৫
সন্ধ্যাবেলা রানু বসেছেন টিভি খুলে। বাসুসাহেব লাইব্রেরি ঘরে একটা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক দুরূহ বইয়ের মধ্যে বুঁদ হয়ে গেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত পপুলার সায়েন্সের বই: ‘দ্য ক্রিয়েটিভ কম্প্যুটার’, ডক্টর D. Dichie -এর লেখা।
ড্রইং-কাম-ডাইনিংয়ে টেলিফোন বেজে উঠল। বিশু আজকাল বেশ চালু হয়ে গেছে। কে ফোন করছে, কাকে চাইছে জেনে নিয়ে লাইব্রেরি এক্সটেনশনে বোতাম টিপে দিল। ‘জীবন্ত কম্প্যুটার’-কে ‘শিভাস রিগ্যাল’-এর পাদদেশে নামিয়ে রেখে বাসুসাহেব টেলিফোনটা তুলে নিলেন : বাসু!
—সুজাতা বলছি মামু, খবর আছে।
—বুঝেছি। টেলিফোনের মাউথপীসে চাও-চাও আর ফ্রায়েড-প্রনের গন্ধেই বুঝেছি। বল?
—এটা একটা ওষুধের দোকান। আপনার মক্কেলের টিকির সন্ধান পাওয়া গেছে।
—গুড। কৌশিক কোথায়?
—তাকে শ্যাডো করছে।
—আর তুমি?
—সেই ওবেলার মতো রাস্তার ধারে বসে হাপু গাইছি। ও বলে গেছে, ট্যাক্সি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে।
—তাহলে তা আসছ না কেন?
—এখনি আসছি। শুধু মামিমাকে বলে দেবেন, রাতে আমি খাব। ওঁকে জিজ্ঞেস করুন, কিছু তৈরি খাবার কিনে নিয়ে যাব কি?
জিজ্ঞাসা করতে হল না। রানু ইতিমধ্যেই ডাইনিং হলের রিসিভারটা তুলে ওদের কথোপকথন শুনছিলেন। বললেন, না। সুজাতা, কিছু আনতে হবে না। তোমাদের দুজনের খাবার তো তৈরিই রাখা আছে, ফ্রিজে। শুধু গরম করে নিতে হবে।
সুজাতা ফিরে এল সাড়ে সাতটার মধ্যে। একাই ট্যাক্সি নিয়ে। শোনালো তাদের গোধূলিলগ্নের অভিজ্ঞতা :
সুজাতা আর কৌশিক সন্ধ্যা নাগাদ করবীর বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে দেখতে পায় কিছু দূরে অনির্বাণের গাড়িটা পার্ক করা আছে। অনিবার্ণ গাড়িতে একা। ড্রাইভারের সীটে বসে বসে সিগ্রেট খাচ্ছে। গাড়িটা এমন জায়গায় পার্ক করেছে যাতে তার মুখখানা আছে ছায়ায়।
কিষেনলালজীর কাছ থেকে গাড়ির মেক আর নম্বর সংগ্রহ করা না থাকলে ওদের পক্ষে অনিবার্ণকে শনাক্ত করা হয় তো সম্ভবপর হত না।
একটা ছেলে উইন্ডস্ক্রিনে স্টিকার লাগাবার উপক্রম করতেই একটি দু-টাকার নোট বার করে তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে কৌশিক বললে, বিনা নোটিসে হঠাৎ হয়তো চলে যাব ব্রাদার। এটা আগাম পকেটস্থ কর, টিকিট দিতে হবে না।
ছেলেটা একগাল হাসল।
অনির্বাণ ওদের দুজনকে চেনে না। ফলে ঘাবড়াবার কিছু নেই। সুজাতা বলে, অনির্বাণ তাহলে কলকাতার বাইরে যায়নি। কিন্তু এলই যদি এ পাড়ায় তাহলে, দোরের বাইরে কেন?
কৌশিক বলে, ‘উই আর ইন দ্য সেম বোট, নন-সিস্টার!’ অনির্বাণও দেখতে চায়, তার প্রেয়সী কার জন্য বাসকসজ্জায় প্রহর গুনছে!
প্রায় আধঘণ্টা বাদে করবী তার ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে বার হয়ে এল। পরনে ‘ক্রিমসন লেক’ রঙের সিল্ক। সঙ্গে একটি দীর্ঘদেহী যুবক। তার মাথায় কাঁধ-ছাপানো কুণ্ডলিত চুল। পরনে জীনস-এর তাপ্পি দেওয়া প্যান্ট। পায়ে চপ্পল।
মামুর কাছে বর্ণনা শোনা ছিল। দুজনের কারও চিনতে অসুবিধা হল না। কথা বলতে বলতে করবী আর কিংশুক বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগিয়ে এল। দক্ষিণমুখো বাসস্ট্যান্ডে ঘেঁষাঘেঁষি দাঁড়ালো। কৌশিক সুজাতার কানে কানে বলে, ‘রক্ত করবী’ যদি একই বাসে ওঠে তাহলে তুমি একটা ট্যাক্সি নিয়ে ওদের ফলো করবে। বাসের নম্বরটা দেখে রাখলে ট্যাক্সি ধরতে যেটুকু দেরি হবে তাতে অসুবিধা হবে না। ওরা কোথায় গেল জেনেই ফিরে আসবে।
—আর তুমি?
—আমার টার্গেট অনিবার্ণ শিখায় জ্বলছে। হয়তো সেও ঐ বাসের পিছু পিছু ধাওয়া করবে। সেক্ষেত্রে তোমাকে কিছুই করতে হবে না। চুপটি করে বসে থাকবে আমার পাশে।
সুজাতা জবাব দেওয়ার অবকাশ পেল না। স্ট্যান্ডে একটা মিনি এসে দাঁড়ালো। কিংশুক লাফ দিয়ে তাতে উঠে পড়ল। টা-টা করল। বাসটা ছেড়ে গেল। করবী বাড়ির দিকে ফিরে চলল।
বোঝা গেল, সে বন্ধুকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এসেছিল মাত্র।
সুজাতা জানতে চায়, আমি কি নেমে গিয়ে একটা ট্যাক্সি….
—না! চুপচাপ বসে থাক। আমার আন্দাজ অনিবার্ণ জানত, করবীর ঘরে কিংশুক হালদার আছে। তাই ও বাইরে অপেক্ষা করছিল। ইয়েস, আয়াম রাইট। ঐ দেখ, অনিবার্ণ গাড়ি থেকে নেমে করবীর বাড়ির দিকে যাচ্ছে।
—তাহলে আমরা এখন কী করব?
—’দে অলসো সার্ভ হ ওনলি স্ট্যান্ড অ্যান্ড ওয়েট!’
কিন্তু ঈশ্বরভক্ত মিল্টনের মতো নীরব প্রতীক্ষার সুযোগও ওদের মিলল না। একটু পরেই দেখা গেল, দক্ষিণ দিক থেকে বড় বড় পা ফেলে কিংশুক হালদার ফিরে আসছে। হয়তো সে কোন জরুরী কথা বলে আসতে ভুলেছে, অথবা বাড়ির চাবি কিংবা মানিব্যাগটা করবীর ঘরে ফেলে এসেছে। তাই এক স্টপ গিয়েই বাস থেকে নেমে পড়েছে। উত্তরমুখো ফিরে আসছে।
কৌশিক সুজাতার হাতটা চেপে ধরল : গাড়ি থেকে নেমো না। এখানে বসেই দেখ, নাটকটা কীভাবে জমে যায়।
দু’চার মিনিট পরেই করবীর বাড়ির ভিতর থেকে একটা চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ শোনা গেল। তারপরই হিন্দি সিনেমার নিরন্তর টিসম-টিসম! কলকাতাবাসী ক্রমশ এতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। পথচারীরা ভ্রূক্ষেপও করল না। কেউ ও বাড়িটার দিকে নজর তুলে তাকিয়েও দেখছে না। মতপার্থক্যটা ইস্ট বেঙ্গল-মোহন বাগান, সি পি এম-কংগ্রেস, ভোটের রিগিং সমর্থন ও রিগিং-বিরোধী কী জাতীয়, তা জানতে কেউ আগ্রহী নয়। এমন সময় এক ভদ্রমহিলা- বোধকরি করবীর প্রতিবেশিনী, দ্বিতলের ক্যান্টিলিভার বারান্দায় ছুটে বেরিয়ে এসে হঠাৎ চিৎকার জুড়ে দিলেন, বাঁচাও, বাঁচাও। মেরে ফেললে গো… পুলিশ! পুলিশ!
কৌশিক এবার গাড়ি থেকে নামল। সুজাতাকে বললে, তুমি চুপচাপ বসে থাক। আমি দেখছি। শুম্ভ-নিশুম্ভের যুদ্ধ বেধে গেছে বোধহয়। অনিবার্ণ এতক্ষণে নিশ্চয় ঐ ছয়ফুট দৈত্যটার টিসম্-টিসমে ফ্ল্যাট!
আরও কয়েকজন সচেতন হল। তার ভিতর একজন হচ্ছে মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ। নিতান্ত ঘটনাচক্রে মোটরবাইকে চড়ে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর তখন ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্য শুধুমাত্র সেলাম জানানো। পরিবর্তে এ লোকটা হুইসিল বাজিয়ে ইন্সপেক্টরকে রুখে দিল। আঙুল তুলে দ্বিতলের ঐ ঝোলা বারান্দাটা দেখিয়ে দিল। ইন্সপেক্টর বাইক থামালেন, ফুটপাথের কিনার-ঘেঁষে চক্রযানটা পার্ক করে গটগট ভঙ্গিতে এগিয়ে গেলেন বাড়িটার দিকে। ইতিমধ্যে আশপাশের মানুষজনও ভিড় করেছে।
কৌশিক আর ইন্সপেক্টর প্রায়ই একই সময়ে সদর দরজার সামনে এসে পৌঁছালো। সেটা খোলাই ছিল। ভিতরদিক থেকে এগিয়ে এল বছর-ত্রিশের একটি যুবক। সিলভার গ্রে রঙের থ্রি- পীস স্যুট তার পরিধানে। চুল সুবিন্যস্ত, টাই যথাস্থানে। ইন্সপেক্টর তাকেই প্রশ্ন করল, কী ব্যাপার? ভিতরে কে এসেছেন? অমিতাভ বচ্চন? না মিঠুন চক্রবর্তী?
কথাটা তার শেষ হল না। যুবকটি আঙুল তুলে দ্বিতলের একটা অংশ দেখিয়ে দিল। অন্যমনস্কের মতো বললে, ফার্স্ট ফ্লোর। রঘুবীর সেনের ফ্ল্যাট মনে হল। রোজই হয়। তবে আজ একটু বাড়াবাড়ি রকম। এই যা।
ঘড়ি দেখে সে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেল। ইন্সপেক্টর ওকে নজর করল না। জোড়া জোড়া সিঁড়ির ধাপ ডিঙিয়ে সে দোতলায় উঠতে থাকে। তার পিছু পিছু উৎসাহী জনতার একাংশ কৌশিক কিন্তু থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে। ঘড়ি দেখল। পৌনে সাতটা। ব্যাক-গিয়ারে পেছিয়ে এল নিজের গাড়ির কাছে। সুজাতাকে বললে, নেমে পড়। কুইক! এখানে যেটুকু খবর সংগ্রহ করতে পার করে মামুকে ফোন কর। ঐ মেডিকেল স্টোরে টেলিফোন আছে।
—আর তুমি?
—আমার টার্গেট তো অনিবার্ণ! তাকেই শ্যাডো করব।
—অনিবার্ণ! সে তো বাড়ির ভিতরে। কিংশুকের সঙ্গে শুম্ভ-নিশুম্ভের…
—না! ঐ দেখ, সে গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিচ্ছে। ওর গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি মারামারিতে ও আদৌ অংশ নেয়নি।
রানু বিস্মিত হয়ে সুজাতার কাছে জানতে চান, আসলে ব্যাপারটা কী হল বুঝলাম না। অনির্বাণ মারামারি করেনি? তাহলে দৈত্যটা ঢিসম্-টিসম্ করছিল কার সঙ্গে?
সুজাতা বলে অবিশ্বাস্য ব্যাপার, মামিমা। নিজে চোখে না দেখলে আমি বিশ্বাসই করতাম না। অনির্বাণের পিছু পিছু ‘ও’ যখন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল তখন দ্বিতলে উঠে এলাম। করবীর ফ্ল্যাটে তখন কৌতূহলী জনতার ভিড়। পুলিশ ইন্সপেক্টর ধমক দিচ্ছে, এখানে কী দেখতে এসেছেন আপনারা? রথ না দোল? যে-যার কাজে যান। না হলে জবানবন্দি নেবার জন্য থানায় ধরে নিয়ে যাব কিন্তু। আদালতে সাক্ষী দিতে দিতে জান নিকলে যাবে।
কথাটায় কাজ হল। ঊর্ধ্বগামী জনস্রোত নিম্নমুখী হল। সুজাতা দেয়াল ঘেঁষে নিশ্চুপ দাঁড়িয়েই রইল। ঐ বাড়িরই অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ভিড়ে। করবীর বৈঠকখানায় সোফা-সেট স্থানচ্যুত। একটা ফুলের টব ভেঙে গেছে। ‘বুক-কেস’-এর একটা স্লাইডিং পাল্লাও চুরমার। কেন্দ্রস্থলে পম্পাতীরে ভগ্নউরু দুর্যোধনের মতো অর্ধশয়ান অবস্থায় পড়ে আছে কিংশুক হালদার। তার দাড়িতে রক্ত, শার্টের সামনের অংশটা ফাংলা-ফাই। বাঁ চোখটা ফুলে ঢেকে গেছে। ঠোঁটটাও মারাত্মকভাবে কেটে গেছে। করবী একটা পোর্সেলিনের বৌলে ডেটল জল নিয়ে এসে ধুইয়ে দিচ্ছে।
সুজাতা এগিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘ব্যান্ড-এড’ বাড়িতে আছে? না ঐ সামনের মেডিকেল স্টোর থেকে নিয়ে আসব?
করবী চোখ তুলে দেখল। ওকে চিনতে পারল না। বলল, না, ব্যান্ড-এইড বাড়িতে নেই। নিয়ে আসুন, প্লীজ। খুচরো দেব?
—টাকা-পয়সার কথা পরে। ডেটল তো রয়েছেই। তুলো ব্যান্ডেজ কি আর লাগবে? এতক্ষণে ঘর খালি হয়ে গেছে। উটকো মানুষ আর বিশেষ নেই। প্রতিবেশীরা রয়েছেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ইন্সপেক্টর করবীকেই গৃহের মালকিন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তার কাছেই জানতে চায়, ইনি কি এই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা?
করবী চোখ তুলে তাকায়। বলে, না ও থাকে আনোয়ার শাহ্ রোডে।
—কে হয় আপনার? কী নাম?
—ইয়ে, সম্পর্কে দাদা। কাজিন। এর নাম কিংশুক হালদার।
ইন্সপেক্টর ওর নাড়ি দেখে বলল, অ্যাম্বুলেন্স আনাব? কী কাজিন কিংশুক? না, একটু পরে সুস্থ হয়ে ট্যাক্সি নিয়ে বাড়ি যেতে পারবে? না কি, রাতটা এখানেই…
বাক্যটা অসমাপ্ত রেখে সে করবীর দিকে তাকায়। বলে, এ ফ্ল্যাটে আর কে থাকেন? করবী জবাব দেবার আগেই ভগ্নঊরু দুর্যোধন গর্জে ওঠে, আপনি… আপনি… ঐ শুয়োরের বাচ্চাটাকে পালিয়ে যেতে দিলেন? …ওকে, ওকে… অ্যারেস্ট করলেন না?
ইন্সপেক্টর পুনরায় করবীকে প্রশ্ন করে, কে ওঁকে এভাবে ঠেঙিয়েছে? কেন ঠেঙিয়েছে?
করবী জবাব দিল না। নিঃশব্দে শুশ্রূষা করতে থাকে।
ইন্সপেক্টর পুনরায় করবীকে প্রশ্ন করে, ভদ্রলোকের গায়ে কি একটা সিলভার গ্রে রঙের স্যুট ছিল? বয়স ত্রিশ বছর? পাঁচ-সাত বা আট-হাইট?
এবারও করবী নীরব। কিংশুক আবার গর্জে ওঠে : ভদ্রলোক! ওকে আপনি ভদ্রলোক বলেন? হারামজাদা! শুয়োর কি বাচ্চা!
ইন্সপেক্টর উঠে দাঁড়ায়। করবীকে বলে, কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে লোকাল থানায় এফ. আই. আর. লজ করে আসবেন। তবে আপনি যেভাবে নির্বাক সেবাব্রতীর মতো আপনার কাজিনের শুশ্রূষা করে চলেছেন তাতে মনে হয়, আপনি ব্যাপারটা চেপে যেতেই চান। অল রাইট।
কিংশুক আবার গর্জে ওঠে : আই উইশ দ্যট দ্য হুলিগান বি অ্যারেস্টেড!
ইন্সপেক্টর দ্বারের কাছ পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। সেখানে সে ঘুরে দাঁড়ায়।
বলে, বললাম তো! থানায় গিয়ে অভিযোগটা লিপিবদ্ধ করবেন। বিস্তারিতভাবে। কিন্তু তাতে মুশকিল কি জানেন, কাজিন কিংশুকবাবু? আপনার এফ. আই. আর.-টা বিশ্বাসযোগ্য হওয়া চাই। আপনাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে : কীভাবে বয়সে আপনার চেয়ে দশ বছরের বড়, হাইটে চার ইঞ্চি ছোট, ঐ থ্রি-পীস স্যুট পরা মানুষটা আপনাকে এমন মর্মান্তিকভাবে একতরফা ঠেঙিয়ে গেল। মামলাটা আদালত পর্যন্ত গেলে আমি কিন্তু সাক্ষী দেব যে, ওর গলার টাইটা পর্যন্ত স্থানচ্যুত হয়নি। গুড নাইট!