নেই

খড়ের চালায় লাউ ডগা, ওতে কার প্রিয় সাধ লেগে আছে
জলের অনেক নিচে তুলসীমঞ্চ, সেইখানে ছোঁয়া ছিল অনেক প্রণাম
রান্নাঘরটিতে ছিল কিছু ক্ষুধা, কিছু স্নেহ, কিচু দুর্দিনের খুদকুঁড়ো
উঠোনে কয়েকটি পায়ে দাপাদাপি, দু‘খুঁটিতে টান করা ছেঁড়া ডুবে শাড়ি
পাশেই গেয়ালঘর, ঠিক ঠাকুমার মতো সহ্যশীলা নীরব গাভীটি
তাকে ছায়া দিত এক প্রাচীন জামরুল বৃক্ষ, যায় ফল খেয়ে যেত পোকা
পাটের ছবির মতো চুরি করা মাছ কুখে বিড়ালের পালানো দুপুর
সবই যেন দেখা যায়, অথচ কিছুই নেই, চতুর্দিকে জলের কল্লোল
এখন রাত্রির মতো দিন আর রাতগুলি আরও বেশি অতিকায় রাত
জননী মাটির কাছে মানুষের বুক ছিল, মাটিকে ভাসিয়ে গেছে মাটির দেবতা।