নূতন বিপদ
যদিও দূর থেকে অন্ধকারে কিছু দেখা গেল না৷ তবু সাহসী মানিককে অমন ভাবে আর্তনাদ করে উঠতে দেখে সুন্দরবাবু তখনি বুঝে নিলেন যে, ভয়ংকর ভূতুড়ে কোনো ঘটনা ঘটেছে! মানিককে সাহায্য করবেন কী, তিনি নিজেই প্রায় মূর্ছিত হয়ে সেইখানে বসে পড়লেন, পালাবার শক্তি পর্যন্ত রইল না!
অমলবাবুর অবস্থাও তথৈবচ!
মানিক দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজের হাতখান ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করলে, কিন্তু পারলে না! যে-হাতখানা এমন বজ্রমুষ্টিতে তার হাত চেপে ধরেছে তা কিন্তু পাথরের নয়, রক্তমাংসে গড়া মানুষের হাত!
মানিক তাড়াতাড়ি বাঁ-হাতে নিজের কোমরবন্ধ থেকে ধারালো ছুরিখানা বার করে ফেললে!
এবং সঙ্গেসঙ্গে সুপরিচিত স্নিগ্ধ কন্ঠে শোনা গেল, ‘মানিক, ছুরি দিয়ে কি তুমি আমার হাতখানা কেটে ফেলতে চাও?’
বিষম বিস্ময়ে মানিক চেঁচিয়ে উঠল, ‘জয়ন্ত!’
-‘হ্যাঁ বন্ধু, আমি সেই পুরাতন জয়ন্তই-আপাতত যমালয়ের ফেরতা মানুষ,’ বলতে বলতে বুদ্ধমূর্তির পিছন থেকে স্বশরীরে সকলের চোখের সামনে বেরিয়ে এসে দাঁড়াল হাস্যমুখে জয়ন্ত!
অমলবাবু একেবারে থ হয়ে গেলেন৷ এ যে জয়ন্তের প্রেতাত্মা সে সম্বন্ধে সুন্দরবাবুর কোনোই সন্দেহ রইল না! তিনি প্রায় কাঁদো-কাঁদো মুখে দুই হাতে নিজের চোখ ঢেকে ফেললেন, কারণ তাঁর পক্ষে এমন স্বচক্ষে প্রেতদর্শন অসম্ভব!
মানিক বিস্ময়ে, আনন্দে ও উচ্ছ্বাসে প্রায় অবরুদ্ধ কন্ঠে বললে, ‘জয়! জয়! তুমি বেঁচে আছ!’
-‘এক ভালো গনতকার হাত দেখে বলেছিল, আমার পরমায়ু আশি বৎসর৷ অসময়ে মরিনি বলে বিস্মিত হচ্ছ কেন ভাই!’
-‘কিন্তু তোমার সেই গুলিতে ছ্যাঁদা টুপি, জমির উপরে দু-জায়গায় রক্তের দাগ, তোমার অন্তর্ধান,-এসবের অর্থ কী!’
-‘মানিক, এতদিন আমার সঙ্গে থেকেও তোমার পর্যবেক্ষণ শক্তি যে বাড়ল না, এ বড়ো দুর্ভাগ্যের কথা! জমির উপরে রক্তের দাগ আর ছ্যাঁদা টুপি দেখেই হাল ছেড়ে দেওয়া তোমার উচিত হয়নি৷ তুমি আমার পায়ের মাপ জানো! যেখানে আমার টুপিটা পড়ে ছিল, সেখানে তুমি যদি আমার পদচিহ্ন পরীক্ষা করতে, তাহলে স্পষ্ট দেখতে যে আমি দু-পায়ে হেঁটে পাশের জঙ্গলের ভিতর গিয়ে ঢুকেছি! আর, যেখানে অনেকটা রক্ত ছিল, সেখানটা খুঁজলে তুমি আমার পায়ের দাগ দেখতেই পেতে না, কারণ সেখানে আমি একবারও যাইনি!’
-‘তবে!’
-‘আমি যখন বাংলোর দিকে ফিরছিলুম, তখন শত্রুরা অতর্কিতে আমাকে আক্রমণ করে৷ প্রথমেই বন্দুক ছুড়ে আমি তাদের এক জনকে মাটিতে পেড়ে ফেলি বটে, কিন্তু পর মুহূর্তেই তাদের বন্দুকের একটা গুলি আমার টুপি ভেদ করে মাথার খানিকটা ছাল তুলে নিয়ে বেরিয়ে গেল৷ আমি তৎক্ষণাৎ আত্মরক্ষার জন্য মাটিতে আছড়ে পড়ে চির-পুরাতন কৌশল অবলম্বন-অর্থাৎ মৃত্যুর ভান করলুম৷ তারপর দশ-এগারো জন লোক আমার কাছে ছুটে এল! আমার জামা হাতড়ে সেলাই করা পকেট কেটে সোনার চাকতিখানা বার করে নিলে৷ এমন সময় তোমাদের পায়ের শব্দ পেয়ে তারা তাদের মৃত বা আহত সঙ্গীকে মাটি থেকে তুলে নিয়ে পালিয়ে গেল৷ আমিও উঠে জঙ্গলের ভিতরে অদৃশ্য হলুম৷’
-‘কেন?’
-‘আমি জানতুম, তোমরা এই মন্দিরের দিকে আসবেই, আর শত্রুরা তোমাদের পিছু নেবে-কারণ চাবি তারা পায়নি৷ স্থির করলুম, আমিও লুকিয়ে তাদের উপরে পাহারা দেব, যাতে তারা তোমাদের অনিষ্ট করতে না পারে৷ তারা জানে আমি বেঁচে নেই সুতরাং আমি যে তাদের পিছু নিয়েছি, এ সন্দেহ তারা করবে না৷ তোমাদের সঙ্গে থাকলে আমার এ সুবিধা হত না, আমিও জানতে পারতুম না যে, রাত-আঁধারে বন-বাদাড়ে বিপদ আসবে কোন দিক থেকে!’
-‘এতক্ষণে বুঝলুম, চ্যানের হাত থেকে কে আমাকে বাঁচিয়েছে!’
-‘হ্যাঁ, ওঙ্কারধামে চ্যান যখন তোমার গলা টিপে ধরে, আমি ছুটে গিয়ে বন্দুকের কুঁদোর বাড়ি তার মাথায় মারি৷ সে তখন ছোরা বার করে আমাকে আক্রমণ করতে আসে৷ আমি যুযুৎসুর এক প্যাঁচ কষতেই সে জমি আশ্রয় করলে-আর পড়বার সময়ে চ্যানের নিজেরই ধারালো ছোরায় তার বাঁ-হাতের একটা আঙুল গেল উড়ে৷ সেই সময়েই তার কাছ থেকে সোনার চাকতিখানা আমি আবার কেড়েনি৷ চ্যান বেগতিক দেখে চম্পট দেয়৷ সোনার চাকতি তোমাদের দরকার হবে বুঝে সেখানা তোমার বুকের উপর রেখে আমিও অদৃশ্য হই! আমি জানতুম, তোমাদের দলের কেউ-না-কেউ সেখানে দেখতে পাবেই!’
-‘কিন্তু জয়ন্ত, তুমি কি অনাহারে আছ?’
-‘মোটেই না৷ এখানকার নদী জলহীন আর গাছ ফলহীন নয়! . . . হ্যাঁ, ভালো কথা! এইবার আমার একটা জিজ্ঞাসা আছে৷ সেই মাঠে শত্রুদের গতিরোধ করবার বুদ্ধি তোমাদের কার মাথায় প্রথমে আসে?’
-‘প্রস্তাব করেছিলুম আমি, সমর্থন করেছিলেন সুন্দরবাবু৷’
-‘বাহবা, চমৎকার! মানিক তুমি যে চাল চেলেছ, তা অতুলনীয়! এই এক চালেই তোমরা নিরাপদ হয়েছ৷ আমিও তারপরেই তোমাদের চেয়েও দ্রুতপদে এগিয়ে এই মন্দিরে এসে গা-ঢাকা দিয়েছিলুম৷’
সুন্দরবাবু অপ্রসন্ন মুখে বললেন, ‘হুম, বেশ করেছিলে! কিন্তু আমাদের ভয় দেখাচ্ছিলে কেন?’
-‘মোটেই ভয় দেখাইনি৷ আপনার ছেলেমানুষি ভয় দেখে আমি হাসি চাপতে গিয়েও পারলুম না, আর তাই শুনেই আপনি একেবারে খেপে গেলেন৷’
-‘খামোকা খেপিনি৷ পাথরের বুদ্ধ জ্যান্ত হলে কে না-‘
-‘মূর্তিটাই নড়বড়ে৷ কতকালের পুরোনো ভাঙা মূর্তি, হাত দিলেই নড়ে৷ বিশ্বাস না হয়, আপনিও একবার হাত দিয়ে ঠেলে দেখুন না!’
-‘না, আমি হাত দিয়ে ঠেলে দেখতে চাই না, আমি এখান থেকে পালাতে চাই!’
-‘সেকী, এখনি পালাবেন কোথায়? এখনও যে পদ্মরাগ বুদ্ধ লাভ হয়নি!’
-‘হেঃ, সে লাভের আশায় গয়া! সে নকশার কোনো মানে হয় না! এখন লাভে ব্যাং অপচয়ে ঠ্যাং করেই আমাদের মুখ শুকিয়ে ঘরপানে ফিরতে হবে!’
-‘সুন্দরবাবু, নকশার মানে আমি বুঝেছি বলেই কলকাতা থেকে এত দূরে ছুটে এসেছি!’
অমলবাবু সবিস্ময়ে বললেন, ‘নকশার মানে বুঝেই আপনি এখানে এসেছেন?’
-‘হ্যাঁ অমলবাবু! কলকাতাতেই যখন আমি আপনার মুখে শুনলুম যে, নকশায় সিঁড়ি আছে অথচ বেদির গা বেয়ে কোনো সিঁড়ি আপনি দেখেননি, তখনি তার অর্থ বোঝবার চেষ্টা করেছিলুম! এখন দেখা যাক, আমার আন্দাজ ঠিক কি না! . . . (উচ্চস্বরে) ওহে হাতি সিং তোমার লোকজন নিয়ে মন্দিরের ভিতরে এসো! বড়ো অন্ধকার, আগে আলোগুলো জ্বালো!’
হাতি সিং সদলবলে বাহির থেকে ভিতরে এল৷ চারটে পেট্রলের লন্ঠন জ্বালা হল৷ এই প্রাচীন মন্দির হয়তো রাত্রে কখনো এত উজ্জ্বল আলো দেখবার সৌভাগ্যলাভ করেনি!
সুন্দরবাবু হাঁপ ছেড়ে বললেন, ‘অঃ আলো দেখে ধড়ে প্রাণ এল! এখন দেখছি বাইরেই অন্ধকার! হুম, আমি আর বাইরে পা বাড়াচ্ছি না!’
জয়ন্ত বললে, ‘বেদিটা এখানে এসেই আমি দেখে নিয়েছি৷ মানিক, তুমি যদি বন্দুকের কুঁদো দিয়ে ঘা মেরে পরীক্ষা করতে, তাহলে বেদিটা যে ফাঁপা, এটা বুঝতে তোমার কোনোই কষ্ট হত না! . . . হাতি সিং! তোমার লোকজনদের কুড়ুল নিয়ে এই বেদিটা ভেঙে ফেলতে বলো!’
হাতি সিং-এর অনুচরেরা তখনি বেদি ধ্বংসে প্রবৃত্ত হল-অন্য সকলে বিপুল কৌতূহলে আগ্রহদীপ্ত চক্ষে তাদের কাণ্ড দেখতে লাগল৷
জয়ন্ত বললে, ‘পাথরের বেদি যখন ফাঁপা, তখন ভিতরে নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে!’
ঠং ঠঙা ঠং, ঠং ঠঙা ঠং-কুড়ুলের পর কুড়ুলের ঘা, অতি নিস্তব্ধ মন্দির ঘন ঘন শব্দে পরিপূর্ণ হয়ে যেন গমগম করে উঠল! শব্দের চোটে সেই নড়বড়ে বুদ্ধমূর্তি আবার কাঁপতে শুরু করেছে দেখে সুন্দরবাবুর গায়ে কাঁটা দিলে!
বেদিটা গাঁথা ছিল কয়েকখানা বড়ো বড়ো পাথর দিয়ে৷ এক-একখানা পাথর সরানো হয় আর বেদির ফাঁকা, কিন্তু অন্ধকার-ভরা গর্ভ ক্রমেই বড়ো হয়ে উঠছে!
জয়ন্ত বললে, ‘ব্যাস, আর পাথর সরাতে হবে না! হাতি সিং, একটা লন্ঠন উঁচু করে তুলে ধরো তো!’
হাতি সিং ভাঙা বেদির গর্তের উপরে একটা হাজার-বাতি লন্ঠন তুলে ধরলে!
উঁকি মেরে দেখা গেল, গর্তের ভিতর দিয়ে একসার পাথরের সিঁড়ি নীচের দিকে সোজা নেমে গিয়েছে!
জয়ন্ত উৎফুল্ল কন্ঠে বললে, ‘এখন বুঝতে পারছ তো মানিক, যে রহস্য চোখে দেখা যায় না, সোনার চাকতির নকশা তাই এঁকে রেখেছে? আমি গোড়াতেই এটা বুঝতে পেরেছিলুম৷ নকশা যদি বাজে হত, তাহলে অত সাবধানে, অত গোপনে, অত যত্ন করে বুদ্ধমূর্তির মধ্যে রক্ষা করা হত না! পদ্মরাগ বুদ্ধকে যদি প্রণাম করতে চাও, তাহলে আমার সঙ্গে এই সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামবে চলো!’
অমলবাবু অভিভূত কন্ঠে বললেন, ‘জয়ন্তবাবু, আশ্চর্য আপনার বুদ্ধি!’
জয়ন্ত বললে, ‘বুদ্ধি হচ্ছে স্বাভাবিক, তা আশ্চর্য নয়৷ সব মানুষ যে তা ব্যবহার করতে পারে না, এইটেই হচ্ছে আশ্চর্য!’
সুন্দরবাবু খুঁতখুঁত করতে করতে বললেন, ‘তাইতো, এ যে আবার নূতন বিপদ দেখছি! ওই পাতালের ভিতরে ঢুকলে আবার বেরুতে পারব তো? ওখানে কোন ভয়ংকর ওঁত পেতে আছে, কে তা জানে!’
মানিক বললে, ‘তাহলে আমরা নীচে নামি, আপনি এইখানে বসে বিশ্রাম করুন৷’
সুন্দরবাবু বললেন, ‘একলা? বাপরে, তাও কি হয়! পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে! আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকব-যা থাকে কপালে৷ হুম!’
জয়ন্ত বললে, ‘আমাদের সঙ্গে আটটা পেট্রলের লন্ঠন আছে৷ সবগুলোই জ্বেলে ফেলো৷ পাতালের অন্ধকারে যত আলো তত ভালো৷’
সামনে, মাঝখানে, পিছনে প্রদীপ্ত লন্ঠন নিয়ে সকলে একে একে সেই নিম্নগামী সোপানশ্রেণি দিয়ে নামতে লাগল৷ পরে পরে কুড়িটি ধাপ নেমে সিঁড়ি শেষ হল৷ তারপর দেখা গেল, একটি সমতল পথ সোজা এগিয়ে দূরের অন্ধকারের ভিতরে হারিয়ে গিয়েছে৷ পথটাও পাথরে বাঁধানো এবং নিতান্ত অপ্রশস্ত নয়, তিন জন লোক পাশাপাশি চলতে পারে!
গুহাপথের সেই যুগে যুগে সঞ্চিত নিবিড় তিমির সহসা আজ আলোকের আঘাতে যেন মৌন চিৎকারে আর্তনাদ করে পায়ে পায়ে দূরে সরে যেতে লাগল, সভয়ে! সেখানকার বহুকালব্যাপী নিদ্রিত স্তব্ধতাও আজ এতগুলো আধুনিক জুতার খট খট শব্দে যেন অত্যন্ত যাতনায় ধড়ফড় করতে করতে মরে গেল!
সুন্দরবাবু সংকুচিত সন্দেহে গুহাপথের বদ্ধ হাওয়া সশব্দে শুঁকতে শুঁকতে বললেন, ‘হুম! আলিপুরের চিড়িয়াখানায় গিয়ে যে গন্ধ পাই, এখানেও আমি যেন সেইরকম দুর্গন্ধই পাচ্ছি৷’
অমলবাবু বললেন, ‘এ গুহাপথ কতকাল বন্ধ আছে তা কে জানে! হয়তো আপনি বিষাক্ত বাষ্পের গন্ধ পাচ্ছেন!’
-‘উহু, এ বাষ্প-টাষ্পর গন্ধ নয়!’
মানিক বললে, ‘তাহলে এটা বোধ হয় ভূতের গায়ের দুর্গন্ধ!’
সুন্দরবাবু চটে বললেন, ‘ঠাট্টা কোরো না মানিক, ওরকম ঠাট্টা আমি পছন্দ করি না! হুম! এখানে যে ভূত নেই তা কী করে জানলে? ভূতের পক্ষে এটা হচ্ছে অতি মনোরম স্থান! আলো নেই, হাওয়া নেই, শব্দ নেই, এখানে থাকবে না তো ভূত কোথায় থাকবে?’
মানিক আবার টিপ্পনি কাটলে, ‘কেন আপনার মাথার ভিতরে! আপনার মাথাটি হচ্ছে ভূতের স্বদেশ! ওখানে নিত্যনূতন ভূতের জন্ম হয়!’
জয়ন্ত সর্বাগ্রে যাচ্ছিল৷ হঠাৎ সে দাঁড়িয়ে পড়ে গম্ভীর স্বরে বললে, ‘সাবধান! আর কেউ এগিয়ো না!’
প্রত্যেকেই সচমকে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল, কেবল সুন্দরবাবু পায় পায় পিছু হটতে লাগলেন এবং একেবারে সকলের পিছনে না গিয়ে আর থামলেন না!
মানিক বললে, ‘কী ব্যাপার, জয়?’
-‘কীরকম একটা শব্দ শোনা যাচ্ছে!’
মানিক কান পেতে শুনতে লাগল৷ হ্যাঁ, একটা অদ্ভুত শব্দ শোনা যাচ্ছে বটে! কেবল অদ্ভুত নয়, ভয়াবহ!
-‘ও কীসের শব্দ, জয়?’
-‘ঠিক বুঝতে পাচ্ছি না! পাথরের উপর দিয়ে কারা যেন অনেকগুলো বস্তা টেনে নিয়ে যাচ্ছে! . . . না, যাচ্ছে নয়, টানতে টানতে আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে!’
সুন্দরবাবু মাথার ঘাম মুছতে মুছতে কাতরভাবে মনে মনে বললেন, ‘হা ভগবান! এই ডানপিটে ছোঁড়াগুলোর সঙ্গে এদেশে এসে কী ভুলই করেছি! আর কি দেশে ফিরতে পারব? হুম!’