নিয়তি
নরকের চারপাশে কেমন কেয়ারি করা সুন্দর বাগান
আমরা দু’জনে ওই ফুল-বাগানে
বিকেলে বেড়াতে যাব আজ
হাওয়ায় উড়বে চুল, গুনগুন স্বরে প্রিয় গান
গেয়ে উঠব একসঙ্গে, কৌতুকে চকিত করে নরক-সমাজ।
গোলাপকুঞ্জের পাশে এসো এইখানে একটু বসি
তীব্র ঘন নীল আলো চতুর্দিকে উজ্জ্বল করেছে
তোমার গ্ৰীবার ভঙ্গি, স্তনের সবল রেখা হঠাৎ আমাকে
করে বিষম সাহসী
দেয়ালের এই পাশে আমরা দু’জনে আছি কি উল্লাসে,
উষ্ণতায় বেঁচে।
কঠিন শাস্তির ঘর থেকে ঐ যে দেখা হিরন্ময়
চেয়ে আছে আমাদের দিকে,
সুকুমার মূৰ্তিখনি ছিন্নভিন্ন, চক্ষু থেকে মুছে গেছে
সমস্ত বিস্ময়
গলায় ছুরির দাগ, তবু কি দর্পিত রোখ-আজ মনে হয়
আমারও সমস্ত পাপ আঙুলের নখের প্রতীকে
তোমার চুলের মধ্যে খেলা করে দ্বিধাময় আদরে সম্প্রতি;
স্বর্গের অন্সরী হয়ে থাকবে তুমি–
হিরন্ময় ও আমার সমান নিয়তি।