অকুণ্ঠ স্বীকার করি, তুমি বেশ তুখোড় খেলুড়ে।
যারা উড়ে এসে জুড়ে
বসে তুমি তাদের কাপ্তান প্রতিনিধি নও; আমি
যে-দলে নিয়ত খেলি, সে দলেরই খুব অগ্রগামী
একজন হয়ে দিব্যি খেলে যাচ্ছ সকল ঋতুতে। কোন লক্ষ্যে
নিবদ্ধ তোমার দীপ্ত চোখ, প্রকৃত আমার পক্ষে না বিপক্ষে
খেলছ, বোঝাই মুশকিল।
অন্ধকারে ঢিল
ছুড়েছি অনেক; ঐন্দ্রজালিকের মতো
সহজে সেসব তুমি করেছ গায়েব ক্রমাগত।
সন্দেহের মেঘ তাই জমেনি কখনো মনে, বরং তোমার ড্রিবলিং, ব্যাক ভলি, ডজ, পুশ দেখে গুলজার
করেছি নরক প্রশংসায়। তুমি হেসে,
কখনো একটু কেশে
পুড়িয়েছ এন্তার সিগ্রেট, আর ধূম্রকুণ্ডলীর
মতো পাকিয়েছ দল ধীর,
স্থির আর কখনো-বা কপট স্তুতির ঘোরে
বস্তুত করেছ নিন্দা আমার নিপুণ ঠারে ঠোরে।
অথচ তোমাকে আমি প্রায়শই জুগিয়েছি বল
বারংবার নিজেকে পেছনে রেখে, চেয়েছি উজ্জ্বল
হোক খেলা যৌথ ভাবে। কিন্তু তুমি একা
চেয়েছ অত্যন্ত ঝলসাতে, এমনকি ভব্যতার সীমারেখা
নিখুঁত দিয়েছ মুছে; শুনেও শুনিনি
উড়ো কথা, বরং তোমার কাছে ঋণী
ভেবেছি সর্বদা নিজেকেই।
এমন ছেড়েছ দান অন্তরালে, হারিয়েছি খেই।
কাকের কর্কশ ধু-ধু ডাকের মতোই খুব পুরানো এ খেলা
দেখে যায় বেলা।
চতুর্দিকে নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার;
দ্য গেম ইজ ওভার মাই ফ্রেন্ড, হে সখা আমার।