নদীর কোন্ পারে তুমি, নীরা
নদীর কোন্ পারে তুমি, নীরা, আমি নদীর মাঝখানে
খুব কাছে ঝুঁকে আছে মেঘ
যেন অজস্র রুমাল নীল, কালো,
সূর্যের পাপড়িতে দুলে দুলে আসে অন্ধকার
আচমকা বাতাসে কিছু ঘরে ফেরা পাখিরাও
দিন হারা
নদীর কোন্ পাড়ে তুমি, নীরা, আমি নদীর মাঝখানে।
ফেরি স্টিমারের ডেকে চাপ চাপ মানুষ
আমাকে দেখেনি তারা কেউ
আমি ফেরি-দুনিয়ার কেউ নই
ওরা শুধু ঢেউ দিয়ে যায়
ব্রিজের গুম গুম শব্দে জেগে থাকে মানব সভ্যতা
মাছ ধরা নৌকাগুলি শতাব্দী বিহীন, ওরা
সন্ধ্যার জোনাকি
কখনো আজান শুনি, জলের কল্লোলে ভাটিয়ালি
নদীর কোন্ দিকে তুমি, নীরা, আমি নদীর মাঝখানে।
আমার দু’হাত বেশ ভালোই সাঁতার জানে,
পা দুটিও বজরার দাঁড়
সেই ফুলেশ্বর থেকে ভেসে আসা
এখন ভাটার টান, বিপরীত স্রোত
এখন আকাশ নেই, নীচে শুধু টান মারে
রাত্রির অতল
যে যাবে মোহনা খুঁজতে, আমার শরীর চায়
অভিপ্রেত তীর
নীরা, তুমি কেমন গাছের নীচে দাঁড়িয়ে রয়েছ?
কোন্ শুভ্র বারান্দায় তোমার আঁচলখানি
স্বর্গের নিশান
তোমার নাভির কাছে চাঁদ আর কুচযুগে সুবর্ণ মঞ্জরী
দেখা দাও, সাড়া দাও, জাদুকরী
নদীর কোন্ পারে তুমি, নীরা, আমি
নদীর মাঝখানে।