নীরা, গৌতম বুদ্ধ
পাঞ্জাবে রোজ খুন-খারাপি হচ্ছে দশটা-পঁচিশটা
অথচ আমি এই মধ্যরাত্রিতে নীরার জন্য একটা
স্তোত্র লিখতে চাই
কৃপাণ ও বন্দুকের নল কুঁড়ে ওঠে নীরার মুখের চারপাশে
যারা মরে ও যারা মারে দুরকম দীর্ঘশ্বাস ঝলসে দেয় বাতাস
ডটপেন শুকিয়ে যায়, আমি অন্য কলমের খোঁজে তাকাই
এদিক ওদিক
ঠিক তখনই একটা নীল বিদ্যুতের শিখা আকাশের এক প্রান্ত
থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেলে
এক মুহূর্তের জন্য ঝলসে ওঠে গৌতম বুদ্ধের দুটি চোখ
তারপরই এক ঝাঁক বিমান সুগম্ভীর শব্দ করলে বুঝতে পারি
সশস্ত্র বিমান যাচ্ছে
প্রত্যেক সীমান্ত প্রদেশে
আমি কলম খুঁজে পাই না, দেশলাই খুঁজে পাই না, অবলুপ্ত
চাঁদের মধ্যে হারিয়ে যায় নীরার মুখ
অন্ধকার ব্যবসায়ীরা জেগে ওঠে, নগর ড়ুবতে থাকে পাতালে
বালিশে মাথা দিয়ে, জীর্ণ সভ্যতার কম্পিত মুখচ্ছবির দিকে তাকিয়ে
আমি গৌতম বুদ্ধকে একবার, মাত্র একবার
নীরার মুখ চুম্বনের অধিকার দিই
অন্তত ওরা দুজন কয়েক মুহূর্তের জন্য আনন্দের পতাকা
তুলে ধরুক
এই ভেবে আমি পাশ বালিশের মতন জড়িয়ে ধরি ঘুম।