কখনো নিশ্চিন্ত থাকি, ভুলে থাকি; হঠাৎ আবার
বুকের ভেতর কাঁপে চৈত্রের দুপুর, হৃদয়ের
অন্তহীন পথে ক্রমাগত গলে পিচ; খড়কুটো,
পশুর কংকাল থাকে পড়ে ইতস্তত। ধূমায়িত
নির্দয় সে-পথে তুমি ধু-ধু মরীচিকার মতন
বার বার দেখা দিয়ে কোথায় মিলিয়ে যাও দ্রুত।
আমার চিৎকার তুমি শুনতে কি পাওনি এখনও?
অথচ তোমাকে দেখি আশেপাশে, দেখি দূর থেকে
ঘরময় নারী-পুরুষের চক্রে, কখনো তাকাও, চোখে
রহস্যের ভাষা হয় ঘন, কখনোবা নৈঃশব্দের
বুক তোলপাড় করে তোলো দীপ্র হাসির সরোদে।
তোমার বিচ্ছেদ হচ্ছে খরশান শরীর আমার।
মনেরই ব্যাপার প্রেম, জানি; কিন্তু এমন আঁধার
ব্যাপ্ত অস্তিত্বের তটে যার ঘূর্ণাবর্তে জন্ম নেয়
অজস্র নক্ষত্রপুঞ্জ, আজও কী প্রবল তার দাবি।
একটি ফসল থেকে অন্য ফসল অবধি নিঃস্ব
কৃষক যেমন টিকে থাকে, একটি মিলন থেকে
অন্য মিলনের ক্ষুব্ধ তৃষিত সীমায় তেমনি আমি।