দ্বিতীয় অধ্যায় । যবনিকার অন্তরালে
হঠাৎ পৃথিবী জয় করবার বাসনা হল, অমনি সৈন্যসামন্ত জোগাড় করে যুদ্ধসাজ পরে ‘মারমার’ রবে পথে বেরিয়ে পড়লুম—আলেকজান্ডারের দিগবিজয়ের মূলে এ-নীতি কাজ করেনি কোনওদিন।
আলেকজান্ডারের ঠিক পরেই পৃথিবী যে দিগবিজয়ীকে প্রসব করেছিল তাঁর নাম হচ্ছে হানিবল। তিনি আফ্রিকার অধুনালুপ্ত কার্থেজের (বর্তমান টিউনিসের নিকটবর্তী) বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম হামিলকার।
খ্রিস্টপূর্ব ২৩৮ বৎসরের কথা। ভারতে তখন সম্রাট অশোক রাজত্ব করছেন। গ্রিসের বদলে, ইউরোপের কর্তা তখন রোম। এবং রোম হচ্ছে কার্থেজের মহাশত্রু।
কার্থেজের বিখ্যাত সেনাপতি হামিলকার বাআলদেবতার মন্দিরে পূজা দিতে গিয়েছেন—সঙ্গে ছেলে হানিবল, বয়স তাঁর মোটে নয় বৎসর।
পূজা শেষ করে পিতা ডাকলেন, ‘হানিবল!’
হানিবল এগিয়ে এলেন।
‘হানিবল! তুমি আমার সঙ্গে অভিযানে যাত্রা করতে চাও?’
‘হ্যাঁ বাবা!’
‘তাহলে দেবতার সামনে দাঁড়িয়ে শপথ করো।’
‘কী শপথ বাবা?’
‘শপথ করো, যতদিন বাঁচবে ততদিন রোমকে শত্রু বলে মনে করবে?’
‘শপথ করছি বাবা, রোম হবে আমার চিরশত্রু।’
নয় বছর বয়সে হানিবল যে প্রতিজ্ঞা করলেন, আজীবন তার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বারংবার দর্পী রোমের গর্ব চূর্ণ করে বৃদ্ধ বয়সে তিনি বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন, তবু প্রতিজ্ঞাভঙ্গ করেননি।
আলেকজান্ডারের মূলেও আছে অনেকটা এইরকম ব্যাপার। কিন্তু সেটা বুঝতে গেলে আমাদের আরও কিছুকাল পিছিয়ে যেতে হবে।
খ্রিস্ট জন্মাবার প্রায় পাঁচ শত বৎসর আগেকার কথা। তার কিছুকাল আগে ভারতবর্ষে ধর্মপ্রচার করে বুদ্ধদেব নির্বাণ লাভ করেছেন। অজাতশত্রুর পৌত্র উদয় তখন হিন্দুস্থানের রাজধানী পাটলিপুত্রের সিংহাসনে।
পারস্যের সম্রাট প্রথম দরায়ুস তখন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট—তিনি এশিয়া ও আফ্রিকার অধীশ্বর। কেবলমাত্র এশিয়ার চিন ও আফ্রিকার কার্থেজ ছিল তাঁর নাগালের বাইরে। উত্তর ভারতের সিন্ধুপদ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশও তাঁর অধিকারভুক্ত।
গ্রিস বলতে বোঝাত তখন কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এবং তাদের মধ্যে প্রধান ছিল এথেন্স।
দরায়ুসের অধীনস্থ গ্রিক রাজ্য ও প্রজারও অভাব ছিল না। হঠাৎ তারা বিদ্রোহী হল এবং এথেন্স করলে সেই বিদ্রোহে সাহায্য।
কোথায় ‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বর’ বা ‘রাজার রাজা’ দরায়ুস, আর কোথায় তুচ্ছ, নগণ্য এথেন্স! গ্রিকদের বিরুদ্ধে দরায়ুস পাঠিয়ে দিলেন এক বিপুল বাহিনী। ঐতিহাসিক কালের মধ্যে এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের এই প্রথম শক্তি পরীক্ষা।
কিন্তু প্রথম পরীক্ষায় দরায়ুস শোচনীয় রূপে হেরে গেলেন, বিখ্যাত মারাথন প্রান্তরে।
কিছু কাল যায়। পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবার জন্যে এক অধিকতর বিপুল বাহিনী গঠন করতে করতে দরায়ুস মারা পড়লেন। সম্রাট হলেন তাঁর ছেলে ক্সের্ক্সেস (Xerxes)।
পিতার কর্তব্য পালন করবার জন্য পুত্র অগ্রসর হলেন। ক্সের্ক্সেস গ্রিস আক্রমণ করলেন—তাঁর সঙ্গে ভারতীয় ধনুকধারী সৈন্যরাও ছিল। এইসময়ে বা কিছু পরে ভারতে মগধের সিংহাসন লাভ করেন নন্দ বংশের প্রথম রাজা।
গ্রিসের নানা রাষ্ট্র একজোট হয়ে বাধা দিতে এল। প্রথম যুদ্ধ হল থার্মাপলির গিরিসঙ্কটে—যার নাম যুগে যুগে গ্রিক-বীরত্বকে অমর করে রেখেছে। কিন্তু বীরত্ব ফলপ্রদ হল না। নায়ক লিওনিডাস ও তাঁর দলভুক্ত গ্রিকদের মৃত্যুশয্যার উপর দিয়ে গ্রিসের উপরে ভেঙে পড়ল পারস্যবাহিনী, বাঁধভাঙা সমুদ্র-তরঙ্গের মতো।
জলপথে গ্রিকরা জয়লাভ করেও বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারলে না। কারণ স্থলপথে অগ্রসর হয়ে পারস্যবাহিনী বেশ কিছুকাল ধরে অধিকাংশ গ্রিস দখল করে রইল।
কিন্তু তারপর প্লাতায়ার যুদ্ধে আবার হল পারস্যের পরাজয়। এই যুদ্ধে বিশেষ রূপে প্রমাণিত হল, পারসিরা সংখ্যায় অগণ্য হলেও রণকৌশলে, অস্ত্রশস্ত্রে ও সৈন্যচালনায় গ্রিকদের সমকক্ষ নয়।
পারসিরা ইউরোপ ছেড়ে আবার এশিয়ায় নিজেদের স্বদেশে ফিরে গেল বটে, কিন্তু তারা যে এতকাল ধরে গ্রিসের অধিকাংশ গ্রাস করে বসেছিল, গ্রিকরা এ অপমান ভুলতে পারলে না।
তবু উপায় নেই। ক্ষুদ্র গ্রিস যে আত্মরক্ষা করতে পেরেছে, এইটুকুই হচ্ছে আশ্চর্য ও যথেষ্ট; এশিয়ায় গিয়ে পারস্য আক্রমণ করবার শক্তি তাদের নেই। কাজেই গ্রিকরা মনের রাগ মনেই পুষতে লাগল।
আবার কিছুকাল যায়। তারপর এল খ্রিস্টপূর্ব ৩৫৯। গ্রিসের উত্তরে মাসিডনিয়া রাজ্য। এ দেশটি নিজ গ্রিসের যে-কোনও রাষ্ট্রের চেয়ে ঢের বড় হলেও এবং এর বাসিন্দারা গ্রিকজাতিভুক্ত হলেও সামাজিক সম্মানে ছিল যথেষ্ট নীচু। এথেন্স ও স্পার্টা প্রভৃতি দেশের গ্রিকরা মাসিডনিয়ার লোকদের কুলীন বলে গ্রাহ্য করত না, বরং তাদের অর্ধ গ্রিক ও অর্ধ বর্বর বলে মনে মনে, এমনকী প্রকাশ্যেও, ঘৃণা করতে ছাড়ত না।
মাসিডনিয়ার রাজা পার্ডিকাস যুদ্ধে মারা পড়লেন। তাঁর একমাত্র ছেলে আমিনটাস হচ্ছেন শিশু। নাবালক রাজাকে সিংহাসনে বসিয়ে প্রতিনিধিনৃপ রূপে রাজ্যশাসন করতে লাগলেন মৃত রাজার ছোটভাই ফিলিপ। তিনি যুবক, বয়স তেইশ বৎসর মাত্র। তাঁর নিজের ছেলের নাম আলেকজান্ডার—বয়স বছর তিনেক।
ফিলিপ বয়সে তরুণ হলেও, তাঁর মনের ভিতরে ছিল প্রবল উচ্চাকাঙ্ক্ষা, তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক বুদ্ধি এবং প্রথম শ্রেণির সামরিক জ্ঞান। তিনি গ্রিসের সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাধ্যক্ষ এপামিননডাসের কাছ থেকে যুদ্ধনীতিতে শিক্ষালাভ করেছিলেন।
এতদিন মাসিডন কুলীন গ্রিক রাষ্ট্রগুলির স্বার্থের সঙ্গে নিজের স্বার্থ এক বলে মনে করবার অবসর পায়নি, সে তার উত্তরে ও উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত পেয়োনিয়া ও ইল্লিরিয়ার পার্বত্য-জাতিদের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহ নিয়েই ব্যতিব্যস্ত হয়েছিল।
রাজ্যচালনার ক্ষমতা হাতে পেয়েই ফিলিপ নিজের কর্তব্য স্থির করে ফেললেন। তা হচ্ছে প্রথমত, একদল সৈন্যকে নূতন রণকৌশলে শিক্ষিত করে তোলা। দ্বিতীয়ত, পেয়োনিয়া ও ইল্লিরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে দমন। তৃতীয়ত, মাসিডনকে কুলীনশ্রেণিতে উন্নত করা। চতুর্থত, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রিক রাষ্ট্রগুলিকে একতা বন্ধনে বেঁধে, তাদের মধ্যে মাসিডনকে প্রধান করে তোলা। পঞ্চমত, গ্রিসের সবচেয়ে বড় শত্রু পারস্যকে পদদলিত করা।
অপাঙক্তেয় মাসিডনের নবীন এক প্রতিনিধিনৃপের পক্ষে এতবড় উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করা হয়তো হাস্যকর। কিন্তু ফিলিপ ছিলেন ভাগ্যদেবীর বরপুত্র। তাঁর কাছে কিছুই অসম্ভব ছিল না।
সারা শীতকাল ধরে সৈন্যদের যুদ্ধশিক্ষা নিয়ে তিনি নিযুক্ত হয়ে রইলেন। যে সে শিক্ষা নয়—নূতন ধরনের শিক্ষা।
এতদিন যেসব গ্রিক পদাতিক গুরুভার অস্ত্রধারণ করত, তারা পরস্পরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকত। কিন্তু ফিলিপ রচনা করলেন নূতন এক ‘ঘনব্যূহ’ বা ‘ফেল্যাঙ্কস’ (Phalanx) । এক-একটি ঘনব্যূহ রচিত হল ষোলো সার সৈন্য নিয়ে। রণক্ষেত্রে তারা দাঁড়াবে একেবারে পরস্পরের সঙ্গে গা মিশিয়ে এবং তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকবে আঠারো ফুট লম্বা বর্শা।
তারপর তিনি সেনাদলের দুই পার্শ্বে ঘন সন্নিবিষ্ট গুরুভার অস্ত্রধারী অশ্বারোহীদের রাখবার ব্যবস্থা করলেন। তারা প্রকাণ্ড এক-এক খণ্ড নিরেট পর্বতচূড়ার মতন শত্রুদের দুই দিকে ভেঙে পড়বে।
অর্থাৎ মাঝখানকার ঘনব্যূহের পদাতিকরা যখন অখণ্ড প্রস্তর প্রাচীরের মতন শত্রু আক্রমণ সহ্য করবে, তাদের দুই পাশের ঘন সন্নিবিষ্ট অশ্বারোহীদল তখন প্রবল পরাক্রমে করবে শত্রুদের আক্রমণ। তখনকার যুগে এ শ্রেণির রণকৌশল ছিল সম্পূর্ণ নতুন ও কল্পনাতীত।
সৈন্যদল প্রস্তুত হল। ফিলিপ তাদের নিয়ে পেয়োনিয়া ও ইল্লিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলেন। পার্বত্য জাতিরা উড়ে গেল ঝড়ের মুখে কুটোর মতো! ফিলিপের নূতন সৈন্যদল অদম্য!
এথেন্স, স্পার্টা ও থিবজ প্রভৃতি গ্রিকরাষ্ট্র মাসিডনকে ঘৃণা করে। খালি ঘৃণা নয়, সুবিধা পেলে তারা শত্রুতা করতেও ছাড়ে না। এইবারে তাদের মন ফেরাতে হবে। কিন্তু তার আগে চাই টাকা। মাসিডন হচ্ছে গরিব। আকারে বড় হলেও তার দারিদ্র্যের জন্যে কেউ তাকে শ্রদ্ধা করবে না।
মাসিডনের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত থ্রেস। এখন ওদেশটি গ্রিসের অন্তর্গত বটে, কিন্তু তখন প্রাচীন গ্রিকদের মতে ওটি ছিল বর্বরদের দেশ।
থ্রেসের প্রান্তদেশে পতিত অবস্থায় অনেক মূল্যবান খনি ছিল। ফিলিপ থ্রেসিয়ানদের মিষ্ট কথায় ভুলিয়ে যেসব খনি হস্তগত করলেন। তারপর কিছুকাল যেতে না যেতেই মাসিডনের ভাণ্ডারে ঐশ্বর্য আর ধরে না। মাসিডন এখন সমগ্র গ্রিসের মধ্যে ধনগৌরবে শ্রেষ্ঠ।
ভ্রাতুষ্পুত্র আমিনটাস ক্রমেই বড় হচ্ছে। সে সাবালক হলে ফিলিপের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সফল হবে না। কোনওরকম গোলমাল না করে তাকে সিংহাসন থেকে নামিয়ে ফিলিপ নিজের মাথায় পরলেন রাজমুকুট। তাঁর যোগ্যতায় প্রজারা সন্তুষ্ট ছিল, কেউ আপত্তি তুললে না। পরে ফিলিপ নিজের মেয়ের সঙ্গে আমিনটাসের বিবাহ দিলেন। দুই দিক রক্ষা করা হল।
এইবার ফিলিপ গ্রিক রাষ্ট্রগুলির ঘরোয়া ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে আরম্ভ করলেন। আমরা ফিলিপের জীবনচরিত লিখতে বসিনি, সুতরাং সবিস্তারে ওসব কথা নিয়ে আলোচনার দরকার নেই। সংক্ষেপে বললেই চলবে।
নিজেদের ঘরোয়া ব্যাপারে ফিলিপের মুরুব্বিয়ানা কুলীন গ্রিকদের ভালো লাগল না। কয়েকটি রাষ্ট্র মারমুখো হয়ে উঠল—তাদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে এথেন্স। তারা দল বেঁধে সৈন্য সংগ্রহ করে ফিলিপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে উদ্যত হল।
এখনও সময় হয়নি বুঝে ফিলিপ পিছিয়ে এলেন। তাঁর সৈন্যবল প্রচুর নয়। তিনি চুপিচুপি শক্তি সঞ্চয় করতে লাগলেন।
এথেন্সের গুপ্তচররা সে খবর যথাস্থানে পৌঁছে দিতে দেরি করলে না। সেখানে ভয়ের সাড়া পড়ে গেল। এথেন্সের অমর বাগ্মী ডিমোসথেনেস চারিদিকে প্রচার করে বেড়াতে লাগলেন—’ফিলিপ সারা গ্রিসকে গোলাম করে রাখতে চান। অর্ধ-বর্বর ফিলিপ গ্রিসের শত্রু—পারস্যের চেয়ে বড় শত্রু!
কিন্তু ফিলিপের ইচ্ছা ছিল একেবারে উলটো। তিনি গ্রিক অভিজাতদের মধ্যে সমকক্ষের মতন আদর পেতে চান। তিনি তাঁর দেশকে গ্রিসের মধ্যে অদ্বিতীয় করে তুলতে চান বটে, কিন্তু এথেন্সকে ভক্তি শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। তিনি চান সমস্ত গ্রিককে একগোষ্ঠীভুক্ত করে চিরশত্রু পারস্যের গর্ব খর্ব করতে। অবশ্য এই অভিযানে নায়ক হতে চান তিনিই নিজে, কারণ নায়ক হবার যোগ্যতা তখন আর কোনও গ্রিকের ছিল না। মাথার উপরে পারস্যের মতন বলবান ও বৃহৎ শত্রু নিয়ে ছোট ছোট গ্রিক রাষ্ট্রগুলি তুচ্ছ ঝগড়াঝাঁটি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মারামারি কাটাকাটি করে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে—এ দৃশ্য ফিলিপের পক্ষে অসহনীয়।
কিন্তু ফিলিপের এই স্বদেশপ্রীতি ও আদর্শবাদের মহিমা অন্যান্য গ্রিক রাষ্ট্রপতিরা উপলব্ধি করতে পারলে না। ডিমোসথেনেসের বক্তৃতা ক্রমেই বেশি বিষোদগার করতে লাগল। কোনও কোনও রাষ্ট্র ফিলিপের দলভুক্ত হতে চাইলেই এথেন্স দিতে লাগল বাধার পর বাধা।
ফিলিপ তখন বাধ্য হয়ে কৌলীন্যগর্বিত গ্রিক রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করলেন। ইতিমধ্যে তিনি রীতিমতো প্রস্তুত হয়ে উঠেছেন।
থিবজ ও এথেন্স সম্মিলিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নেমেও সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হল। ফিলিপ জয়লাভ করেই তুষ্ট হলেন, পরাজিত শত্রুর উপরে কোনও অত্যাচার করলেন না। তাঁর সন্ধির শর্তও হল উদার।
তখন সমগ্র গ্রিস ফিলিপকে একমাত্র নায়ক বলে স্বীকার করতে বাধ্য হল। ফিলিপের মনের বাসনা পূর্ণ। আজ তিনি কুলীন—আজ তিনি সর্বেসর্বা!