নদীর ধারে
নদীপ্রান্তে বসে আছে এক উন্মাদ, আমি প্রথমে তাকে কবি ভেবেছিলাম।
বস্তুত তাকে দার্শনিকও বলা যাবে, না কেন না সে জানে না চশমা
বদলাতে। নদীর সঙ্গীত বা সূর্যাস্তের চিত্র প্রর্শনীতেও তার চোখ কান
নেই, সে তার লম্বা আঙুলে চুলেখ জট ছাড়াচ্ছিল। নদীপ্রান্তের সেই
উন্মাদকে নদীর ধারের পাগলাও বলা যায়, সে এমন উলঙ্গ
কিংবা ন্যাংটো। কিছুতেই তাকে কবি বলা যাবে না, কারণ তার
একাকিত্ব বোধ নেই, সে প্রেমিক নয়, কারণ সে জানে না
আত্মরতি, সে নিতান্তই একটা পাগলা, সে নদীকে লাথি
মারছিল। নদী তাকে ভয় দেখাবার জন্য ফুলে ফেঁপে উঠলো,
দিগন্ত কাঁপিয়ে হা-হা শব্দ, চতুর্দিকে ক্রুদ্ধ তোলপাড়, আকাশ
নিচু হয়ে এলো, তবু সেই একলা পাগল নদীকে লাথির পর
লাথি মেরে যায়। তারপর তার মাথার ওপরে ঘোর
বজ্র গর্জন হতেই হাত তুলে সে জমিদারি গলায় বলে ওঠে, আবার!