৮
কফি ফ্র্যান্সিস্কাই বানাল। প্রমথর কফির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে একমাত্র ফ্র্যান্সিস্কার বানানো কফি। ও এলে সকালেই তিন-চার রাউন্ড হয়ে যায়। কফির কাপটা একেনবাবুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, “ডিটেকটিভ, এবার শুরু করো।”
টাইমিংটা চমৎকার, এর মধ্যে অভীকও এসে গেল।
“বসুন স্যার, বসুন। ম্যাডাম ফ্র্যান্সিস্কার বানানো কফি খান, একেবারে স্বৰ্গীয়!
“থ্যাংক ইউ ডিটেকটিভ।”
অভীক ফ্র্যান্সিস্কাকে চেনে না। পরিচয় করিয়ে দিতেই “হ্যালো,” বলে একটু নড করল।
সবাই কফি নিয়ে বসলাম।
“একেবারে পারফেক্ট টাইমিং স্যার আপনার। আমি এঁদের পারমিতা ম্যাডামের ডেথ-এর প্রোগ্রেস রিপোর্ট দিতে যাচ্ছিলাম। আপনি পরে এলে আবার প্রথম থেকে দিতে হত, আপনিই তো এই কাজের জন্য আমাকে টাকা দিয়েছেন।”
“আমি না, আমার বস।
“ওই হল স্যার,” কফিতে চুমুক দিয়ে একেনবাবু শুরু করলেন, “প্রথমেই বলি, পারমিতা ম্যাডামের মৃত্যুটা ন্যাচারাল নয়, ওটা খুন খুন।”
“সে কি!” অভীক খুবই অবাক হল।
“হ্যাঁ, স্যার। অটোপ্সি-তে ধরা পড়েছে।”
অটোপ্সির ব্যাপারটা বোধহয় অভীক জানত না। “অটোপ্সি! কী ধরা পড়েছে?”
“বলছি স্যার, যে কোনো অপরাধ বা খুনে তিনটে জিনিস জড়িয়ে থাকে, মিন্স, মোটিভ এবং অপরচুনিটি। ‘মিস’ হল যেটা দিয়ে অপরাধটা করা হয়, যেমন বন্দুক দিয়ে খুন করা হলে বন্দুক, বিষ দিয়ে হত্যা করা হলে বিষ। আর,
‘মোটিভ’ হল অপরাধ বা খুন করার পেছনে যে কারণটা থাকে। আর অপরচুনিটি হল অপরাধ বা খুন করার সুযোগ। অন্য দুটো থাকলেও, সুযোগ না থাকলে অপরাধটা করা যায় না।”
“উফফ, এসব ফালতু বকে সবার সময় নষ্ট করছেন কেন!” প্রমথ বিরক্ত হয়ে বলল।
“চুপ করো।” ফ্র্যান্সিস্কাই প্রমথকে একমাত্র কনট্রোল করতে পারে।
“থ্যাংক ইউ ম্যাডাম,” একেনবাবু বলে চললেন, “পারমিতা ম্যাডামের মৃত্যুটা খুবই কনফিউজিং। ঊনত্রিশ বছরের একজন সুস্থ-সবল লেডি আগের রাত্রে স্টেজে উঠে সোলো নাচলেন। পরদিন সকালে যখন প্লেনে উঠলেন, তখনও সুস্থ…” বলে অভীকের দিকে হাত দেখালেন, “এগুলো ওঁর কাছ থেকেই শোনা। কিন্তু প্লেনে কলকাতা যাওয়ার পথে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন যে এয়ারপোর্ট থেকে সোজা হাসপাতালে যেতে হল! তারপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জীবন শেষ!
“কী ঘটেছিল প্লেনে? উনি কি কোনো স্পেশাল খাবার অর্ডার করেছিলেন, যেটা বচুলিজম টক্সিনে বিষাক্ত ছিল? প্লেনে কোনো বিষাক্ত পোকা কামড়েছিল? কোনো কিছুর সংস্পর্শে এসেছিলেন প্লেনে যার থেকে প্রাণঘাতী অ্যাার্জি! স্ট্রোক? হার্ট সংক্রান্ত কোনো প্রব্লেম? এইসব প্রশ্নের উত্তরের জন্যেই কলকাতার পুলিশ পোস্ট-মর্টেম করছিল। একটা সন্দেহ আমার প্রথম থেকেই হচ্ছিল স্যার, খুন হয়ে থাকলে সেটা করা হয়েছে বিষ ব্যবহার করে, যেটা দ্রুত কাজ করে এবং সহজে শরীরে ঢোকানো যায়। স্ট্রিকনাইন, ব্যাট্রাকোটক্সিন, ভিএক্স, রাইসিন… বিষের কি অভাব আছে! অটোপ্সির রেজাল্টটা দিন দুই আগে জানতে পেরে বুঝলাম আমার সন্দেহটা ঠিক। মৃত্যুর কারণ, রাইসিন।”
“রাইসিন! সেটা কী?” ফ্র্যান্সিস্কা জিজ্ঞেস করল।
“মারাত্মক বিষ ম্যাডাম, রেড়ির তেলের বীজে পাওয়া যায়।”
“রেড়ির তেল?”
“ক্যাস্টর অয়েল।” এবার উত্তর দিল প্রমথ। “বীজ থেকে ক্যাস্টর অয়েল বের করার পর যে লেই পড়ে থাকে তাতে খুব অল্প পরিমাণ রাইসিন থাকে। সেটাকে পিউরিফাই করে দারুণ বিষাক্ত রাইসিন পাউডার পাওয়া যায়। কেমিস্ট্রির জ্ঞান থাকলে কাজটা খুব একটা শক্ত নয়। আমি নিজে দেখিনি, তবে একসময় নাকি ইউটিউবেই রাইসিন বানানোর পুরো প্রসেসটা ছিল।
“ও মাই গড!”
“রাইসিনের বিষক্রিয়া খুব ইন্টারেস্টিং ম্যাডাম, সেটা নির্ভর করছে কীভাবে শরীরে ওটা ঢুকছে। খাবারের সঙ্গে ঢুকলে একরকম, নিঃশ্বাসের সঙ্গে ঢুকলে আরেকরকম।…”
“আপনি কি রাইসিনের বিশেষজ্ঞ নাকি!” প্রমথ মন্তব্য করল।
“তা নয় স্যার। তবে পুলিশ অ্যাকাডেমির এক সেমিনারে শুনেছিলাম লন্ডনে বুলগেরিয়ার সরকার-বিরোধী নেতা জিয়র্জি মারকভকে খুন করা হয়েছিল ছাতার মধ্যে লুকোনো এয়ার গান দিয়ে গুলি ছুড়ে। ক্ষুদ্র ফাঁপা গুলি, যার মধ্যে ছিল রাইসিনের কয়েকটা মাত্র দানা। কয়েকটা দানাই মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। সেই সেমিনারে ই শুনেছিলাম নাকে রাইসিনের গুঁড়ো বা বাষ্প ঢুকলে, কী হয়! পারমিতা ম্যাডামের উপসর্গের সঙ্গে যার খুবই মিল। তাই ক্যাপ্টেন স্টুয়ার্টকে আমি ফোন করে সতর্ক করেছিলাম অন্যান্য বিষের সঙ্গে রাইসিন-এর ব্যাপারেও। রাইসিন হলে খানিকটা বুঝতেও পারছিলাম কাদের পক্ষে এই খুনটা করা সম্ভব। কিন্তু হাতেনাতে ধরতে পারার মতো প্রমাণ মিলছিল না, আর মোটিভটাও স্পষ্ট ধরতে পারছিলাম না। সন্দেহের বশে তো কাউকে ধরা যায় না।”
“এখন কি তুমি নিঃসন্দেহ?” প্রশ্নটা ফ্র্যান্সিস্কা করল।
“মোটিভের ব্যাপারে এখনও নই ম্যাডাম। কিন্তু তার আগে বলি, কিছুদিন আগেও সম্ভাব্য খুনিদের লিস্ট ছিল দীর্ঘ। যেমন ধরুন, তৃণা ম্যাডাম। পারমিতা ম্যাডামকে খুন করার ওঁর একটা মোটিভ ছিল, কারণ ওঁর মাসতুতো দাদার সুইসাইড করার পেছনে সম্ভবত জড়িত ছিল পারমিতা ম্যাডামের প্রচার বা অপপ্রচার। তৃণা ম্যাডামের মাতো দাদা যে ওঁকে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন, সেটা পারমিতা ম্যাডাম নিশ্চয় অনেককে জানিয়েছিলেন, যার জন্য অভীকবাবুর কানেও সেটা এসেছিল। তাই না অভীকবাবু?”
“হ্যাঁ, তবে আপনাকে এও বলেছিলাম সবই গুজব। সত্যি কিনা জানি না।”
“ঠিক স্যার। সেই মাসতুতো দাদার পাগলামির কথাও আপনি বলেছিলেন। তাই ভাবছিলাম, মেসেজগুলো কি পাগলামি করে পাঠিয়েছিলেন, না পারমিতা ম্যাডাম কিছুদিন প্রেম করে ওঁকে ডাম্প করেছিলেন বলে রাগের বশে? আবার ভাস্করবাবু বলেছিলেন, পারমিতা ম্যাডাম আর তৃণা ম্যাডামের মধ্যে ঝগড়া লাগে এক পুরুষবন্ধুকে কেন্দ্র করে। সেটা ছোটোখাটো ঝগড়া নয়, ওঁদের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল! এখন প্রশ্ন, সেই পুরুষবন্ধুই কি ছিলেন তৃণা ম্যাডামের মাসতুতো দাদা? তৃণা ম্যাডামের মাসতুতো দাদার ওঁকে ছেড়ে তৃণা ম্যাডামের সঙ্গে জড়িত হওয়া সহ্য করতে না পেরে অশ্লীল মেসেজ পাবার মিথ্যে কাহিনি ফেঁদে বসেন। অবৈধ সম্পর্কের ব্যাপারটাও রাষ্ট্র করা হয়… এই অবৈধ সম্পর্কের গুজবটাও স্যার আপনার কাছেই শুনেছি… যার নিদারুণ পরিণতি হল লোকলজ্জায় তৃণা ম্যাডামের মাসতুতো দাদার আত্মহত্যা। সুতরাং পারমিতা ম্যাডামকে হত্যা করার একটা মোটিভ তৃণা ম্যাডামের থাকা মোটেই আশ্চর্যের নয়।
“এবার ভাস্করবাবুর কথা বলি। উনি নিজেও ছিলেন আরেক জন সাসপেক্ট। আপনি কি জানেন স্যার, পারমিতা ম্যাডামের হাত ফসকে ওঁর ছোড়দির বাচ্চার ব্রেন ড্যামেজ হয়েছিল? পারমিতা ম্যাডাম সম্পর্কে অনেক কথা বললেও, এটা কিন্তু ভাস্করবাবু বলেননি। নিজের ছোট্ট ভাগ্নের এত বড়ো ক্ষতি— কেয়ারলেসনেস-এর জন্য হলেও ক্ষমা করা যায় না…”
“এটা কিন্তু আমি শুনিনি। একটা অ্যাক্সিডেন্টের কথা আমি শুনেছিলাম। কিন্তু তাঁর সঙ্গে ভাস্করের কোনো যোগ আছে বলে তো জানতাম না!” অভীক বলল। “ঠিক, এটাও সম্ভবত ভুল অনুমান স্যার। এটা ধরে এগোনো মানে নড়বড়ে ব্রিজ ধরে এগোনো। এবার বলি, তৃতীয় সাসপেক্ট-এর কথা। তাঁর নাম আমরা জানি না। শুধু জানি, তিনি এমন একটি ভয়াবহ মেসেজ পাঠিয়েছিলেন যেটা জেনে পারমিতা ম্যাডামের মা ওঁকে এদেশে আসতে দিতে চাননি। মোবাইল ফোনের মেসেজ পরীক্ষা করে অবশ্য সেটা কে করেছিলেন বার করা যাবে।”
“সেটা কি করা হচ্ছে?” ফ্রান্সিস্কা জিজ্ঞেস করল।
“জানি না ম্যাডাম। তবে এই মুহূর্তে ব্যাপারটা অ্যাকাডেমিক।”
“তার মানে?” আমি প্রশ্ন করলাম।
“কারণ আমার ধারণা স্যার, আমি বুঝতে পেরেছি এই খুনটা কে করেছেন।”
একেনবাবু মাঝে মাঝে এমন রহস্য করেন যে আমারই বিরক্তি লাগে।
“সেটা কী করে বুঝলেন আপনি! আমি তো এখনও বুঝতে পারছি না।”
“আপনি তো স্যার সব ডেটা এখনও পাননি।”
“তাহলে সেটা দিন!”
“দেব স্যার?” অভীকের দিকে তাকিয়ে একেনবাবু বললেন। একেনবাবুর আচরণে অভীকও অবাক।
“একটা হিন্ট দিচ্ছি স্যার। রাইসিন শরীরে ঢুকেছিল ফুসফুস দিয়ে, মানে নিঃশ্বাসের সঙ্গে।”
“সেটা কী করে সম্ভব, যদি না হেয়ার স্প্রে জাতীয় কিছুতে রাইসিন ঢোকানো থাকে বা রাইসিন মেশানো পাউডার মুখে না মাখে।” প্রমথ বিরক্ত হয়ে বলল।
“কাছাকাছি এসে গেছেন স্যার, ফেসপেইন্টেও তো রাইসিন পাউডার মেশানো থাকতে পারে। তার অল্প একটু নিঃশ্বাসের সঙ্গে যদি ফুসফুসে যায়, তাহলে শ্বাসকষ্ট, গা গোলানো, বুকে জল জমা ইত্যাদি শুরু হবে। পরে কোমায় চলে গিয়ে মৃত্যু। পুরো ব্যাপারটা ঘটতে অবশ্য সময় লাগবে… চব্বিশ থেকে ছত্রিশ ঘণ্টার মতো। খানিকটা প্লাস-মাইনাস অবশ্য হতে পারে।”
“রাইসিন আছে কি নেই, সেটা তো ফেসপেইন্টের বাটিগুলো পরীক্ষা করলেই পাওয়া যাবে!” প্রমথ বলল।
“জানি স্যার, কিন্তু বাটিগুলোই যে পাওয়া যাচ্ছে না! পুলিশ অনেক খুঁজেছে।”
“তাহলে তো এটাও থিয়োরিই হয়ে রইল!” অভীক বলল।
“তা রইল স্যার, তবে নাচের পোশাক, অলংকার, মুখের রং, রং লাগাবার তুলি, সবগুলোই গেস্ট হাউসে ছিল। আপনার দায়িত্ব ছিল সেগুলো লিঙ্কন সেন্টার-এ নিয়ে আসার আর ফেরত নিয়ে যাবার, তাই না স্যার?”
“হ্যাঁ, কিন্তু পেইন্টগুলো ফেরত নেবার কথা ছিল না। ওগুলো এদেশে কেনা সস্তা ফেসপেইন্ট আর তুলি, রিঙ্কি ওগুলো ফেলে দিতেই বলেছিল।” এবার বিরক্ত হয়ে বলল অভীক।
“ঠিকই বলেছিলেন স্যার, দেশে নিশ্চয় অনেক ভালো ফেসপেইন্ট উনি ব্যবহার করেন। তবে দেশে যেটা ওঁর কাজে লাগত, সেই মাস্কগুলোই ফেলে চলে গেলেন! যাই বলুন স্যার, মাস্কগুলো কিন্তু আপনি ভালো কিনেছিলেন।”
“আপনার এই কথাটা বলার মানে!” এবার বেশ রেগে গেল অভীক।
“মানে ওগুলোতে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ফিল্টার ছিল দেখে বলছি। আমি কী ভাবছিলাম জানেন স্যার, ফেসপেইন্টের কৌটো বা বাটিতে রাইসিন পাউডার মেশানো খুবই রিস্কি। ওপর থেকে পাউডার ঢালা যাবে না, বাতাসে উড়ে নাকে ঢুকবে। তার মানে যিনি এই কাজটি করেছেন, তাঁকে খুব সতর্ক হতে হবে। সস্তা পেপার মাস্ক পরে রাইসিন পাউডার হ্যান্ডেল করা মূর্খামি। অন্ততপক্ষে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ফিল্টার লাগানো মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর তখনই মনে হল স্যার, কলকাতায় পলিউশনের জন্য ওগুলো ব্যবহার করার অর্থ মশা মারতে কামান দাগা। ওগুলো স্যার আপনি কেন কিনেছিলেন, আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন?”
পরিষ্কার দেখলাম অভীকের চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে। বেশ চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, “আমি অত গবেষণা করে মাস্ক কিনিনি একেনবাবু। দোকানে যেটা চোখে পড়েছে, সেটাই কিনেছি… আর ওগুলোর দাম এমন কিছু বেশি না যে রিঙ্কি অ্যাফোর্ড করতে পারবে না।”
“এটা ঠিক বলেছেন স্যার। যে পরিমাণ টাকা খরচা করে আপনি কন্সট্রাকশন বিজনেস ওঁদের হয়ে কিনেছেন, তা দিয়ে বোধহয় এরকম কোটি কোটি মাস্ক কেনা যায়।”
এবার সোফা থেকে উঠে পড়ল অভীক, “আপনি এবার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন, আমি চললাম।”
একেনবাবুও উঠে দাঁড়ালেন, “ঠিক আছে স্যার, যান। শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান। আপনি পাঁচটা মাস্ক কিনেছিলেন- প্লাস্টিকের প্যাকেটে লেখা ছিল ‘প্যাক অফ ফাইভ’, কিন্তু গুনে দেখলাম মাত্র চারটে রয়েছে। আরেকটা গেল কোথায়?”
এমন সময়ে একেনবাবুর মোবাইলটা বেজে উঠল। “এসে গেছেন স্যার? আমি এক্ষুনি পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
একেনবাবু নিজেই বাইরের দরজা খুলতে খুলতে অভীককে বললেন, “উত্তর দিতে হবে না স্যার। যা দিতে চান ক্যাপ্টেন স্টুয়ার্টকে দেবেন, উনি ওঁর দলবল নিয়ে দরজার বাইরে আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। ওঁকে একটু বুঝিয়ে বলবেন, রাইসিন পাউডারের যে প্যাকেটটা কিছুদিন আগে আপনি কিনেছিলেন, সেটা কোথায় রেখেছেন। ওগুলো তো হ্যাজার্ডাস জিনিস স্যার, পুলিশ জানতে চাইবে।”
দরজা খুলতেই ক্যাপ্টেন স্টুয়ার্টের এক চ্যালা অভীককে হ্যান্ড-কাফ পরাতে পরাতে মিরান্ডা ওয়ার্নিং দিল, “ইউ হ্যাভ দ্য রাইট টু রিমেইন সাইলেন্ট। এনিথিং ইউ সে ক্যান অ্যান্ড উইল বি ইউজড…” ইত্যাদি ইত্যাদি।
“থ্যাংক ইউ একেন্ড্রা, সি ইউ লেটার,” বলে ক্যাপ্টেন স্টুয়ার্ট অভীককে নিয়ে বিদায় নিলেন।