দুর্বোধ্য
মাত্র বারো তেরো বছর বয়েস ছেলেটার, বললো, ওর মা, বাবা
কেউ নেই। অথচ আমার আছে, আমি তো এই দুঃখ পাইনি,
মনে হলো, হয়তো কোনো ভাবে আমি ওকে বঞ্চনা করেছি।
কোথায় থাকিস? জিজ্ঞেস করলাম ছেলেটিকে, সে বললো,
কোথাও না। কথা বলার সময় সে ঝকঝকে ভাবে হাসে।
পাশের একজন লোক বললো, ওর আবার থাকা না-থাকা
ও ছোঁড়া তো বারো হাটের কানাকড়ি!
এ তো নতুন কিছু খবর নয়, আকাশের নীচে কিংবা
গাছ পালার মৃদু প্রশ্রয়ে এখনো রয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। আমি
থাকি রীতিমত সৌখিন বাড়িতে, গৃহহীনদের কথা চিন্তা করে
আমার গৃহত্যাগ করার কোনো মানে আছে কি?
চায়ের দোকানের দাম মিটিয়ে আমরা উঠে পড়লুম।
তারপর গাড়ি চললো দুদান্ত গতিতে, দুপাশে
সজল সুন্দর প্রকৃতি, গ্রাম বাংলার বিখ্যাত সৌন্দর্য, এ সব
দেখে চোখ না-জুড়োনো অন্যায়।
তবু বারবার মাথার মধ্যে গুঞ্জরিত হয় এক প্রশ্ন ও
উত্তর :
তুই কোথায় থাকি?
কোথাও না!
কিন্তু একথা বলার সময়ও ছেলেটি হেসেছিল কেন?