নির্মাণ খেলা
‘তালগাছের ডগায় শিরশির করছে মেঘলা বাতাস’
না ঠিক হলো না
চোখের সামনে একটা তালগাছ, আমি বারান্দায় বেতের চেয়ারে
বাতাসে সমুদ্রের গন্ধ
ডগায় না মাথায়? শিরশির না ঝিরঝির
তালগাছের মাথার ঝিরঝির করছে সমুদ্র বাতাস
না, ঠিক হলো না
সমুদ্রের বাতাস কখনো ঝিরঝির করে না
‘তালগাছের শিখরে শোঁ শোঁ করছে সমুদ্র বাতাস’
অনেকগুলি স-ধ্বনি, বেশি বাড়াবাড়ি
গদ্যের বদলে ছন্দেও ফেলা যেতে পারে
‘তালগাছটার শিখরে দুলছে অমৌসুমী সমুদ্রের হাওয়া’
কলম নেই, খাতা নেই, হাতে কফির কাপ
পায়ের কাছে পড়ে আছে খবরের কাগজ
প্রথম পৃষ্ঠায় রক্তের ছড়াছড়ি
‘দেবদারু গাছটাকে ঝাঁকাচ্ছে ঝড়, যেন সে কাঁপছে
কুঠারের ভয়ে’
তালগাছ কী করে হয়ে গেল দেবদারু?
সমুদ্রের হু হু হাওয়া কখন হয়ে উঠলো ঝঞা!
আমি চেয়ে আছি প্রান্তরের দিকে, সরে গেছে মেঘ
এক অলীক বিভায় বারবার বদলে যাচ্ছে রূপ
মাথা-ভারী একলা তালগাছ মুহূর্তের জন্য সর্বাঙ্গ সুন্দর দেবদারু
কয়েকটা ভুলোমনা পাখি পাতা ছুঁয়েই উড়ে গেল
ভয়ার্ত ধ্বনি রেখে
সেই ধ্বনির মধ্যে ঝড়ের আভাস
এমনই সূচ-বেঁধা, যেন সমুদ্রের নয়, মরুভূমির
রোদ্দুরে ঝলসাচ্ছে অজস্র নির্মম কুঠার
মিথ্যে নয়
‘দেবদারু গাছের তুলিতে এখন আকাশে এক
অসমাপ্ত ছবি’