ছয়
পরদিন কাক ভোরে উঠে পড়ল ছেলেরা, মহা উত্তেজিত। কিচেনে জড় হয়েছে ওরা। রবিন ক্যাবিনেটগুলো হাতড়াল খাওয়ার মত কোন কিছুর খোঁজে, ওদিকে অন্যরা টেবিল ঘিরে বসেছে।
‘আমাদের উচিত মিস্টার হলের সাথে কথা বলা,’ বলল মুসা। মিসেস কোনর নিশ্চয়ই জানেন তাঁকে কোথায় পাওয়া যাবে। ভদ্রলোকের হয়তো কিছু জানা থাকতে পারে মিস্টার প্রাইসের ব্যাপারে।’
‘কিংবা এমনও হতে পারে মিস্টার প্রাইস আজ হয়তো গ্রীনফিল্ডের অন্য আরেকটা ট্রেইন ধরবেন, বলল কিশোর। ‘উনি হয়তো ধূমকেতুর মত উদয় হবেন এবং রহস্যটারও কিনারা হয়ে যাবে।’
‘আমার মনে হয় ‘মিস্টার কিন’, যার কথা তিনি মেসেজে বলেছেন, আমাদেরকে সাহায্য করতে পারবেন,’ বলল রবিন, এক বাক্স সিরিয়াল টেনে বের করল। বাক্সটা ঝাঁকিয়ে অস্পষ্টস্বরে বলল, এতে সবার হবে না।’ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে অন্যদের দিকে চাইল! ‘মিসেস ম্যাকলিন না ফেরা অবধি অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।’ হাউসকিপার মিসেস ম্যাকলিন ঘণ্টাখানেক আগে দোকানে গেছেন সপ্তাহের সদাইপাতি করতে।
‘আমরা তো বেকারি থেকে ব্যাজেল কিনতে পারি, বাতলে দিল ডন।
মুসা খুশি হয়ে উঠল।
‘তবে তো কথাই নেই। ব্যাজেল দারুণ লাগে আমার।‘
‘বেকারির কোন্ খাবারটা তোমার ভাল লাগে না শুনি?’ ঠাট্টা করে বলল কিশোর।
পেট ঘষল মুসা। একান-ওকান হাসল।
ছেলেরা কিচেন থেকে এক সারে বেরিয়ে এসে হলওয়ে ধরে সদর দরজার উদ্দেশে চলল। এসময় কিশোরের কুকুর বাঘা ছুটে এল লেজ নাড়তে নাড়তে।
‘চলি রে, বাঘা!’ বলল ডন, কুকুরটার পশমে ঢাকা কানজোড়ার পেছনে চুলকে দিল। ‘আমরা শীঘ্রি ফিরব। তুই ভাল হয়ে থাকিস!’
মুসা বাঘার মাথায় হাত বোলাল।
‘পরে তোর সাথে খেলব, হ্যাঁ?’ পেছনের উঠনে বল ছোড়াছুঁড়ির খেলা ভালবাসে বাঘা, মুখে করে কুড়িয়ে আনে।
রবিন হাঁটু গেড়ে বসতেই গাল চেটে দেয়ার জন্য ওর হাঁটুজোড়ায় থাবা রাখল বাঘা।
‘তুই খুব ভাল রে!’
বাঘার মাথায় চুমো দিতে ঝুঁকল রবিন।
এবার জমে গেল।
‘আরি!’
‘কী হলো, রবিন?’ প্রশ্ন করল কিশোর। ‘কী ব্যাপার?’
ঘাড় কাত করে বিস্ফারিত চোখে ওদের দিকে চাইল রবিন
‘সেই গন্ধটা পেলাম। চার নম্বর কামরায় যেটা পেয়েছিলাম আমরা!’
‘সত্যি?’ ডনের জিজ্ঞাসা।
‘হ্যাঁ-ওটা ডগ শ্যাম্পুর গন্ধ!’ চোখ তুলে কিশোরের উদ্দেশে চাইল। ‘কিশোর, মনে আছে? বাঘার গায়ে উকুন হওয়াতে ক’সপ্তাহ আগে আমরা ওকে যেটা দিয়ে গোসল করিয়েছিলাম? কী বিটকেল গন্ধ ছিল শ্যাম্পুটার!’
‘হ্যাঁ, মনে আছে!’ কিশোর হাঁটু গেড়ে বসে বাঘার শরীরের ঘ্রাণ নিল। ‘তাই তো, সেই একই গন্ধ!’
মুসা আর ডন অবাক হয়ে গেল।
‘খাইছে, কীসের ডগ শ্যাম্পু? কীসের গোসল?’ মুসা জিজ্ঞেস করল। ‘ডন আর আমি তো জানি না।’
ঘটনাটা রকি বিচের।
‘তোমরা ছিলে না। আমি কিশোরের বাসায় গিয়েছিলাম সেদিন, জানাল রবিন। আমরা ঠিক করি বাঘাকে গোসল করাব। পেট স্টোরে গিয়ে উকুন মারার ভাল শ্যাম্পুর খোঁজ করি। তারা আমাদেরকে এই শ্যাম্পুটা দেয়। জিনিসটা খুবই কাজের, কিন্তু গন্ধটা ভয়ানক কড়া। আবারও বাঘার পশমের ঘ্রাণ নিল রবিন। এতদিন পরেও গন্ধ রয়ে গেছে। এহ-কী বিশ্রী!’
‘ট্রেইনে এ গন্ধটাই পেয়েছিলে?’ মুসার জিজ্ঞাসা। চিবুকে হাত বুলোচ্ছে আর ভাবছে। ‘তারমানে কি চার নম্বর বগিতে মিস্টার প্রাইসের সাথে একটা কুকুরও ছিল?’
চোখ ছানাবড়া হলো রবিনের।
‘সম্ভবত! ওই কুকুরটাই বোধহয় ঘেউ-ঘেউ করছিল! মনে আছে, মিসেস টার্নার বলেছিলেন কুকুরের গর্জনের কারণে পড়ায় মন বসাতে পারছিলেন না?’
‘হ্যাঁ, বলল কিশোর। আর স্টেশনে যে পরিবারটাকে আমরা দেখি, তাদের বাচ্চা দুটো কেঁদে জারে জার হচ্ছিল। একটা বাচ্চার হাতে-’
‘কুকুরের ফিতে ছিল!’ বলে উঠল রবিন।
‘ঠিক,’ বলল কিশোর। ‘কিন্তু কোন কুকুর দেখিনি। আমি নিশ্চিত সেজন্যেই বাচ্চা দুটো অমন কান্নাকাটি করছিল। কুকুরটার নিশ্চয়ই কিছু হয়েছিল।’
‘খাইছে, কী হয়েছিল?’ মুসা প্রশ্ন করল।
‘জানি না, জানাল কিশোর। ‘তবে স্টেশনের কেউ নিশ্চয়ই বলতে পারবে। চলো, যাই ওখানে।’
স্টেশনে গিয়ে কণ্ডাকটরকে পেল না ছেলেরা। কিন্তু কয়েকটা পরিচিত মুখ দেখল।
‘দেখো!’ বলে উঠল কিশোর। ‘কালকের সেই পরিবারটা!’
‘হ্যাঁ,’ বলল মুসা। ‘সেই বাচ্চা দুটো, যারা কাঁদছিল।’
‘এখন আর কাঁদছে না,’ লক্ষ করল ডন। ‘তবে মনমরা হয়ে আছে।’
বাচ্চা দুটো স্টেশনে ফ্লায়ার লাগাতে সাহায্য করছে বাবাকে। কোনাগুলোতে টেপের টুকরো সাঁটাচ্ছে ওরা। ওদের মা কাছেই দাঁড়িয়ে, টিস্যু দিয়ে বারবার চোখ মুছছেন।
‘ওঁদের সাথে কথা বলবে?’ রবিন জিজ্ঞেস করল।
‘আগে একটা ফ্লায়ার পড়ে দেখি, বলল কিশোর। সদর দরজার কাছে একটা সাঁটানো হয়েছে দেখল ওরা। হারানো কুকুর, ওপরদিকে গোটা-গোটা হরফে লেখা হয়েছে, নিচে লোমশ এক খুদে কুকুরের ছবি।
‘আহা, বেচারা,’ ফিসফিস করে বলল মুসা। ‘অবলা প্রাণীটা।’ ছবিটির নিচে লেখা: শনিবার সকালের ট্রেইনে নিজেদের শহর গ্রীনফিল্ডে পৌঁছতেই, আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রিয় কুকুর টমি তার ক্যারিয়ারে নেই। আমরা জানি না কী ঘটেছে ওর ভাগ্যে এবং আমরা পরিবারের সবাই বড়ই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি টমির বিষয়ে আমাদেরকে কোন তথ্য দিতে পারেন তবে ওয়ার্ন পরিবার তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। পাতাটার একেবারে তলায় একটি ফোন নম্বর।
‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, বলল কিশোর। অন্যরা মাথা ঝাঁকিয়ে সায় জানাল। ওরা হেঁটে গেল পরিবারটির কাছে, তারা তখন আরেকটি ফ্লায়ার লাগাতে ব্যস্ত।
‘মাফ করবেন,’ মৃদুকণ্ঠে বলল রবিন। ‘আপনারাই তো ওয়ার্ন পরিবার, তাই না?’
সবাই ঘুরে দাঁড়াল।
‘হ্যাঁ,’ মা বললেন।
‘আমি কিশোর আর এরা মুসা, রবিন আর ডন, বলল কিশোর। ‘আমরা একটা রহস্য সমাধান করতে চাইছি এবং আমাদের ধারণা আপনাদের কুকুরের হয়তো এর সাথে একটা সম্পর্ক আছে।’
ওয়ার্ন পরিবারের সদস্যরা পরস্পর চোখাচোখি করে ওদের দিকে চাইল।
‘বলে যাও,’ বললেন মি. ওয়ার্ন।
কিশোর পুরো ঘটনা জানাল। সবশেষে, মি. ওয়ার্ন কিশোরের আনা মি. প্রাইসের বইটার ব্যাক কভারের ছবিটা পরখ করলেন।
‘বুঝলে, ভদ্রলোককে কেমন চেনা-চেনা লাগছে।’ তুলে ধরে স্ত্রীকে দেখালেন। ‘আমরা গতকাল সকালে যখন ট্রেইনের জন্যে অপেক্ষা করছি তখন ইনি টমির মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করেছিলেন না?’
মিসেস ওয়ার্ন মাত্র এক ঝলক দেখলেন।
‘হ্যাঁ, ইনিই। ভদ্রলোক খুব সহজেই টমির সাথে খাতির জমিয়ে ফেলেন। টমি অচেনা মানুষজনকে তেমন পাত্তা না দিলেও মিস্টার প্রাইসকে মুহূর্তে পছন্দ করে ফেলে।’
‘ওর নাম টমি?’ রবিন প্রশ্ন করল।
‘হ্যাঁ,’ জানালেন মিসেস ওয়ার্ন।
‘ও মিস্টার প্রাইসকে পছন্দ করেছে জেনে মোটেও অবাক হচ্ছি না,’ বলল মুসা। ‘মিস্টার প্রাইস জন্তু-জানোয়ার ভালবাসেন। টমি নিশ্চয়ই তা টের পেয়েছিল।’
‘টমি কীভাবে ট্রেইন থেকে নামে জানেন?’ কিশোর জানতে চাইল।
‘আমাদের কোন ধারণা নেই,’ বললেন মি. ওয়ার্ন। ‘তাই এই সাইনগুলো লাগাচ্ছি। আশা করছি ট্রেইনের কেউ হয়তো দেখেছে সেদিন আসলে কী ঘটেছিল।
‘জার্নির সময় ও আপনাদের সাথে ছিল না?’ রবিন প্রশ্ন করল।
‘না,’ জবাব দিলেন মি. ওয়ার্ন। ‘শেষ বগিটায় নিজেই গিয়ে খাঁচার ভেতর সেঁধিয়েছিল।’
‘চার নম্বর বগি!’ বলে উঠল মুসা।
‘হ্যাঁ,’ কথার খেই ধরলেন মি. ওয়ার্ন। ‘আর গ্রীনফিল্ডে পৌছে ওকে আনতে গিয়ে দেখি ও নেই।’
‘আমরা সবখানে খুঁজেছি,’ মিসেস ওয়ার্ন বললেন।
‘ও নিশ্চয়ই কোনভাবে খাঁচা ছেড়ে কোথাও লাফিয়ে পড়েছে,’ কথা শেষ করে দুঃখিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন মি. ওয়ার্ন।
‘টমি শেষ কামরটায় ছিল কেন?’ কিশোর জবাব চাইল।
‘অচেনা মানুষজন দেখলে ও নার্ভাস হয়ে গিয়ে ঘেউ-ঘেউ করতে থাকে,’ জানালেন মিসেস ওয়ার্ন। ‘তাই আমরা ভাবি পেছনে ও একাই থাকুক।’
‘ঝড়-তুফানের সময় অবশ্য ভয়ানক চিন্তায় পড়ে গেছিলাম, ‘ বাবা বললেন। জোরে শব্দ হলে টমি বেজায় ভয় পায়।’
‘ঝড়ের সময় আমি ওর কী অবস্থা দেখতে যাই,’ বললেন মিসেস ওয়ার্ন, ‘দেখি ও দিব্যি বহাল তবিয়তেই আছে।’
‘আপনি যখন যান তখন চতুর্থ বগিটায় অন্য কাউকে দেখেছিলেন?’ রবিনের প্রশ্ন।
‘না, আমি তো ভেতরে ঢুকিনি। স্রেফ জানালা দিয়ে উঁকি দিয়েছি। চাইনি টমি আমাকে দেখুক, তাহলে রীতিমত পাগলামি জুড়ে দিত। চাইত আমি ওকে সাথে করে নিয়ে আসি।’
কিশোর জানতে চাইল, ‘ও দেখতে কেমন?’
‘খুব ছোট,’ মি. ওয়ার্ন জানালেন। ‘পিচ্চি এক স্নাউযার। সাদা গায়ে খুদে কালো নাক আর কিছু কালো ছোপ আছে। শরীরে অনেক লোম। পশমগুলো ছোট হলেও ঘন, উলের মতন।’
‘ও যদি লাফিয়েই পড়ে তো কোথায় যেতে পারে বলে আপনাদের ধারণা?’ রবিন জবাব চাইল।
‘ও ভয় পেয়ে যাবে,’ মিসেস ওয়ার্ন বললেন। জানা নেই যেহেতু কোথায় রয়েছে। কোথাও লুকিয়ে পড়বে, এই ধরো কোন গাছ কিংবা ঝোপের আড়ালে।
মাথা ঝাঁকাল রবিন।
‘আমরা কথাটা মনে রাখব। সময় দেয়ায় আপনাদেরকে ধন্যবাদ।’
ওয়ার্নদের ছোট্ট ছেলেটা এগিয়ে এল।
‘তোমরা টমিকে খুঁজে দেবে?’ শুধাল।
রবিন বাচ্চাটার সামনে হাঁটু গেড়ে বসল।
‘আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করব।’
সামান্য হাসল বাচ্চাটা-টমি লাপাত্তা হয়েছে জানার পর সম্ভবত এই প্রথম।
‘আচ্ছা,’ বলল।
ছেলেরা অবশেষে বেকারিতে গিয়ে ঢুকল। কোনার দিকে ছোট এক টেবিল ঘিরে বসে ব্যাজেল খেতে লাগল। জায়গাটা নিরিবিলি। ‘তো,’ বলল নথি, ‘আমরা এখন জানি ট্রেইনে একটা কুকুর ছিল, এবং কোনভাবে ছাড়া পেয়ে ট্রেইন থেকে লাফিয়ে পড়ে ওটা।
‘এ-ও জানি চার নম্বর বগিতে মিস্টার প্রাইস ছিলেন, কারণ তিনি ওখানে তাঁর ব্যাগ ফেলে যান,’ বলল মুসা। ‘তিনি একটা গ্র্যানোলা বার খেয়েছিলেন, তারপর মোড়কটা ফেলে লাফ দেন ট্রেইন থেকে।’
‘মিস্টার প্রাইস কি কুকুরটাকে সাথে করে নিয়ে গেছেন?’ ডন জিজ্ঞেস করল।
বড়রা মাথা নাড়ল।
‘না, তা নেবেন কেন উনি?’ মুসা পাল্টা জবাব চাইল। ‘মিস্টার প্রাইস কখনওই কুকুর চুরি করবেন না।’
এবার কিশোর বলল, ‘এক মিনিট! ধরো এমন যদি হয়-টমি কোনভাবে ছাড়া পেয়ে যায়, তারপর ভয়ের চোটে লাফ দেয় ট্রেইন থেকে, এবং মিস্টার প্রাইস ওর পিছু নেন?’
মাথা ঝাঁকাল নথি।
‘খুবই সম্ভব। কুকুরটাকে আচমকা লাফিয়ে পড়তে দেখে মিস্টার প্রাইস সঙের মত দাঁড়িয়ে থাকবেন বলে মনে করি না।’
‘খাইছে, কিন্তু কোথায়?’ মুসা প্রশ্ন করল। ‘ওঁরা ট্রেইন থেকে কোন্খানে নেমেছেন?’
‘মিস্টার প্রাইস আমাদেরকে ইতিমধ্যে সে ইঙ্গিত দিয়েছেন,’ রবিন বলল ওকে। তাঁর ফোন মেসেজে।’
‘অ্যালার্টন!’ বলে উঠল ডন।
মাথা ঝাঁকিয়ে সায় জানাল রবিন।
‘হ্যাঁ, অ্যালার্টন।’
‘আবার ঘুরেফিরে সেই নাম,’ বলল কিশোর। ‘আমার মনে হয় কি দেরি না করে আমাদের ওখানে যাওয়া দরকার।’
‘আমারও তা-ই ধারণা,’ একমত হলো রবিন।
‘আর আমার আরও একটা ব্যাপার মনে হচ্ছে,’ বলে চলল কিশোর। আমার ধারণা ওখানে গেলে আমাদের কপাল খুলবে…. পেছনের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ট্রেইনের শিডিউলটা বের করে আনল। ‘গ্রীনফিল্ড থেকে উত্তরগামী পরের ট্রেইনটা ছাড়তে আর এক ঘণ্টাও বাকি নেই।’
ছেলেরা ঝটপট ব্যাজেল শেষ করে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে এল।