমার উচিত ছিল, কৌশিককে বাধা দেওয়া।
বাসু বলেন, ভুল করছ রানু! কৌশিককে যেতে দিলাম বলে সুজাতা চটেনি।
—তবে কী জন্য সে রাগ করেছে?
—তাকে কৌশিকের সঙ্গে নৈশ অভিযানে যেতে দিলাম না বলে।