আজকাল লোকজন কি আমার দিকে
করুণার ভঙ্গিতে তাকায়? আমার অস্তিত্বের
সকল অংশ জুড়ে ক্ষয়ের ক্ষতচিহ্ন এবং
অসাফল্যের ছেঁড়া ন্যাকড়া দেখে নাকে রুমাল চেপে ধরে?
ঠিক বুঝতে পারি না, কখনও মনের বিভ্রম
ভেবে নিজেকে সান্ত্বনার ছায়ায়
জিরোবার সুযোগ করে দিই । আবার কখনও
কারও ছদ্মবেশী সহানুভূতি এবং লুকানো অট্রহাসি
বিষাক্ত কাঁকড়ার মতোই কামড়ে ধরে আমাকে।
তখন কৃতার্থ হওয়ার অভিনয় করার গ্লানি সইতে হয় বলে
ধুলোয় মিশে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চকিতে
কে যেন আমাকে নাইয়ে দেয় আশ্চর্য রূপালী ধারায়
আর আমি নক্ষত্র বাজাতে বাজাতে পথ হাঁটি।
এক আশ্চর্য পথ চলা আমাকে এগিয়ে নিয়ে
যেতে থাকে ক্রমাগত টুকরো টুকরো পাথর, রক্তপায়ী
কাঁটা জটলা পাকানো বৃশ্চিক কোনও কিছুই
আমার এই নিঃসঙ্গ ভ্রমণের পথ রোধ
করতে পারে না, নিষ্ঠুরতা যত প্রবলই হোক, ভ্রূক্ষেপহীন
এই আমি নক্ষত্র বাজাতে বাজাতে পথ হাঁটি।
ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে ধোঁয়াটে সন্ধ্যায় ধাপ্পাবাজরা
নিরন্তর ধাপ্পা দিচ্ছে, দিক;
ষড়ঋতুতে সন্ত্রাসের দাপট বাড়ুক;
খোলা রাস্তায় হন্তারকেরা হাতিয়ার শানাচ্ছে শানাক;
মনীষার প্রোজ্জ্বল সৌধগুলি ধসে যাচ্ছে যাক;
তবু ঘোর অমাবস্যায়
অস্তিত্বে অজস্র ক্ষত এবং ক্ষয়চিহ্ন নিয়ে
এই অদম্য আমি নক্ষত্র বাজাতে বাজাতে পথ হাঁটি।
৯.১২.৯৯