দেরি করা যাবে না
অপরূপের নিভৃত নির্মাণের পাশে অলীকের সেই ধাতুময় নিসর্গ খনি
এ বাড়ির সুষমা ধার করে আনে ওদিককার দুচারটি অভ্রফুল
মাঝে মাঝে বাতাস ওদের ছুটির পরিপূর্ণতার দিকে ডাক দেয়
তখন তুলসী পাতার সৌরভের চেয়েও মৃদু কোনো নিঃসঙ্গতা
আমাকে চোখ মেরে বলে, যাবে নাকি?
এইসব অপরের সৃষ্টি ও অপরের লাবণ্যের মধ্যে খালি পায়ে ঘুরতে ঘুরতে
মনে হয় আমি আর নিজস্ব নয়, আমি মোহ-পরিবারের ছোট ছেলে
যেন ভিজে ঘাসের ওপর পাতলা পর্দার মতন বিছিয়ে আছে যুদ্ধপূর্ব বাল্য
তখনও ভাঙার জন্য গড়া হয়নি কোনো নগরী, নদীগুলিকে কেউ বাঁধেনি
বেশি দেরি করা যাবে না, ওদিকে কেউ কাঁদছে।