নাভি কাব্য
এখন আকছার খুব সহজেই মেয়েদের নাভি দেখা যায়
মুখ বা দুটি বুকের আগেই নাভির দিকে চোখ পড়ে
তকতকে পলিমাটির মতন পেট, মাঝখানে অর্ধলুপ্ত চাঁদ যে
মন কালিদাসের আমলের নিম্ননাভি সমস্ত তন্বীর
তারপর বহু যুগ ধরে প্রচণ্ড ঢাকাঢুকি
যত কাব্য শুধু চোখ আর ওষ্ঠাধর নিয়ে
তাও বোরখা পরা মুসলমান মেয়েদের ঠোঁট বা চিবুকের ডৌলও
দেখা যায়নি
কদাচিৎ দুটি তীব্র চোখ
ওদের কবিরা গোটা মধ্যযুগ ধরে কী নিয়ে কাব্য রচেছে?
আমি অনধিকারী, কিন্তু গোপন চিন্তা তো কেউ রোধ করতে পারে না!
এই তো গত এক দশক ধরে সাগরপারে তরুণী মেমরা
ভারতীয় নর্তকীদের কাছ থেকে নাভি খুলে রাখতে শিখেছে
এখন চতুর্দিকে শুধু নাভি, নাচটাচ জানার দরকার নেই
প্রত্যেকটি নাভির মধ্যে রয়েছে একটি মৃণাল
পুরুষ নতজানু হয়ে বসে জাগাতে চায় কুলকুণ্ডলিনী
ফুটে ওঠে একটি সহস্রদল পদ্ম
বস্তুত কোনো নারী যদি খুব কাছে, কাছের থেকেও কাছে,
হিমালয় পাহাড়কে আড়াল করে দাঁড়ায়
তখন সেই পদ্মের সুগন্ধ পুরুষটিকে নিয়ে যায় জন্মের মুহূর্তে
মেয়েরা এসব কিছুই জানে না
না জানাই ভালো!